আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
145 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
Assalamualaykum.
আমার ক্লাস ৬/৭/৮ থেকে উপবৃত্তির টাকা highschool থেকে নিয়েছি।  কিন্তু তখন আমি বুঝতাম না।  এগুলো সম্ভাবত হারাম ব্যাংক থেকে আগত।  এখন কত টাকা নিয়েছি তার হিসাব নেই। আমার পিতামাতার সম্পত্তি আছে মোটামুটি কিন্তু সব হারাম।
এখন আমার বিকাশে উপবিত্তির কিছু টাকা আছে।  কিন্তু আমার পিন নেই।  বিকাশ লক।  আমি এখন  উপার্জন অক্ষম ।  এই টাকার বি ধান কি?

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/11969/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
 
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী সুদ প্রদান আর গ্রহন উভয়ই গুনাহ।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ      

عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
,
বৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে দেখতে হবে যে  কোন খাত থেকে উক্ত ব্যাংক বৃত্তি  দিচ্ছে।যদি হালাল খাত থেকে দেয় তাহলে ধনী গরীব সবার জন্য বৈধ হবে।আর যদি হারাম খাত থেকে দেয় বা নির্দিষ্ট ভাবে জানা না যায়,তাহলে ধনী, ছাত্র ছাত্রী  দের জন্য জায়েয হবে না।তবে গরীব ছাত্র ছাত্রী দের জন্য জায়েয হবে।

★★সুতরাং ব্যাংক থেকে বৃত্তি নেওয়ার ক্ষেত্রে দেখতে হবে যে আপনার উপর যাকাত ফরজ কিনা,আপনি নাবালেগ হলে আপনার বাবার উপর যাকাত ফরজ কিনা?
যদি আপনার উপর যাকাত ফরজ হয়,বা আপনি না বালিগ হওয়ার ছুরতে আপনার বাবার উপর যদি যাকাত ফরজ হয়,আর ব্যাংক যদি পুরো সূদের টাকা দিয়েই উক্ত বৃত্তি প্রদান করে,তাহলে সেটি নেওয়া আপনার জন্য জায়েজ নয়।

ব্যাংক থেকে সুদের টাকা থেকে  বৃত্তি নেওয়া গরিবদের জন্য জায়েজ, ধনীদের জন্য  জায়েজ নয়।
এ সংক্রান্ত আরো জানুনঃ

সুতরাং আসলেই যদি আপনি গরিব (যাকাত প্রাপ্তির উপযুক্ত) না হয়ে থাকেন,
তথা আপনার উপর যদি যাকাত ফরজ হয়ে থাকে,নেসাব পরিমান সম্পদ যদি আপনার মালিকানায় থাকে,তাহলে উক্ত বৃত্তি নেওয়া আপনার জন্য জায়েজ হয়নি।
আপনাকে তাহা ফিরিয়ে দিতে হবে,বা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া ছদকাহ করে দিতে হবে। 
,
আর যদি আপনি যাকাত প্রাপ্তির উপযুক্ত হয়ে থাকেন,তথা আপনার উপর যদি যাকাত ফরজ না হয়ে থাকে,নেসাব পরিমান সম্পদ যদি আপনার মালিকানায় না থাকে,তাহলে নির্দিধায় আপনি উক্ত উপবৃত্তি নিতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।

বিস্তারিত জানুনঃ   

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি যতদিন এই উপবৃত্তির টাকা নিয়েছেন,পুরোটা সময়ে আপনি শরীয়তের ভাষায় নিজে গরিব ছিলেন। আপনার উপর যাকাত ফরজ হওয়ার মতো নেসাব পরিমান সম্পদ নেই।
আপনি উপার্জনও করেননা।
সুতরাং শরীয়তের পরিভাষায় আপনি যেহেতু গরিব অবস্থাতেই সেই টাকা গুলি নিয়েছিলেন,তাই সেই টাকা ব্যবহার আপনার জন্য জায়েজ আছে।
সমস্যা নেই।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...