আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
217 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (1 point)
আমার এক মামি একজন কে ওয়াশরুম বানানোর জন্য টাকা দিয়েছিলেন। সেকানে কিছু টাকা ছিল ব্যাংক এর ইন্টারেস্ট যা তিনি নিজে না রেখে অন্যকে দিয়ে দেয়ার নিয়তে দিয়েছিলেন আর কিছু টাকা ছিল যাকাতের টাকা। এখন উনার বাবা বলেছেন যাকাতের টাকা ওয়াশরুম বানানোর জন্য দেয়া যায় না। তো উনার পক্ষে এখন এত টাকা ম্যানেজ করা সম্ভব হচ্ছে না যেহেতু উনি গৃহিণী এবং যাকাতের জন্য সারা বছর টাকা জমান। এখন উনার যাকাত কি আদায় হয়েছে নাকি আবার দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব, https://www.ifatwa.info/699 নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যাকাত ইসলামের মৌলিক পাঁচটি বিধানের একটি। নেসাব পরিমাণ মালের মালিকের উপর যাকাত প্রদান করা ফরয। যাকাতের নেসাব- ৭.৫ তুলা স্বর্ণ অথবা ৫২ভড়ি রূপা বা তার সমমূল্যের টাকার মালিকের উপর ২.৫%করে যাকাত দেওয়া ফরয।

যাকাত কাদেরকে দেওয়া যাবে ?

৮টি খাতে যাকাতের মালকে ব্যবহার করা যায়। এ সম্পর্কে আল-কুরআনের বাণী শুনুন- আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলছেন

 إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫)এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।(সূরা আত-তাওবাহ-৬০)

 

ফকির-মিসকিন শব্দের ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা বর্ণিত থাকলেও আমরা একটুকু বলতে পারি যে,যার নেসাব পরিমাণ মাল নেই তাকে যাকাত দেওয়া যাবে। মনে রাখবেন যাকাত দেওয়া যেমন ইবাদত,ঠিকতেমনিভাবে নির্দিষ্ট খাতে ব্যবহার করাটাও একটা ইবাদত। তাই সঠিক হকদারকে দান করাটা যাকাত আদায় হওয়ার জন্য অতীব জরুরী। যদি সে এ পরিমাণ নি:স্ব হয়ে যায় যে,তার নিকট এখন আর নেসাব পরিমাণ বাড়ন্ত মাল নেই তাহলে সে যাকাতের মাল গ্রহণ করতে পারবে। অথবা যদি সে চিকিৎসা বাবৎ খরছ করতে গিয়ে এ পরিমাণ ঋণী হয়ে যায় যে,বর্তমানে ঋণ পরিশোধ করার মত তার তাওফিক নেই, তাহলে তার জন্য ঋণ পরিশোধ করে যাকাতের মাল গ্রহণ বৈধ হবে।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://muftiemdadhaque.blogspot.com/2021/04/blog-post.html

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

 উপরে উল্লেখিত যাকাত গ্রহণের হকদার এমন ব্যক্তিকে যাকাত প্রদাণ করলে যাকাত আদায় হয়ে যাবে তবে শর্ত হলো, উপরে উল্লেখিত যেকোন এক শ্রেনীর ব্যক্তিকে যাকাতের মালিক বানাতে হবে। কোন ব্যক্তিকে মালিক না বানিয়ে শুধু ওয়াশরুম বানালে যাকাত আদায় হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
edited
মামি যাকে যাকাত দিয়েছিলেন তাকে মালিক বানিয়ে দেন নি। কারণ উনি টাকার সঠিক ব্যবহার করবেন না এই আশংকায়। এবং উনি জানেন না যে তা যাকাতের টাকা। যাকাত গ্রহিতার ভাই এর কাছে টকা পাঠিয়েছিলেন ওয়াশরুম বানিয়ে দেওয়ার জন্য।  এখন কি তাহলে উনার ওই টাকা যাকাত হিসেবে গণ্য হবে না?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...