আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
202 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (28 points)
১)আল্লাহর কাছে কোনো কিছু চাওয়ার সময় এভাবে কি বলা যাবে? -" ইয়া নবী আপনি আল্লাহকে আমার দোয়াটি কবুল করার জন্য দয়া করে সুপারিশ করুন"??  এটা কি শিরক হবে??
২)কোনো কিছু বলার সময় এভাবে বললে কি শিরক হবে," আল্লাহও নবী চেয়েছেন বলে" বা ওমুক চেয়েছোন বলে?
৩) যারা মাজার অনুসরন করে তারা মৃত ওলিকে উসিলা বানিয়ে আল্লাহর নিকট দোয়া করেন। এখন আমার প্রশ্ন হলো এভাবে জীবিত/মৃত কেউ কি উসিলা হতে পারে?? মানে ওমুকের উসিলায় এটা হয়ে যাক এমন??
৩)অনেককে বলতে শুনি নবীজি আল্লাহর বন্ধু, আসলে নবীজি কি আল্লাহর বন্ধু?

৪)বিষয়টা সম্পর্কে জানতে চাই:- " আমাদের পোষা কয়েকটি মুরগি অসুস্থতা ছাড়ায় মারা গেলো,সবাই বলাবলি করে যে মালিকের উপর কোনো বিপদ আসলে সেটা তাদের পোষা প্রানীর উপর দিয়ে যায়"" ইসলাম কি বলে এই বিষয়ে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আল্লাহর কাছে কোনো কিছু চাওয়ার সময় এভাবে
"ইয়া নবী আপনি আল্লাহকে আমার দোয়াটি কবুল করার জন্য দয়া করে সুপারিশ করুন"
এটা শিরক হবে না।

(২)
" আল্লাহও নবী চেয়েছেন বলে" বা ওমুক চেয়েছেন বলে।

"আল্লাহ চেয়েছেন বা নবী চেয়েছে'' এটা চাওয়াটা যে সত্য বা অাল্লাহ বা তার রাসূল যে সত্যই চেয়েছেন।এটা যদি নিশ্চিত হয়, তাহলে এমনটা বলতে কোনো অনুবিধে নাই।

(৩)
https://www.ifatwa.info/1956 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
উসীলা গ্রহণ করে দু'আ করা জায়েয কি না? এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে।
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে এ বিষয়ে হানাফী ও সালাফী উলামায়ে কেরামদেরকে বেশ মতবিরোধ করতে দেখা যায়।হানাফী উলামায়ে কেরামগণ জায়েয বলেন।অর্থাৎ নবী বা অন্য কোনো নেককারের নেক কাজের উসীলা গ্রহণ করে দু'আ জায়েয,চায় উসীলা গ্রহণকৃত ব্যক্তি জীবিত হোক বা মৃত হোক, সর্বাবস্থায় উসীলা গ্রহণ জায়েয।

জীবিত ব্যক্তির উসীলা না মৃত ব্যক্তির উসীলা? এবং ব্যক্তিত্বের উসিলা না নেককাজের উসিলা? মূলত এ বিষয়দ্বয়কে কেন্দ্র করেই হানাফী ও সালাফীদের মধ্যে মতবিরোধের সূচনা হয়েছিলো।এবং এখনো হরদম হচ্ছে।
উভয়ের কাছে দলীল প্রমাণ রয়েছে।কিন্তু যদি আমরা মূল জিনিষটা বুঝতে পারি তাহলে দেখব যে,এ বিষয়ে শাব্দিক বিরোধ ছাড়া আর কিছুও নয়।অথচ আফসোস!হায় এ বিষয়টা না বুঝে আমরা একজন আরেকজনকে কতকিছুই না বলতেছি।বেদাতি,কাফির,কোনো শব্দই আমাদের থেকে ছুটে পালিয়েও রেহাই পাচ্ছে না।হানাফী উলামায়ে কেরামগণ ব্যক্তি উসীলাকে জায়েয বললেও নবী ব্যতীত অন্য কারো ব্যক্তিত্বের উসীলাকে কখনো বৈধ বলেন না।সুতরাং আমরা দেখতে পারছি যে,ব্যক্তিত্বর উসীলা বিষয়ে হানাফী উলামায়ে কেরামদের মতামত ও প্রায় সালাফী আলেমদের মত।
এ দুই দলের প্রয়োগকৃত শব্দরাজির শাব্দিক পার্থক্য বৈ অর্থগত কোনো পার্থক্য অদ্য এতে পরিলক্ষিত হচ্ছেনা। (শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহর রাসূল সাঃ এর ব্যক্তিত্বের উসিলা গ্রহণ করে দুআ করা জায়েয। এছাড়া অন্যান্যদের উসিলা গ্রহণ করে দুআ করার অর্থ এই যে, উক্ত ব্যক্তিবর্গের নেক কাজের উসিলা গ্রহণ করা হবে। তবে কোনো ব্যক্তি বিশেষের উসিলা গ্রহণ করে দুআ করা যাবে না।

(৪)
এটা সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।হ্যা আল্লাহ মাঝেমধ্যে ব্যক্তির উপর বিপদ না দিয়ে ব্যক্তির মালের উপর বিপদ দিয়ে থাকেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...