ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4958 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
যা আমাদের দেশে প্রচলিত,
লোকজন বন্ধক চুক্তির সময় ফায়দা গ্রহণের শর্ত উল্লেখ করে না।কিন্তু বন্ধক চুক্তির দ্বারা নিয়ত বা উদ্দেশ্য-ই থাকে উক্ত জিনিষ থেকে ফায়দা গ্রহণ করা।
যদি ফায়দা গ্রহণ না করা যায়,তাহলে বন্ধকগ্রহীতা কখনো ঋণ দেবে না।
এমনকি যদি বন্ধকগ্রহীতা ঋণ দিয়ে দেয়,এবং(উক্ত মজলিসে ফায়দা সম্পর্কে কোনো প্রকার আলোচনা না হয়) ঘটনাক্রমে অন্য কোনো বৈঠকে বন্ধকদাতা বন্ধকগ্রহীতাকে ফায়দা গ্রহণের সুযোগ দিতে অস্বীকৃতি জানায় বা প্রথমে অনুমতি দিয়ে থাকে এবং পরবর্তিতে অনুমিত ছিনিয়ে নেয়,তাহলে বন্ধকগ্রহীতা অত্যন্ত রাগান্বিত হবে এবং সে তৎক্ষনাৎ তার প্রদানকৃত ঋণকে উসূল করার চেষ্টা করবে।
সুতরাং যদিও তাদের কথাবার্তার প্রাথমিক পর্যায়ে শর্তের আলোচনা নেই কিন্তু বন্ধকের মাধ্যমে আসল উদ্দেশ্য-ই হচ্ছে ফায়দা গ্রহণ।
সর্বজন স্বীকৃত যে,প্রসিদ্ধ জিনিষ শর্তের মতই হয়ে থাকে।
(যেমন বিশিষ্ট উসূলবিদ ইবনে নুজাইম আশবাহ নামক কাতাবে বলেছেন)
এত্থেকে অনেক শাখাপ্রশাখা বের হয়,
অর্থাৎ বাহ্যিক শর্ত যেভাবে হারাম ঠিকতেমনিভাবে গোপন শর্তারোপও হারাম।
যদি তাকে সরাসরি সুদ বলা যাবে না,কিন্তু অন্ততপক্ষে তাতে সুদের সন্দেহ তো নিশ্চয় রয়েছে।
সুদ যেভাবে হারাম ঠিকতেমনি সুদের সন্দেহজনক জিনিষ ও হারাম।যেমন ফুকাহায়ে কিরামগণ ব্যবস্যা এবং ঋণ অধ্যায়সমূহে এ বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা কর থাকেন।(শেষ)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
এডভান্স নিয়ে বাড়ি ভাড়া দিলে,বাড়ি ওয়ালার জন্য সেই টাকা ভোগ করা হারাম।তবে এক্ষেত্রে বাড়ি ভাড়া বাবৎ প্রাপ্ত টাকা হারাম বা নাজায়েয হবে না।