ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/25804 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
হাদীসে বিয়ের জন্য দ্বীনদ্বার পাত্র-পত্রী খুজতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।যেমন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ)
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।
কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুন্নতি বিয়েতে পাত্র পাত্রীকে দেখবে। দ্বীনদ্বারিতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে পাত্র তার পাত্রীকে নির্বাচন করবে। এবং পাত্রীও পাত্রর দ্বীনদ্বারিতাকে লক্ষ্য করে সম্মতি জ্ঞাপন করবে। এরপর দিন তারিখ ঠিক করে মহর কমিয়ে নির্ধারণ করে মসজিদে বিয়ের আকদ অনুষ্টিত হবে। মহরের ক্ষেত্রে নগদে উসূল হওয়াই মূলত সুন্নাহ। যথা সম্ভব নগদে পরিশোধ যোগ্য কমিয়ে মহর রাখাই সুন্নাহ। বিয়ের আকদ অুনষ্টানে লোক সমাগম কমিয়ে রাখাই সুন্নাহ। বিরাট অনুষ্টান বা বরযাত্রী প্রথা না করাই সুন্নাহ। কনের বাড়ী থেকে কিছূ গ্রহণ না করাই সুন্নাহ। হ্যা,কনের পিতা নিজের ইচ্ছায় কিছূ দিয়ে দিলে তা ভিন্ন কথা।
বিয়ের একজন প্রস্তাব দিবে,অন্যজন প্রস্তাব গ্রহণ করে কবুল বলবে।এটাই মূলত সুন্নাহ। পাত্রপক্ষ বা পাত্রীপক্ষ যেকেউ প্রস্তাব দিয়ে পাঠাতে পারবে।অন্যজন কবুল করে নিলেই বিয়ে হয়ে যাবে।
আমাদের দেশে কমিউনিটি সেন্টার সমূহে বিয়ের যে পদ্ধতি প্রচলিত তা সুন্নাহ সম্মত নয়। বিয়ের সময় পাত্রীর নিকট থেকে যে কবুল নেয়া হয়, তা মূলত বিয়ের অনুমতি গ্রহণ।এই অনুমতি গ্রহণের সময় নিজ মাহরাম পুরুষ উপস্থিত থাকা বাঞ্চনীয়। পাত্রীর নিকট থেকে মূলত পাত্রীর মাহরাম পুরুষরাই অনুমতি গ্রহণ করবে। তারপর পাত্রর সামনে এসে তারা বিয়ের প্রস্তাব দিবে।
তবে বর্তমানে যে পদ্ধকি প্রচলিত রয়েছে, সেটা মূলত কাবিন রেজিস্টারের স্বার্থে কাজী নিজে উপস্থিত থেকে কনের নিকট থেকে অনুমতি গ্রহণ করে থাকেন।
যাইহোক,
প্রচলিত পদ্ধতিতে বিয়ে হলে সেই বিয়ে বিশুদ্ধ হয়ে যাবে ইনশা'আল্লাহ।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
স্বল্প পরিসরে বিয়ের আয়োজন করা চাই।
(২)
এক্ষেত্রে খরচের স্বল্পতা এবং কোনো রুসম রেওয়াজকে গ্রহণ করা যাবে না।
(৩)
যেকোনো একটি হাদীস গ্রন্থ পড়লেই রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জীবন ইতিহাস জানতে পারবেন।সুন্নত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
(৪)
এই স্বলপরিসে এসব বলা কখনো সম্ভবপর হবে নয়।
তবে এটা মনে রাখবেন, খরচ যাতে কম হয়।ওয়ালিমা যাতে হয়।বরযাত্রা না হয়।কোনো রুসুম রেওয়াজকে ফলো করা না হয়।কবুল বলার সাথে সাথেই স্বামী স্ত্রী একত্র হতে পারবে।
(৫)
https://www.ifatwa.info/7843 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে,
নামায ব্যতীত সেজদা করা ও সেজদায় দু'আ করা, বাহ্যিক দৃষ্টিতে এতে কোনো সমস্যা মনে হচ্ছে না। তবে নিয়মিত না করাই উত্তম।এবং সুন্নাত মনে না করাই উচিৎ।(এমদাদুল ফাতাওয়া, ১/৬৪০)
শুকরিয়া আদায়ের সেজদাহ যে কোনো স্থানে করা যায়। এতেও অযুর প্রয়োজন হয়।কেবলা ঠিক রাখতে হয়।