এক বোনের পক্ষ থেকে প্রশ্ন টা করছি। সেই বোনের অমতেই তার বাবা মা দ্বীন না দেখে বিয়ে ঠিক করেছিলেন,বোন শেষ পর্যন্ত বাবা মা র দিকে তাকিয়ে বিয়েটা করে কিন্তু সে তার স্বামীকে পছন্দ করে মত দেয়নি,বরং পাত্র তার পছন্দ হয় নি এবং পাত্র দীনদার নয়,এমনকি পাত্রের পরিবারে দ্বীন বলতে শুধু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ রোজা করে,তাদের ঈমান, ইবাদত, মুয়ামালাত, মুয়াশারাত, আখলাক কোনোটাতেই না সঠিক ইলম আছে না আমল।তারা বিয়ের পর থেকেই বোন টি কে ঘরের সমস্ত কাজ করানো শুরু করেছে সাথে প্রতিদিন তাকে কথা শুনিয়ে মানসিক ভাবে নির্যাতন করা হয়,এমনভাবে কাজ দেয়া হয় যাতে সে অন্য কিছু করার সুযোগই না পায়,এমনকি কাযা রোজা রাখতে গিয়েও সে রীতিমত বাধার সম্মুখীন হয়েছে,স্বামী অনুমতি দিতে চায়না বা অন্যান্যরা ও দিতে চায়না এটার জন্য যে রোজা রাখলে কাজ করবে কে!?।তার স্বামী থেকেও সে এসব ব্যাপারে সহযোগীতা পায়না সবসময়।বরং স্বামী তার মা এবং বোনদের কথায় প্রভাবিত হয়ে যায়,স্বামী স্ত্রীর আলাদা ঘরের ব্যাবস্থা তো করবেই না বরং স্ত্রী র প্রয়োজনীয় আলমারি (কাপড় রাখার জন্য )কিনতে বোন দের অনুমতি লাগবে,এমনকি স্ত্রী সাথে কোথাও গেলেও কথা শুনতে হয় বা তাদের অনুমতি লাগে অথচ ছেলে বাড়ির বড় ছেলে ।টাকা পয়সার অভাব নেই তবুও ঘরের সমস্ত কাজ সবার কাজ বোন টা কে দিয়ে করাতে চায়।বোন টি দ্বীন পালন কঠিন হয়ে যায় মাঝে মাঝে,কিন্তু সে নিজের পরিবারের ও দ্বীনের বুঝ না থাকায় সেরকম সহযোগিতা পায়না।এমন অবস্থায় যার এমন পরিবারে বিয়ে হয়েছে নিজের অমতে সে কি সন্তানের দ্বীনি তরবিয়তের কথা চিন্তা করে দ্বীনি পরিবেশ না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী জন্ম নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করতে পারবে যদিও তার স্বামীর এই ব্যাপারে মত না থাকে?এটা কি জায়েজ হবে?এরকম একটা পরিবারের ক্ষেত্রে যেখানে দ্বীন পালন কঠিন হয়ে যায় এবং যেখানে মেয়ের বাবা মেয়ের অমতে অপছন্দে জোর করে বিয়ে দেয় সেই বিয়ে কি ওই মেয়ে পরবর্তীতে ভেঙে ফেলার মানে কোনো সুযোগ আছে?থাকলে এর জায়েজ সুরত কি?বোন টা র এখন করণীয় কি?