ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ধারণা হালকা ক এর মতো হয়েছে,আর আপনার স্ত্রী বলছে গ এর মতোই হয়েছে।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত নামাজটি হয়ে গিয়েছে।
এক্ষেত্রে আপনার সন্দেহের ভিত্তিতে নামাজটি পুনরায় আদায় করতে হবেনা।
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ «إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ وَإِنَّمَا لِامْرِئٍ مَا نَوٰى فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُوْلِه فَهِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُولِه وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ اِلٰى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوِ امْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا فَهِجْرَتُهٗ إِلٰى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিয়্যাতের উপরই কাজের ফলাফল নির্ভরশীল। মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী ফল পাবে। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্য হিজরত করবে, তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্যই গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার স্বার্থপ্রাপ্তির জন্য অথবা কোন মহিলাকে বিবাহের জন্য হিজরত করবে সে হিজরত তার নিয়্যাত অনুসারেই হবে যে নিয়্যাতে সে হিজরত করেছে।
বুখারী ১, মুসলিম ১৯০৭, তিরমিযী ১৬৩৭, নাসায়ী ৭৫, আবূ দাঊদ ২২০১, ইবনু মাজাহ্ ৪২২৭, আহমাদ ১৬৯, ৩০২।
★কেহ যদি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনকে মুল উদ্দেশ্য রেখে এভাবে স্ত্রীকে দেখানোর নিয়ত করে,,তাহলে সেটি রিয়া হবেনা।
কিন্তু কেহ যদি আল্লাহর সন্তুষ্টি নয়,বরং কেবল স্ত্রীকে কে দেখানোর জন্যই আমল করে,আল্লাহর সন্তুষ্টি,আল্লাহকে দেখানো কোনো ভাবেই নিয়ত না হয়,তাহলে এটি রিয়া হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতটির ক্ষেত্রে যেহেতু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন আপনার মূল নিয়ত ছিলো,তাই এতে কোনো রিয়া হবেনা।
মুশরিক হয়ে যাওয়ার প্রশ্নই উঠেনা।
আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।
আরো জানুনঃ