আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
504 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।

১।যদি এমন হয়। কোন স্বামী তার স্ত্রীকে বললো যে, ""কোনদিন কিন্তু দুইজন দুইজনকে  বিন্দু পরিমান ঠকানো যাবে না।   তাহলে কিন্তু সম্পর্ক হারাম হয়ে যাবে।""

স্বামী নাকি  শুনেছে বউ যদি জামাইকে ঠকায় তাহলে তাদের সম্পর্ক হারাম হয়ে যায়। স্বামী যদি শর্ত দেওয়ার জন্য কথাটা না বলে শুধু এই ধারণা থেকে যদি স্বামী কথাটা বলে থাকে তাহলে কি ওই স্ত্রীর  উপর  কোন শর্ত পরবে??

স্ত্রী ওয়াসওয়াসার রোগী,, সে যাই করতে যায় মনে হয় স্বামী কে ঠকিয়ে ফেললো না তো?? রাস্তা ঘাটে চলাফেরা করতে গেলেও কারোর দিকে তাকালেও মনে হয় ঠকিয়ে ফেললো না তো??

 তাই সে স্বামীকে জিজ্ঞেস করে ওইদিন সে অন্য কিছু মিন করেছিল কিনা??..."" স্বামী বলে এতকিছু জানো আর এইটা জানো না?? হুজুর রাও তো বলে   পর নারী বা পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করলে  বা স্বামীকে ঠকালে তাদের  সংসার হারাম হয়ে যায়।""" স্ত্রী জানে যে ঠকালে সম্পর্ক হারাম হয়না বরং স্বামী এই ধরনের শর্ত দিলে তাহলে সমস্যা হয়।

স্বামী যদি এইরকম ধারণা থেকে কথাটা বলে যে,,,, যদি স্ত্রী এই ধরনের কিছু করে তাহলে সম্পর্ক হারাম হয়ে যায় বা তা-*** হয়ে যায়,,, এই ধারণা নিয়ে যদি স্ত্রীকে বলে "" কোনদিন বিন্দু পরিমান ঠকাইবা না তাইলে কিন্তু সম্পর্ক হারাম হয়ে যাবে""
এইভাবে বললে কি শর্ত পরবে??
স্বামী বলেছে সে ডিরেক্ট ওইসব মিন করে বলেনি,,,,হুজুরদের থেকে নাকি শুনেছে  তাই এইভাবে কথাটা বলেছে।

২।হুজুর কোন স্বামী যদি স্ত্রীকে শর্তমূলক কথা বলে,, যে অমুক কাজ করলে সম্পর্ক হারা* হয়ে যাবে।  স্ত্রী  ভয় পেয়ে  স্বামীকে সেইদিনের কথাটা জিজ্ঞেস করে যে স্বামী কবে থেকে শর্ত দিয়েছিল?? বিদেশ যাওয়ার পরের কথা নাকি আগের কথা?? স্বামী বলেছে বিদেশ যাওয়ার পরের কথা বলেছিল।  স্ত্রী হচ্ছে ওয়াসওয়াসার রোগী তাই তার একেক সময় একেক্টা মনে হয় আর সন্দেহ হয়।
মনে হয় বিদেশ যাওয়ার আগের কথাই বলেছিল কিনা? আবার মনে হয় যেদিন কথাটা হয়েছিল সেদিন বিদেশ যাওয়ার আলোচনা হচ্ছিল। স্বামী বিশ্বাসের সাথে বলেছিল সে বিদেশ যাওয়ার পরের কথা বলেছে। এখন স্ত্রী কোনটা সত্যি ধরে নিবে?

৩।স্বামী মূলত বুঝিয়েছিল বিদেশ যাওয়ার পরের কথা। অর্থাত সে মনে মনে এই নিয়তেই যদি কথাটা বলে থাকে যে তার বিদেশ যাওয়ার পর যাতে বউ এই কাজ না করে,,,কিন্তু বলার সময় বলে থাকে,"" অমুক কাজ করবা না কিন্তু, তাহলে কিন্তু সম্পর্ক হারা* হয়ে যাবে"" এইখানে সে বিদেশ যাওয়ার কথাটা উল্লেখ করেনি কিন্তু তার নিয়তে ছিল বিদেশ যাওয়ার পরের কথা৷   আর সে সময় বিদেশ যাওয়ার আলোচনাই হচ্ছিল।
তাহলে এই শর্ত কি বিদেশ যাওয়ার পর থেকে পরবে নাকি আগেই? যেহেতু স্বামী বাক্যটা বলার সময় বিদেশ যাওয়ার কথা উল্লেখ করেনি,,,কিন্তু সে মূলত বিদেশ যাওয়ার পরের কথাই বুঝাতে চেয়েছিল.

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1049 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.
রাগের অবস্থাঃ-
রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি যা উল্লেখ করেছেন, এদ্বারা তালাক হবে না।কেননা এগুলো স্বামী তালাকের নিয়তে বলেনি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...