আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
81 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (104 points)
আসসালামু 'আলাইকুম।আমি আর আমার স্ত্রী জামাতে নামাজ পড়ছিলাম।

সুরা ফাতিহা পড়তে যেয়ে মাগদুবি পড়ার সময় অনেক সময় গ টা ঊচ্চারণ করতে যেয়ে হালকা 'ক'র এর মত উচ্চারণ হয়(এটা প্রায় প্রায় হয় আমি তখন ঠিক করে নেই,কিন্তু এবার নেইনাই),ঠিক ওই গ এর মাখ্রাজের জায়গা থেকে না।আমি পরে স্ত্রী কে বললাম আমি গ উচ্চারণ করেছি না ক? সে বলে গ।কিন্তু আমার ধারণা হাল্কা ক এর মত হয়েছে গ এর মত না।

এখন কি সালাত আবার পড়ব?

২,আমি বিয়ে পড়ানোর পর পর ই আমি আর আমার স্ত্রী নফল নামাজ পড়ছিলাম। সুরা ফাতিহা পড়ার সময়,আয়াত গুলা মিলায়া মিলায়া পড়ছিলাম ওয়াকফ না করে,আমি আগে  মাঝে মাঝেই মিলাইয়া পড়তাম,তবেতখন পড়ার নিয়াত ছিল যাতে স্ত্রীকে দেখানো যে দেখো আমি এভাবে করতে পারি(শেখানো বা জানানো উদ্দ্যেশ্য না)।আমার স্ত্রী সদ্য প্র‍্যাক্টিসিং ছিল।যাইহোক,এই দেখানো আমলের কারণে কি মুশরিক হয়েছে?

তখনো আমাদের খালওয়াত সহীহা হয়নি।,মাত্র বিয়ে পড়েই নামাজে দাড়িয়েছিলাম।এটা অনেক আগের কথা

1 Answer

0 votes
by (687,520 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ধারণা হালকা ক এর মতো হয়েছে,আর আপনার স্ত্রী বলছে গ এর মতোই হয়েছে।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত নামাজটি হয়ে গিয়েছে। 
এক্ষেত্রে আপনার সন্দেহের ভিত্তিতে নামাজটি পুনরায় আদায় করতে হবেনা।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ «إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ وَإِنَّمَا لِامْرِئٍ مَا نَوٰى فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُوْلِه فَهِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُولِه وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ اِلٰى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوِ امْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا فَهِجْرَتُهٗ إِلٰى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ 

‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিয়্যাতের উপরই কাজের ফলাফল নির্ভরশীল। মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী ফল পাবে। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্য হিজরত করবে, তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্যই গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার স্বার্থপ্রাপ্তির জন্য অথবা কোন মহিলাকে বিবাহের জন্য হিজরত করবে সে হিজরত তার নিয়্যাত অনুসারেই হবে যে নিয়্যাতে সে হিজরত করেছে।
বুখারী ১, মুসলিম ১৯০৭, তিরমিযী ১৬৩৭, নাসায়ী ৭৫, আবূ দাঊদ ২২০১, ইবনু মাজাহ্ ৪২২৭, আহমাদ ১৬৯, ৩০২।

★কেহ যদি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনকে মুল উদ্দেশ্য রেখে এভাবে স্ত্রীকে দেখানোর নিয়ত করে,,তাহলে সেটি রিয়া হবেনা।
কিন্তু কেহ যদি আল্লাহর সন্তুষ্টি নয়,বরং কেবল স্ত্রীকে কে দেখানোর জন্যই আমল করে,আল্লাহর সন্তুষ্টি,আল্লাহকে দেখানো কোনো ভাবেই  নিয়ত না হয়,তাহলে এটি রিয়া হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ   

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতটির ক্ষেত্রে যেহেতু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন আপনার মূল নিয়ত ছিলো,তাই এতে কোনো রিয়া হবেনা।
মুশরিক হয়ে যাওয়ার প্রশ্নই উঠেনা। 
আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...