আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
103 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (48 points)
আহলিয়া পাশে বসে ছিল।আহলিয়াকে বলতে গিয়েছিলাম যে,
'বাসায় কল দিচ্ছি আম্মুকে' কিন্তু একদমই ভূলে বলে ফেলেছি যে৷ 'বাসায় কল দিচ্ছি, আম্মু।' আহলিয়াকে তো ভূলে এখানে আম্মু বলেছি,একদমই মিন করিনাই তাকে আম্মু হিসেবে, এতে কি কোনো সমস্যা হবে? ভয়ে সাথে সাথে অনেক বার ইস্তিগফার করেছি

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


হাদীস শরীফে এসেছেঃ-

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، وَخَالِدٌ الطَّحَّانُ، الْمَعْنَى كُلُّهُمْ عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيِّ، أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِامْرَأَتِهِ: يَا أُخَيَّةُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أُخْتُكَ هِيَ؟، فَكَرِهَ ذَلِكَ وَنَهَى عَنْهُ

আবূ তামীমাহ আল-হুজাইমী (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বললো, হে আমার বোন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে কি তোমার বোন? তিনি তার এরূপ সম্বোধনরকে অপছন্দ করলেন এবং এরূপ করতে নিষেধ করলেন।
(আবু দাউদ ২২১০)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
শুধুমাত্র মা বললে যিহার হবে না।বরং মা বা মায়ের কোনো অঙ্গের সাথে স্ত্রীকে তাশবিহ বা উপমা দিতে হবে।হ্যা এটা অবশ্যই ঠিক যে স্ত্রীকে মা,মেয়ে,বোন ইত্যাদি বলে ডাকা মাকরুহ।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো হবেনা।
আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন
     
আরো জানুনঃ 

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿الَّذِينَ يُظَاهِرُونَ مِنْكُمْ مِنْ نِسَائِهِمْ مَا هُنَّ أُمَّهَاتِهِمْ إِنْ أُمَّهَاتُهُمْ إِلاَّ اللاَّئِي وَلَدْنَهُمْ وَإِنَّهُمْ لَيَقُولُونَ مُنْكَراً مِنَ الْقَوْلِ وَزُوراً وَإِنَّ اللهَ لَعَفُوٌّ غَفُورٌ- وَالَّذِينَ يُظَاهِرُونَ مِنْ نِسَائِهِمْ ثُمَّ يَعُودُونَ لِمَا قَالُوا فَتَحْرِيرُ رَقَبَةٍ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَتَمَاسَّا ذَلِكُمْ تُوعَظُونَ بِهِ وَاللهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ- فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَتَمَاسَّا فَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَإِطْعَامُ سِتِّينَ مِسْكِيناً ذَلِكَ لِتُؤْمِنُوا بِاللهِ وَرَسُولِهِ وَتِلْكَ حُدُودُ اللهِ وَلِلْكَافِرِينَ عَذَابٌ أَلِيمٌ﴾

‘‘তোমাদের মধ্যে যারা নিজেদের স্ত্রীগণের সাথে যিহার করে তারা জেনে রাখুক, তাদের স্ত্রীগণ তাদের মাতা নয়। যারা তাদেরকে ভূমিষ্ঠ করে কেবল তারাই তাদের মাতা, ওরা তো ঘৃণ্য ও ভিত্তিহীন কথাই বলে। নিশ্চয় আল্লাহ পাপমোচনকারী ও ক্ষমাশীল, যারা নিজেদের স্ত্রীগণের সাথে যিহার করে অতঃপর ওদের উক্তি প্রত্যাহার করে নিতে চায়, তবে তাদের প্রায়শ্চিত্ত (কাফ্ফারা) হল যৌন কামনায় একে অপরকে ( স্বামী স্ত্রীকে) স্পর্শ করার পূর্বে ১টি ক্রীতদাস স্বাধীন। এ নির্দেশ তোমাদের দেওয়া হল। তোমরা যা কর আল্লাহ তার খবর রাখেন। কিন্তু যার এ সামর্থ্য নেই তার প্রায়শ্চিত্ত হল যৌন-কামনায় একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একাদিক্রমে দু’মাস রোযা পালন। যে এতে অসমর্থ সে ৬০ জন অভাবগ্রস্তকে খাদ্য দান করবে। এটা এজন্য যে তোমরা যেন আল্লাহ ও তদীয় রসূলে বিশ্বাস স্থাপন কর। এগুলি আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা। আর অবিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।’
(আল-মুজাদালাহ (৫৮) : ২-৪)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...