আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
1,822 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (18 points)

আসসালামু আলাইকুম শায়েখ।

  1.  সালাম দেয়ার সময় কি কপালে হাত তুলতে হয়? অনেকে বলেন, তুলতে হয়, অনেকে বলেন হয় না। হাদিসের আলোকে জানতে চাই।
  2. কোনো মহিলা ওযু করার পর যদি কোনো গায়রে মাহরাম তাকে দেখে অথবা সে কোনো গায়রে মাহরামকে দেখে, তাহলে কি তার ওযু ভঙ্গ হবে?  অনেকের বাসায় গায়রে মাহরাম থাকে। ফ্রী মিক্সিং স্কুলে অনেক মেয়েকেই ওযু করতে হয়। তাই না চাইতেও তাদের সামনে দিয়ে যেতে হয় এবং ভুলে চোখও পড়ে যেতে পারে। তাই করণীয় কি?  ওযু কি ভঙ্গ হবে?
  3. পায়ে ধরে সালাম করার জন্য অনেককেই খুব বেশি চাপে থাকতে হয়। এক্ষেত্রে যখন একদমই পারা যায় না তখন যদি কেউ মাথা নিচু না করে শুধু এক আঙুল দিয়ে পা ছুঁই এবং সেই হাত বুকে না লাগিয়ে এমনি স্বাভাবিক ভাবেই পা ছুঁয়ে চলে যায়, এতে কি তার গুনাহ হবে?  উল্লেখ্য যদি তাকে চেক করা না হয় তখন সে এমন করে সালাম করে না। চেক করা হলেই এমন করে দেখানোর জন্য।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
সমাধানঃ-
  1. (১)কুরআন হাদীসের কোথাও সালামের সময় হাত তুলার কথা আসেনি।সালাম মুখ দ্বারা উচ্ছারণ করে বলা হবে।এবং জবাবও মুখ দ্বারা উচ্ছারণ করে দেয়া হবে।তাই সালামের সময় হাত তুলা বিদআত।হ্যা কেউ যদি এত দূরে থাকে যে,সে সালাম শুনবে না বলে মনে হচ্ছে,তাহলে তাকে হাত তুলে ইশারা করা যাবে যে,আমি তোমাকে সালাম দিচ্ছি।তবে তখনও মুখ দ্বারা সালামকে উচ্ছারণ করতে হবে।এবং যাকে হাত তুলে সালাম দেয়া হচ্ছে,তিনিও মুখ দ্বারা সালামের জবাব দিয়ে হাত দ্বারা ইশারা করে বুঝাবেন যে,আমি তোমাকে সালামের জবাব দিচ্ছি।
  2. (২)শরয়ী প্রয়োজন ব্যতীত গায়রে মাহরামকে দেখা যাবে না।বিনা প্রয়োজনে দেখলে গোনাহ হবে। তবে গায়রে মাহরামকে দেখলে অজু ভঙ্গ হবে না।কেননা গায়রে মাহরাম দেখা অজু ভঙ্গের কারণ সমহের মধ্য থেকে নয়।
  3. (৩)সালাম করা নবীজী সাঃ এর সুন্নাত।কাউকে সালাম দিতে হলে মূখ দিয়ে উচ্ছারণ করে "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ "বলতে হবে।কেননা এটাই ছিলো রাসূলুল্লাহ সাঃ এর রীতিনীতি ও পদ্ধতি।পা ছূয়ে বা হাত নেড়ে সালাম করা বা সম্মান প্রদর্শন করা নবীজী সাঃ এর রীতিনীতি ছিল না। বরং এটা সরাসরি সুন্নাত বহির্ভূত কাজ।এবংবেদআত।যা অবশ্যই বর্জনীয়। মা-বাবা বা কোন নেককার বুজুর্গের হাত-পা ও কপালে বরকতের নিয়তে ছুমা দেওয়াকে অধিকাংশ  ফুকাহায়ে কেরাম জায়েয মনে করেন।তবে মাথা নূয়ে পায়ে ছুমা দেওয়া সম্পর্কে ফুকাহাদের মধ্যে মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।অধিকাংশের মতে বৈধ রয়েছে।কিন্তু পায়ে ধরে শশুড়-শাশুড়ি কে সালাম বা সম্মান প্রদর্শনকে কেউ -ই বৈধ মনে করেন না।(জাওয়াহিরুল ফিকহ,১/২০০)জানুন- 3275


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 430 views
...