আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
123 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (72 points)
edited by
আসসালামু আ'লাইকুম
কোন স্ত্রী স্বামীকে ঝগড়া  বা রাগারাগির সময় (তা**** এর মজলিস ছিল কিনা জানেনা সম্ভবত ছিল ছেড়ে দেয়াা,মুক্তি দেয়া,স্বাধীন করে দেয়া, সংসার করবে না, চলে যাবে,থাকবে না, বিয়ে করে ভুল করছে ইত্যাদি ইত্যাদি কথা বলে(নিয়ত করেই বলত বেশিরভাগ সময়) কিন্তু স্বামী উত্তরে কি বলেছিল মনে নেই তাহলে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক কি ঠিক আছে????

বারংবার স্বামীকে জিজ্ঞেস করতেও ভয় লাগছে কি না কি উত্তর দেই ভেবে।স্বামী সবসময় তার অবস্থান শক্ত করে রাখে নিয়ত না থাকার ব্যাপারে

দ্বীনের বুঝ ছিল না তাই এমন টা বলত স্ত্রী বা রাগের মাথায় হিতাহিতজ্ঞান হারিয়ে ফেললে মানুষ সাধারণত যা করে আর কি(আল্লাহ মাফ করুক) এখন স্ত্রী নিজেকে শুধরানোর চেষ্টা করছে (আল্লাহ তার সহায় হোক)

কিন্তু এই সম্পর্কে ভালোভাবে জানার পর থেকে হাঁটতে, বসতে, চলতে,ফিরতে সারাক্ষণ জিনিসটা মাথায় ঘুরে যার কারণে শারীরিক এবং মানসিকভাবে অসুস্থ বোধ করছে

স্বামীকে কি স্ত্রীর এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা উচিত হবে?

হুজুর বিরক্ত না হয়ে উত্তর দিবেন

1 Answer

0 votes
by (720,640 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তালাক প্রদান করা সম্পূর্ণ স্বামীর অধীকার।হ্যা শরীয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীকে নিজের উপর তালাক প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে।যেমন,স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অনুমতি প্রদান করলে,স্ত্রী নিজেকে তালাক দিতে পারবে।তাছাড়া স্বামী খোরপোষ না দিলে,স্ত্রী কাযী সাহেবের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।কিংবা স্বামী নিখোঁজ হলে বা ধ্বজভঙ্গ হলে কোর্ট বিবাহ ভঙ্গের রায় দিতে পারবে।

স্বামীর খোঁজখবর না থাকলে স্ত্রী চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।চার বছর অপেক্ষার পরও যদি স্বামীর কোনো খোঁজখবর না মিলে,কোর্ট স্বামীর পক্ষ্য থেকে বিবাহ ভঙ্গ করে দিবে।স্ত্রী তালাক দিতে পারবে না।তালাক দেয়ার অধীকার স্ত্রীর নেই।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4506

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোন স্ত্রী স্বামীকে ঝগড়া  বা রাগারাগির সময় ডিভোর্স, ছেড়ে দেয়া,মুক্তি দেয়া,স্বাধীন করে দেয়া, সংসার করবে না, চলে যাবে,থাকবে না, বিয়ে করে ভুল করছে ইত্যাদি ইত্যাদি কথা বলে(নিয়ত করেই বলত বেশিরভাগ সময়) কিন্তু স্বামী উত্তরে কি বলেছিল মনে নেই তাহলে তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবে না।

"বারংবার স্বামীকে জিজ্ঞেস করতেও ভয় লাগছে কি না কি উত্তর দেই ভেবে।স্বামী সবসময় তার অবস্থান শক্ত করে রাখে নিয়ত না থাকার ব্যাপারে"

সুতরাং স্বামী আর জিজ্ঞাসা করা যাবে না।জিজ্ঞাসা করা হলে স্বামীর প্রতি বিনা উযরে জুলুম হবে।যা কখনো জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (720,640 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।
by (72 points)
হুজুর পোস্ট ইডিট করা হয়েছিল আপনি মনে হয় সেটা খেয়াল করেন নি
যদি করে থাকেন একটু জানাবেন 
by (720,640 points)
edited by
এডিট করে কি লিখেছেন?কি পরিবর্তন করেছেন? আগের লিখা এবং পরিবর্তনীয় লিখার মধ্যে পার্থক্য কি? সেটা লিখবেন
by (72 points)
ঝগড়ার সময় মজলিস ছিল কিনা মনে পরছে না এটা
by (720,640 points)
জ্বী,পূর্ণ ইয়াকিন বিশ্বাস ছাড়া কোনো হুকুম আরোপিত হয় না।সুতরাং তালাক হবে না। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...