১. আমি তো নিয়ত করেছিলাম সবমিলিয়ে ২৬৫ টি কাফফারা দেওয়ার নিয়ত করেছি। কিছুদিন আগে আল্লাহর কসম তালাকের প্রশ্ন করবো না - এ জাতীয় আরও কয়েকবার কসম ভেঙে ফেলেছি। এরপর মনে মনে নিয়ত করে ফেলেছি ১০ টির কাফফারা দিবো। মানে একই কাজ না করার জন্য বার বার কসম কাটার জন্য প্রতিবার আলাদা আলাদা কাফফারা আদায়ের জন্য সতর্কতা হিসেবে ১০টি কাফফার নিয়ত করেছি। যদিও আমি জানি যে একই কাজ বার বার কসম করলেও একবারের টা আদায় করলেই হয়ে যায়। এক্ষেত্রে কাফফারার সংখ্যা হয়ে গেল ২৭৫ টি। মাঝে মাঝে মনের ভিতরে নিয়ত চলে আসতো ২৯০ টি দিয়ে দিবো, আবার নিয়ত চলে আসে যে সতর্কতা সরুপ ৩০০টির দিয়ে দিবো।
কাফফারার সংখ্যা কিভাবে স্থির করতে হয়? আমার মনে তো মাঝে মাঝে ৫০০/১০০০ ও উকি দেয়। - এই নিয়ত মনে হয় মনে মনে আমি ইচ্ছা করেই এনেছি। যেন কাফফারার সংখ্যা আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় নাকি অন্য কারণ কিছুই বুঝতে পারছি না। এখন লেখার সময় দুশ্চিন্তা হচ্ছে ৫০০/১০০০ কাফফারার নিয়ত হয়ে গেল নাতো? - এটা নিয়ে খুব চিন্তা হচ্ছে। একটু পর আবার মনে মনে চিন্তা আসতাছে ১০০০ কাফফারা দিলে কেমন খরচ হবে? ইত্যাদি। মানে আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আবার চিন্তা আসতাছে ১ লক্ষ/ ১ কোটি কাফফার। হুজুর, আমি অত্যাধিক সুচীবায়ুগ্রস্থ। আমাকে ঈমান আনতে সাহায্য করুন। যখন কাফফারার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার নিয়ত হয়ে যায় তখন আমি মনে কষ্ট পাই।
১. তাই, আমাকে কাফফারার সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দিন হুজুর।
২. আমি যতগুলো কাফফারার নিয়ত করে ফেলেছি আমি কি সেখান থেকে কাফফারা কমাতে পারবো?
৩. আমার অন্য যেকোনো পাপ কাজ করলে কি কাফফারা বেড়ে যাবে?
৪. অনেক সময় মনের মধ্যে শর্ত চলে আসে যে উমুক কাজ না করলে কাফফারা বেড়ে যাবে - এক্ষেত্রে করণীয় কি? আমার মনের মধ্যে এসেছিল যে, হুজুর যতক্ষণ পর্যন্ত ফতোয়ার জবাব না দিবেন ততক্ষণ পর্যন্ত বাড়ির কারও সাথে খারাপ আচরণ করলে ক্ষমা না চাইলে কাফফারা বেড়ে যাবে। এই ভয় সাড়া দিয়ে একবার ক্ষমা চেয়েছি। আবার খারাপ আচরণ করেছি মনে হয়। নিয়ত করে ফেলেছি যে আবার ক্ষমা চেয়ে নিবো। এখন যদি ক্ষমা না চাই তাহলে কি কাফফারা বেড়ে যাবে? নাকি ওয়াসওয়াসা ভেবে বাদ দিবো?
৫. যে সমস্ত কাফফারা ঈমান চলে যাওয়ার সাথে সম্পর্কিত ছিল, সেই কাফফারা গুলো আদায় না করলে কি ঈমান চলে যাবে?
২. হুজুর ম্যাসেজ এর উত্তরে আপনি লিখেছেনঃ-
"আপনি প্রথমে যাকে বিবাহ করবেন,সে তিন তালাক প্রাপ্তা হয়ে যাবে।
পরবর্তীতে আপনি অন্য কোনো মহিলাকে বিবাহ করে নিবেন।
আর যদি আপনাকে কেউ না জানিয়েই আপনার পক্ষ থেকে ইজাব করে আর মেয়ে কবুল করে,অতঃপর বিষয়টি আপনাকে জানানো হলে আপনি মৌখিক কিছু না বলে মোহর (আংশিক হতে পারে) পাঠিয়ে দেন, তাহলে এইভাবে আপনার ১ম বিবাহে সমস্যা হবেনা।"
২.১ঃ এক্ষেত্রে কেউ যদি একাধিকবার ভিন্ন বিষয় এ কসম ভেঙে থাকে তাহলে কি উক্ত পদ্ধতি কিংবা ১ম বিয়ের পর ২য় বিয়ের ক্ষেত্রেও তালাক হয়ে যাবে?
২.২ঃ এক্ষেত্রে তালাক হয়ে যাওয়ার কারণে তো আমার কাছে কেউ বিয়ে দিবে না, এক্ষেত্রে কি কোন মহিলা / মেয়েকে টাকা দিয়ে রাজি করিয়ে তালাকের নিয়তে বিয়ে করা করা যাবে?
২.৩ঃ উপরোক্ত ২ টি প্রশ্ন করার কারণে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে গেছে?
২.৪ঃ উপরের আপনার দেওয়া পদ্ধতির একটু বিস্তারিত বলবেন? উপরের পদ্ধতিতে কি কি সীমাবদ্ধতা রয়েছে?