আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,134 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
edited by
আমি আমার আত্মীয়কে কিছু টাকা (ধরুন দশ লাখ টাকা) ধার দিয়েছিলাম। টাকাটা নেয়ার সময় সেই আত্মীয় আমাকে বলেছিলো, "যেহেতু বিপদের সময় আমি তাকে সাহায্য করছি, তাই ফেরত দেয়ার সময় তিনি খুশি হয়ে আমাকে এক লাখ টাকা বেশি দিবেন।"

আমি কিন্তু টাকাটা ধার দেয়ার সময় নিজে থেকে কিছু চাইনি। তিনি নিজে থেকেই আমাকে বেশি দেয়ার কথা বলেছেন। এখন টাকা ফেরত নেয়ার সময়, আমার আত্মীয়কে যদি সেই খুশি হয়ে অতিরিক্ত দেয়ার কথা মনে করিয়ে দিলাম এবং প্রথমে তিনি বললেন, তিনি খুশি হয়ে ৫০ হাজার দিবেন।
আমি বললাম,  "আচ্ছা ঠিক আছে।"

তারপর তিনি বললেন, ৫০ হাজারে খুশি না তুমি ? তারপর জিজ্ঞেস করলেন, কত হলে খুশি হবা ?

আমি বললাম,  "এক লাখ দিলে ভালো হয়"।

তারপর তিনি বললেন, "ঠিক আছে। আমি এক লাখই দিবো। তোমাকে আমি অখুশি রাখবো না।"
এখন সেই অতিরিক্ত এক লাখ টাকাটা কি আমার জন্য হালাল হবে ?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/7485 নং ফাতাওয়ায় টাইম ভ্যালু অব মানি সম্পর্কে আলোচনা করতে যেয়ে আমরা বলেছিলাম যে,
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত
عن ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻛَﺎﻥَ ﻟِﺮَﺟُﻞٍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺳِﻦٌّ ﻣِﻦْ ﺍﻹِﺑِﻞِ ﻓَﺠَﺎﺀَﻩُ ﻳَﺘَﻘَﺎﺿَﺎﻩُ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ﺃَﻋْﻄُﻮﻩُ ، ﻓَﻄَﻠَﺒُﻮﺍ ﺳِﻨَّﻪُ ﻓَﻠَﻢْ ﻳَﺠِﺪُﻭﺍ ﻟَﻪُ ﺇِﻻ ﺳِﻨًّﺎ ﻓَﻮْﻗَﻬَﺎ ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : ( ﺃَﻋْﻄُﻮﻩُ ، ﺇِﻥَّ ﺧِﻴَﺎﺭَﻛُﻢْ ﺃَﺣْﺴَﻨُﻜُﻢْ ﻗَﻀَﺎﺀً )
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছে জনৈক ব্যক্তির একটি বাচ্ছা বয়সী উট পাওনা ছিলো,অতঃপর যখন সে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছে এসে তা চাইলো।তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের প্রতি লক্ষ্য করে বললেনঃ উনার পাওনা উনাকে বুঝিয়ে দাও।সাহাবায়ে কেরাম (সদকার মালের মধ্যে খুজে)উক্ত ব্যক্তির পাওনা কমবয়সী উট পেলেন না।বরং তার থেকে একটু বেশী বয়সী উট পেলেন।তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেনঃ তোমরা তা তাকে দিয়ে দাও,কেননা তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই সর্বোত্তম, যে ঋণ পরিশোধের সময় উদারতা প্রদর্শন করে।তথা অতিরিক্ত দিয়ে দেয়।(সহীহ বুখারী-২৩৯৩,সহীহ মুসলিম-১৬০০)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ
কাউকে বিনা সুদে ঋণ দেওয়া পর, যদি ঐ ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তি যদি নিজ পক্ষ্য থেকে সন্তুষ্টির সাথে কিছু অতিরিক্ত দিয়ে দেয়, তাহলে তা জায়েয হবে। তবে নিজের অন্তরে মুনাফার লোভ রাখা যাবে না। সুতরাং আপনার বিবরণ অনুযায়ী আপনার জন্য অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
কাউকে টাকা ধার দিলে এবং পরবর্তীতে সে তা ফেরত দেয়ার সময় সে যদি কিছু টাকা নিজ থেকে বাড়িয়ে দেয় তাহলে কি তা সুদ হবে
by (590,550 points)
না, সুদ হবে না।তবে আপনি চেয়ে কিছুই নিতে পারবেন না।
by
reshown by
 সে যদি কিছু টাকা নিজ থেকে বাড়িয়ে দেয় তাহলে কি তা সুদ হবে। এবং নিজের অন্তরে মুনাফার লোভ আসলে কি তা সুদ হবে আমার এই প্রশ্নের উওর 01810858268এই wahtsapp নাম্বারে দিয়ে দিবেন প্রিল্জ 
by
ধার করা টাকা ফেরত দেওয়ার সময় নিজ থেকে কিছু টাকা বাড়িয়ে ফেরত দিলে কি তা সুদ হবে ।এবং নিজের অন্তরে মুনাফার লোভ আসলে কি তা সুদ হবে ।
by
ঋণ দাতার অন্তরে মুনাফার  লোভ আসলে কেন সুদ হবে কারণ ঋণ ফেরত দেয়ার সময় দুইটি শর্ত পাওয়া গেলে তা সুদ হয়। প্রথম হলো সে কিছু বাড়িয়ে ফেরত দেয়ার শর্ত দেয় এবং দ্বিতীয় টা হল সমাজে বেশি দেয়ার প্রচলন থাকে এ দুইটি শর্ত না পাওয়া গেলে কিভাবে সুদ হবে। তাহলে ঋণদাতার অন্তরে মুনাফার লোভ আসলে কেন সুদ হবে। কুরআন হাদিসের আলোকে সঠিক উত্তর দেন প্লিজ এই প্রশ্নের উত্তর জানা আমার খুব দরকার
by (590,550 points)
ঋণ দেয়ার পর অতিরিক্ত কিছু পাওয়ার আশা করা সরাসরি সুদ তো নয়, তবে এটাও সুদের অন্তর্গত বলে মনে হচ্ছে।
ভাই এটাই আমরা জানি।বিপরীত কোনো দলীল প্রমাণ থাকলে বলুন, আমাদের মতকে পরিবর্তন করে নেবো।

by
সরাসরি সুদ নয় তাহলে এটা খেলে কি গুনাহ হবে এবং এটা কোন ধরনের সুদ 
by (590,550 points)
আমরা জানি, ঋণ দেয়ার পর ঋণগ্রহিতার কাছ থেকে একটি হাসি পাওয়াও সুদের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ কোনো প্রকার ফায়দা নেয়া যাবে না।এবং এর আশাও করা যাবে না।বিপরীত দলীল থাকলে দিবেন।

হ্যা, আপনার প্রশ্নের জবাব হল, এটাও হারাম।
by (590,550 points)
আমাদের মতামতকে গ্রহণ করতে আপনাকে বাধ্য করছি না।সুতরাং আমাদের সাথে অযথা বহস না করে বরং বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করুন।বা অন্য কারো সাথে যোগাযোগ করে দেখুন, লোভ রাখার দলীল পাওয়া যায় কি না?
by
reshown
ভাই রোজা অবস্থায় নাকের মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে ধুলাবালি প্রবেশ করলে কি রোজা নষ্ট হবে এবং কতটুকু নাকের ভিতর ধুলাবালি প্রবেশ করলে রোজা নষ্ট হবে
by
রোজা অবস্থায় অনেক বেশি সন্দেহ হয় ওজু করার সময় যে গলার বিতরে পানি চলে গেছে এ অবস্থায় আমার করনিয় কি
by (590,550 points)
সন্দেহ দ্বারা রোযা ভঙ্গ হবেনা।
by
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ হুজুর সুদের টাকা ফিরিয়ে দিতে হলে সেটা তার মূল মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিতে হয় সেটা জানতাম তাই ফকির কে দিয়ে দিয়েছি নেকির উদ্দেশ্য ছাড়া তাহলে কি আদায় হয়েছে।আমার এটা জানা খুব দরকার
by (590,550 points)
 প্রাথমিক অবস্থায় ফকিরকে দিলে হবে না।বরং মূল মালিককে দিতে হবে।
by
আমি তো আগে জানতাম না যে তাকে দিতে হবে তাই না যেনে ফকির কে দিয়েছি নেকির আশা ছাড়া তাহলে কি তা হয় নি যেহেতু না যেনে দিয়েছি এবং নেকির আশা করিনি তাহলে কি তা হয়নি 
by (590,550 points)
আমি তো বলেই দিলাম।আমার কথা কি বুঝেননি মুহতারাম।
by
ভাই আপনার কথা বুজতে পেরেছি এখন আমি জানতে চাচ্ছি যে আমার এ দান করা কি হয়েছে নাকি হয় নাই এ কথা জানতে চাই 
by (590,550 points)
সম্ভবত লিখে বুঝাতে পরবো না।তাই আপনি কল দিবেন-01717917686
by
লিখে উওর দেন প্রিল্জ  শুধু এটা বলে দিন আগে জেটা দিয়েছি সেটী হয়েছে কি হয় নাই
by
আসসালামুআলাইকুম কারো যদি কোন কারনে ঈমান চলে যায় তাহলে কিভাবে সে তার ঈমান ফিরিয়ে আনবে 
by (590,550 points)
সে কালিমা পড়ে ঈমান নিয়ে আসবে।
by
এবং যে কথার কারনে ঈমান গেছে তার সাথে কী আগের সকল নেক আমল নষ্ট হয়ে যাবে 
by
আমার এক বন্ধু হিফজ শাখায় পড়াশোনা করে এবং তাকে তার হুজুর তাকে বলেছিলেন কুরআন শরীফ নিয়ে মাদ্রাসায় যাওয়া আশা করার জন্য সে বলেছে ঠিক আছে নিয়ে আসবো এখন যদি সে কোরআন শরীফ নিয়ে মাদ্রাসায় না যায় তাহলে কি ওয়াদা ভঙ্গ হবে জানালে উপকৃত হব এবং তাকে জানাতে পারব
by (590,550 points)
সে যখন ওয়াদা করে  এসেছে, তাই এখন তাকে তার ওয়াদা পূর্ণ করতে হবে। 
by
আসসালামুয়ালাইকুম হুজুর।কোরো যদি কোন জিনিস আমার হাত থেকে অনিচ্ছাকৃত ভাবে পড়ে ভেঙে যায় তাহলে কি সে কিয়ামতের দিন তার এই জিনিসের জন্য আল্লাহর কাছে আমার বিরুদ্ধে দাবি করতে পারবে। ????  উওর টি বুঝিয়ে বলবেন প্লিজ 
by (590,550 points)
না, এতেকরে কোনো আপনার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হবে না।
by
হুজুর। সে যে কিয়ামতের দিন তার এই জিনিসের জন্য যে দাবি করবে না এ বিষয়ে কি কোন দলিল আছে থাকলে আমাকে বলবেন প্লিজ
by
হুজুর আপনি যে লিংক আমাকে দিয়েছেন। এখানে তো দেখলাম যে। আল্লাহ কারো ভুলের কারণে কাউকে পাকড়াও করবেন না। কিন্তু আমি তো অনিচ্ছাকৃত ভাবে অন্যের হক নষ্ট করেছি। তাহলে কি কিয়ামতের দিন সে দাবি করতে পারবে।
by (590,550 points)
অনিচ্ছাকৃত কারো মাল নষ্ট করা আর ভুলে নষ্ট করার মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নাই। 
by
হুজুর আপনার নাম্বার টি দেন আমাকে প্লিজ 
by (590,550 points)
কেন নাম্বারের কি প্রয়োজন?
by
আপনার নাম্বার দিলে wahtsapp এ কয়েক টি প্রশ্ন করব 
by
আসসালামুয়ালাইকুম। ছোটবেলা না বুঝে একদিন আমার এক বন্ধুর সাইকেলের চাকার বাতাস আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম। এখন কি সে কিয়ামতের দিন সে দাবি করতে পারবে 
by
আসসালামুয়ালাইকুম। আমার একটি মাসআলা জানা খুব জরুরী। দয়া করে আমার এই প্রশ্নের উত্তর দিবেন। আমি শুনেছি ইসলামের কোনো কাজ ছোট করে দেখলে ঈমান চলে যায়। এখন আমার প্রশ্ন হল। আমি যেকোনো নামাজের সুন্নাত পড়ার সময় নামাজে অলসতা করে সুন্নাত নামাজ আদায় করি। এবং আমি মনে মনে ভাবি যে এটা তো সুন্নাত তাই এই নামাজ যে কোন ভাবে পড়লেই হবে। এখন আমার এরকম মনে  আনার কারনে কী ঈমান চলে গেছে।
by (590,550 points)
ইসলামের কোনো বিধানকে ছোট করা বলতে, অস্বীকার বা তিরস্কার করলেই ঈমান ভঙ্গ হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...