বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আল্লাহর কাছে কোনো কিছু চাওয়ার সময় এভাবে
"ইয়া নবী আপনি আল্লাহকে আমার দোয়াটি কবুল করার জন্য দয়া করে সুপারিশ করুন"
এটা শিরক হবে না।
(২)
" আল্লাহও নবী চেয়েছেন বলে" বা ওমুক চেয়েছেন বলে।
"আল্লাহ চেয়েছেন বা নবী চেয়েছে'' এটা চাওয়াটা যে সত্য বা অাল্লাহ বা তার রাসূল যে সত্যই চেয়েছেন।এটা যদি নিশ্চিত হয়, তাহলে এমনটা বলতে কোনো অনুবিধে নাই।
(৩)
https://www.ifatwa.info/1956 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
উসীলা গ্রহণ করে দু'আ করা জায়েয কি না? এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে।
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে এ বিষয়ে হানাফী ও সালাফী উলামায়ে কেরামদেরকে বেশ মতবিরোধ করতে দেখা যায়।হানাফী উলামায়ে কেরামগণ জায়েয বলেন।অর্থাৎ নবী বা অন্য কোনো নেককারের নেক কাজের উসীলা গ্রহণ করে দু'আ জায়েয,চায় উসীলা গ্রহণকৃত ব্যক্তি জীবিত হোক বা মৃত হোক, সর্বাবস্থায় উসীলা গ্রহণ জায়েয।
জীবিত ব্যক্তির উসীলা না মৃত ব্যক্তির উসীলা? এবং ব্যক্তিত্বের উসিলা না নেককাজের উসিলা? মূলত এ বিষয়দ্বয়কে কেন্দ্র করেই হানাফী ও সালাফীদের মধ্যে মতবিরোধের সূচনা হয়েছিলো।এবং এখনো হরদম হচ্ছে।
উভয়ের কাছে দলীল প্রমাণ রয়েছে।কিন্তু যদি আমরা মূল জিনিষটা বুঝতে পারি তাহলে দেখব যে,এ বিষয়ে শাব্দিক বিরোধ ছাড়া আর কিছুও নয়।অথচ আফসোস!হায় এ বিষয়টা না বুঝে আমরা একজন আরেকজনকে কতকিছুই না বলতেছি।বেদাতি,কাফির,কোনো শব্দই আমাদের থেকে ছুটে পালিয়েও রেহাই পাচ্ছে না।হানাফী উলামায়ে কেরামগণ ব্যক্তি উসীলাকে জায়েয বললেও নবী ব্যতীত অন্য কারো ব্যক্তিত্বের উসীলাকে কখনো বৈধ বলেন না।সুতরাং আমরা দেখতে পারছি যে,ব্যক্তিত্বর উসীলা বিষয়ে হানাফী উলামায়ে কেরামদের মতামত ও প্রায় সালাফী আলেমদের মত।
এ দুই দলের প্রয়োগকৃত শব্দরাজির শাব্দিক পার্থক্য বৈ অর্থগত কোনো পার্থক্য অদ্য এতে পরিলক্ষিত হচ্ছেনা। (শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহর রাসূল সাঃ এর ব্যক্তিত্বের উসিলা গ্রহণ করে দুআ করা জায়েয। এছাড়া অন্যান্যদের উসিলা গ্রহণ করে দুআ করার অর্থ এই যে, উক্ত ব্যক্তিবর্গের নেক কাজের উসিলা গ্রহণ করা হবে। তবে কোনো ব্যক্তি বিশেষের উসিলা গ্রহণ করে দুআ করা যাবে না।
(৪)
এটা সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।হ্যা আল্লাহ মাঝেমধ্যে ব্যক্তির উপর বিপদ না দিয়ে ব্যক্তির মালের উপর বিপদ দিয়ে থাকেন।