আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
285 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

***কেনায়া তালাক নাকি তালাকের নিয়ত ব্যাতিত হয় না।কিন্তুু তালাকের মজলিসে বললে হয়ে যায় নিয়ত ছাড়া বললেও এটা কি ঠিক?আপনি বলেছিলেন মেসেজে তালাকের মজলিস হয় না। আর ধরেন কেউ মেসেজে কথা বলে স্বামীর সাথে। ধরেন স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর দেই নাই স্বামী।এরপর যদি বলে এত মা বাবার প্রতি দরদ উতলাচ্ছে নাকি? কর গা ওদের পছন্দমত বিয়ে।আমি আমার পথ খুজে নিব।এসব কথা কোন স্বামী যদি তালাকের নিয়ত ছাড়া মেসেজে বলে তাহলে কি তালাক হবে? আমার  দিকে ইন্গিত করি নি।জানার জন্য প্রশ্নটা করেছি।আমার বিষয়টা নিয়ে সন্দেহ আছে তাই জিগ্যেস করেছি।

*** এটাও জানার জন্য প্রশ্ন করতেছি।১ বায়েন তালাক হলে বিয়ে না করে কি আবার বায়েন তালাক দিলে পরে ওটাও হয়? মানে একটা দেওয়ার পর বিয়ে না করে আবার কি বায়েন তালাক দেওয়া,যায়? শুনেছি ১ টা হলে বায়েন তালাক এরপর বিয়ে না করলে আর কোন তালাক হয় না তাই জিগ্যেস করেছি।শুধু বিয়ের আগের শর্ত যুক্ত তালাক ছাড়া যা বিয়ের পর পতিত হবে সেটা ছাড়া আর কোন নতুন করে তালাক হয় না।আমি জানার জন্য প্রশ্ন করেছি।

*** কোন ওয়াসওয়াসায়,আক্রান্ত ব্যাক্তি তালাকের কথা ভাবতে থাকে।মনে মনে ভাবতে থাকা কথা মুখ দিয়ে  উচ্চারন করেছে কিনা বুঝতে না পারলে বা মনে করতে না পারলে  তাহলে কি তালাক হয়?

আর এমন প্রশ্ন নিয়ে আমার সন্দেহ আছে তাই জানার জন্য উপরে এসব ব্যপারে প্রশ্ন করায় কি আমার বৈবাহিক সসম্পর্কে কোন সমস্যা হবে?বিষয়গুলো নিয়ে আমার সন্দেহ আছে তাই জিগ্যেস করেছি।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্নটি সম্পূর্ণই স্পষ্ট। দয়াকরে স্পষ্ট করে ইডিট করে দিবেন।নতুন করে প্রশ্ন না করে বরং এই প্রশ্নকে ইডিট করে দিবেন।

কেনায়া তালাক নিয়ত ব্যতিত পতিত হয় না।কেনায়া তালাকের জন্য নিয়ত প্রয়োজন। মুবাইলে কথা বলার সময় মজলিস হবে না।তবে মেসেজ প্ররণের সময় মজলিস হওয়া ধর্তব্য নয়। আপনি যদি বুঝিয়ে লিখতে অক্ষম হন, তাহলে মুবাইলে কথা বলবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...