জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
একাকী ফরজ সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে তাকবীর এবং কিরাআত উচ্চস্বরে বলা জরুরী নয়।
ভুলক্রমে তাকবীর কখনো উচ্চস্বরে কখনো নিম্নস্বরে হলে নামাজের কোনো ক্ষতি হবেনা।
তবে কিরাআতের ক্ষেত্রে সমস্যা আছে।
নিম্নস্বর বিশিষ্ট কিরাআত ওয়ালা নামাজে জোড়ে কিরাআত পড়লে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।
উচ্চস্বর বিশিষ্ট নামাজে কিরাআত কখনো উচ্চস্বরে কখনো নিম্নস্বরে হলে একাকী নামাজ আদায় কারীর ক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা।
কোনো ক্ষতি হবেনা।
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছেঃ
"(وَمِنْهَا الْجَهْرُ وَالْإِخْفَاءُ)
حَتَّى لَوْ جَهَرَ فِيمَا يُخَافَتُ أَوْ خَافَتَ فِيمَا يُجْهَرُ وَجَبَ عَلَيْهِ سُجُودُ السَّهْوِ وَاخْتَلَفُوا فِي مِقْدَارِ مَا يَجِبُ بِهِ السَّهْوُ مِنْهُمَا قِيلَ: يُعْتَبَرُ فِي الْفَصْلَيْنِ بِقَدْرِ مَا تَجُوزُ بِهِ الصَّلَاةُ وَهُوَ الْأَصَحُّ وَلَا فَرْقَ بَيْنَ الْفَاتِحَةِ وَغَيْرِهَا، وَالْمُنْفَرِدُ لَايَجِبُ عَلَيْهِ السَّهْوُ بِالْجَهْرِ وَالْإِخْفَاءِ؛ لِأَنَّهُمَا مِنْ خَصَائِصِ الْجَمَاعَةِ، هَكَذَا فِي التَّبْيِينِ". ( كتاب الصلاة، الْبَابُ الثَّانِي عَشَرَ فِي سُجُودِ السَّهْوِ، ١ / ١٢٨، ط: دار الفكر)
সারমর্মঃ
(শেষে উল্লেখ রয়েছে) আর একাকী নামাজ আদায় কারীর ক্ষেত্রে উচ্চস্বর আর নিম্নস্বরে কিরাআত পড়ার দ্বারা সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা।
কেননা এগুলো জামা'আতের বৈশিষ্ট।
(০২)
কাজা ফরজ সালাতের ক্ষেত্রেও একাকী ফরজ সালাতের তাকবীর ও কিরাত বিষয়ক নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
(০৩)
শরীয়তের বিধান হলো সোজা হয়ে দাড়িয়ে মুখে তাকবিরে তাহরিমা বলে তারপর রুকুতে গিয়ে ইমামকে সামান্য সময়ের জন্য পেলেই তবে সে উক্ত রাকাত পাবে।
উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে ইমামের মাথা তোলার আগে এক সেকেন্ডও যদি রুকুতে পাওয়া যায়,তাহলেই সেই রাকাত পেয়েছে বলে গন্য হবে।
নতুবা তাকে উক্ত রাকাত পায়নি বলেই গন্য করা হবে।
এখানে ইমামকে এক তাসবীহ পরিমাণ পাওয়া জরুরি নয়।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال من أدرك ركعة من الصلاة فقد أدركها قبل أن يقيم الإمام صلبه
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি নামাযের রুকু পেয়ে যায় ইমাম তার পিঠ সোজা করার পূর্বে, সে ব্যক্তি উক্ত রাকাত পেয়ে গেল।
{সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২৪০৮, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৩২৯, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-৪৫, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২০৬৯৩, নসবুর রায়াহ, হাদীস নং-৩২৭}
عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ : مَنْ أَدْرَكَ الإِمَامَ رَاكِعًا ، فَرَكَعَ قَبْلَ أَنْ يَرْفَعَ الإِمَامُ رَأْسَهُ فَقَدْ أَدْرَكَ تِلْكَ الرَّكْعَةَ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ইমামকে রুকু অবস্থায় পাবে, তারপর সে ইমাম মাথা উঠানোর আগে তার সাথে রুকু করে, তাহলে উক্ত রাকাত পেয়ে গেছে। {সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২৪১৩}
বিস্তারিত জানুনঃ
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত রাকাত জামায়াতে আদায় হয়েছে বলে ধরতে হবে।
(০৪)
জোহরের ওয়াক্ত কতক্ষন থাকে,এ সংক্রান্ত জানুনঃ
সূর্যোদয়ের পর পশ্চিমাকাশ লালবর্ণের হয়ে যায়।এই লালবর্ণ দূর হওয়ার পর আকাশ আবার সাদা হয়ে যায়।এই সময়ের সাদা আকাশকে শাফাক্ব বলা হয়।এই শাফাক্ব যতক্ষণ না ডুবছে,ততক্ষণ পর্যন্ত মাগরিবের ওয়াক্ত বাকী থাকবে।[বাদায়ে সানায়ে-১/৩২০]
আরো জানুনঃ