আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
95 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (8 points)
edited by
১)ধরুন রুদ্র মনে মনে বলল, "মুন্তাসির কে গালি দিয়ে কষ্ট না দিলে আমি মুশরিক"

মুন্তাসির একজন মুসলিম।

এখন যদি রুদ্র, মুন্তাসিরকে গালি না দেয়,তবে কি রুদ্র মুশরিক হয়ে যাবে??

রুদ্র চাচ্ছে মুন্তাসির কে গালি না দিতে এবং মুসলিম থাকতে।

এখন করনিয় কি??

২)ধরুন,আমি বললাম নিজে নিজেই,"যদি আমি পরাশুনা ছেড়ে না দেই, তবে আমি মুশরিক।"

এখন কি আমাকে পরাশুনা ছেড়ে দেওয়াই লাগবে?

আমার আপত্তি নাই।

কিন্তু আমি পরাশুনা ছেড়ে দিলে আব্বু আম্মু কষ্ট পাবে বলে আশংকা করি।
আমি চাই ।

আল্লাহ আমার উপর সন্তুষ্ট থাক।সাথে আব্বু আম্মুও কষ্ট না পাক।

এখন কি শিরক মুক্ত হয়ে পরাশুনা
চালিয়ে যাওয়ার কুন উপায় আছে?

করনিয় কি??

৩)সেদিন রাস্তায় চলার সময় একটা মেয়ে কে দেখলাম।
তারপর আমি নিজে নিজেই বলললাম, "যদি আমি এই মেয়ে কে গালি না দেই,তবে আমি মুশরিক।"

এরপর ভাব্লাম যে গালি দিলে মেয়েটা কষ্ট পাবে হয়ত।তখন মেয়েটার পাশ দিয়ে হেটে চলে আসলাম গালি না দিয়েই।

ওই মেয়ে আমাদের পাশের বাসায় থাকে।আমার কাছে তার নাম্বার আছে।আমি কি তাকে গালি লিখে মেসেজ পাঠাবো??

আমি চাচ্ছি আল্লাহ আমার উপর সন্তুষ্ট থাকুন আর ওই মেয়ে কে গালি দিতে চাচ্ছি না।এতে সে রাগ করতে পারে।

এখন কি করলে শিরক ও হবে না আর গালি দিয়ে কষ্ট ও দেওয়া লাগবে না??

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/34525/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
শরীয়তের বিধান হলো ইচ্ছাপূর্বক ভাবে নিজেকে নিজে কাফের বলে পরিচয় দেওয়া কুফরী। 

সূরা নাহলের ১০৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (106)

“কেউ বিশ্বাস স্থাপনের পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় মুক্ত রাখলে তার উপর আল্লাহ ক্রোধ পতিত হবে এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তবে তার জন্য নয়, যাকে (সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়, কিন্তু তার অন্তর বিশ্বাসে অটল।” (১৬:১০৬)
,

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছে
"وَمَنْ يَرْضَى بِكُفْرِ نَفْسِهِ فَقَدْ كَفَرَ."
(كتاب السير، الْبَابُ التَّاسِعُ فِي أَحْكَامِ الْمُرْتَدِّين ، مطلب فِي مُوجِبَاتُ الْكُفْرِ أَنْوَاعٌ مِنْهَا مَا يَتَعَلَّقُ بِالْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ، ٢ / ٢٥٧، ط: دار الفكر)
"এবং যে কুফরীতে সন্তুষ্ট থাকে, সে কাফের হয়ে গেছে।

আরো জানুনঃ   

الفتاوى الهندية (2/ 54):
"ولو قال: إن فعل كذا فهو يهودي، أو نصراني، أو مجوسي، أو بريء من الإسلام، أو كافر، أو يعبد من دون الله، أو يعبد الصليب، أو نحو ذلك مما يكون اعتقاده كفرًا فهو يمين استحسانًا، كذا في البدائع.
حتى لو فعل ذلك الفعل يلزمه الكفارة، وهل يصير كافرًا؟ اختلف المشايخ فيه، قال: شمس الأئمة السرخسي - رحمه الله تعالى -: والمختار للفتوى أنه إن كان عنده أنه يكفر متى أتى بهذا الشرط، ومع هذا أتى يصير كافرًا لرضاه بالكفر".
সারমর্মঃ
যদি কেহ বলে যে সে যদি অমুক কাজ করে তাহলে সে ইহুদি অথবা নাসারা অথবা অগ্নিপুজক অথবা ইসলাম থেকে মুক্ত অথবা কাফের,,,,,
তাহলে সেটি কসম হবে।
যদি সে উক্ত কাজ করে,তাহলে সে কাফের হবে কিনা,এই ব্যাপারে মাশায়েখদের মতবিরোধ রয়েছে। 
শামসুল আঈম্মাহ সরখসি রহঃ বলেন যদি তার আকীদা এমন হয় যে এই কাজ করলেই সে কাফের হয়ে যাবে,তাহলে এহেন আকীদা থাকার পরেও উক্ত কাজ করা মানে কুফরিতে সন্তুষ্ট থাকা।
বিধায় সে কাফের হয়ে যাবে।  

বিস্তারিত জানুনঃ

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
এখন যদি রুদ্র, মুন্তাসিরকে গালি না দেয়,তবে  রুদ্র মুশরিক হয়ে যাবেনা।

(০২)
আপনাকে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হবেনা।
আপনি অন্তরে এতটুকু নিয়ত রাখুন যে পড়াশোনা ছেড়ে না দিলে আপনি মুশরিক হবেননা।
এই বিশ্বাস ও নিয়ত সহকারে আপনি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।

(০৩)
আপনাকে গালি দিতে হবেনা।
মনে মনে আপনি যেসব ভেবেছেন,এর দরুন কিছুই হবেনা।

আপনি গালি দিন বা না দিন,তাতে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মুশরিক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।       

আপনি নিশ্চিত থাকুন,অহেতুক চিন্তা মাথাতেই আসতে দিবেননা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...