আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
175 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
অনেক মেয়ে আছে যারা রূপচর্চার জন্য প্রাকৃতিক জিনিস যেমন- চালের গুড়া, হলুদ, কলা, বেসন, ডাল, ডিম ইত্যাদি জিনিস ব্যবহার করে থাকে। হাদিসের বিভিন্ন জায়গায় এসেছে আল্লাহর দেয়া পবিত্র রিজিক এর সম্মান করতে বলা হয়েছে। মাটিতে পরে গেলেও সে খাবার তুলে ঝেড়ে খেতে বলা হয়েছে। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আল্লাহর দেয়া এসব পবিত্র খাবার রূপচর্চায় ব্যবহার করলে তা কি আল্লাহর দেয়া পবিত্র রিজিক এর অপমান করা হবে কি? একাজ করলে কি গুনাহ হবে? আল্লাহ কি এতে নারাজ হবেন?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


পূর্বের কিছু ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ   

স্বামীর সামনে সাজসজ্জা ও সৌন্দর্য প্রদর্শন শুধু বৈধই নয় বরং করণীয়। 

তাই স্বামীর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে মহিলাগন শরয়ী সীমারেখায় থেকে সাজ সজ্জা করতে পারেন।
 
হাদিস শরিফে এসেছে,

عَنْ أَبِي أُمَامَةَ-رضي الله عنه- عَنِ النَّبِيِّ –ﷺ-، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: مَا اسْتَفَادَ الْمُؤْمِنُ بَعْدَ تَقْوَى اللَّهِ خَيْرًا لَهُ مِنْ زَوْجَةٍ صَالِحَةٍ، إِنْ أَمَرَهَا أَطَاعَتْهُ، وَإِنْ نَظَرَ إِلَيْهَا سَرَّتْهُ، وَإِنْ أَقْسَمَ عَلَيْهَا أَبَرَّتْهُ، وَإِنْ غَابَ عَنْهَا نَصَحَتْهُ فِي نَفْسِهَا وَمَالِهِ

আবু উমামা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলতেন,  কোনো মুমিন ব্যক্তি আল্লাহ্ভীতির পর উত্তম যা লাভ করে তা হলো পুণ্যময়ী স্ত্রী। স্বামী তাকে কোন নির্দেশ দিলে সে তা পালন করে; সে তার দিকে তাকালে (তার বাহ্যিক সাজসজ্জা ও চরিত্রের মাধুর্যতা) তাকে আনন্দিত করে এবং সে তাকে শপথ করে কিছু বললে সে তা পূর্ণ করে। আর স্বামীর অনুপস্থিতিতে সে তার সম্ভ্রম ও সম্পদের হেফাযত করে। (সুনান ইবন মাজাহ ১৮৫৭)


তবে কিছু মূলনীতি ফলো করতে হবেঃ
★সাজ সজ্জা করে গায়রে মাহরাম পুরুষ এর সামনে যাওয়া যাবেনা।  

★সাজসজ্জা করতে গিয়ে নারী পুরুষের বেশ ধারণ করতে পারবে না। যেমন- চুল এত ছোট করে ছাঁটা যার কারণে দূর থেকে দেখে পুরুষ মনে হয়। কেননা, ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ المُتَشَبِّهِينَ مِنَ الرِّجَالِ بِالنِّسَاءِ، وَالمُتَشَبِّهَاتِ مِنَ النِّسَاءِ بِالرِّجَالِ

 রাসূলুল্লাহ ﷺ নারীর বেশ ধারণকারী পুরুষদেরকে এবং পুরুষের বেশ ধারণকারী মহিলাদেরকে অভিশাপ করেছেন। (বুখারী ৫৮৮৫)

★সাজসজ্জার ক্ষেত্রে অমুসলিম কিংবা প্রকাশ্য পাপাচারে লিপ্ত নারীদের অনুকরণ করা যাবে না। এ মর্মে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে। (আবু দাউদ ৪০৩১)

★সাজসজ্জার ক্ষেত্রে ক্ষতিকর বস্তু বা প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, لا ضرر ولا ضرار ক্ষতি ও ক্ষতি সাধনের কোন অনুমতি নেই। (সুনানে দারাকুতনী ৩০৭৯)


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বাজারে যে সমস্ত প্রসাধনী সামগ্রী পাওয়া যায়,এগুলোর অনেকগুলো প্রশ্নে উল্লেখিত প্রাকৃতিক জিনিস দ্বারা তৈরী। 
তাই সে সমস্ত প্রসাধনী সামগ্রী উপরে উল্লেখিত মূলনীতি মেনে যেমন ব্যবহার করা  বৈধ,ঠিক তেমনি নিজে নিজে প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করলেও তাহা বৈধ হবে।
কেননা উভয়টিই একই মাসয়ালার অন্তর্ভুক্ত হয়।
তবে এখানে কোনো খাদ্য যেনো নষ্ট না হয়,অপচয় না হয় সেদিক পূর্ণ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...