ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
সমাধানঃ-
- (১)কুরআন হাদীসের কোথাও সালামের সময় হাত তুলার কথা আসেনি।সালাম মুখ দ্বারা উচ্ছারণ করে বলা হবে।এবং জবাবও মুখ দ্বারা উচ্ছারণ করে দেয়া হবে।তাই সালামের সময় হাত তুলা বিদআত।হ্যা কেউ যদি এত দূরে থাকে যে,সে সালাম শুনবে না বলে মনে হচ্ছে,তাহলে তাকে হাত তুলে ইশারা করা যাবে যে,আমি তোমাকে সালাম দিচ্ছি।তবে তখনও মুখ দ্বারা সালামকে উচ্ছারণ করতে হবে।এবং যাকে হাত তুলে সালাম দেয়া হচ্ছে,তিনিও মুখ দ্বারা সালামের জবাব দিয়ে হাত দ্বারা ইশারা করে বুঝাবেন যে,আমি তোমাকে সালামের জবাব দিচ্ছি।
- (২)শরয়ী প্রয়োজন ব্যতীত গায়রে মাহরামকে দেখা যাবে না।বিনা প্রয়োজনে দেখলে গোনাহ হবে। তবে গায়রে মাহরামকে দেখলে অজু ভঙ্গ হবে না।কেননা গায়রে মাহরাম দেখা অজু ভঙ্গের কারণ সমহের মধ্য থেকে নয়।
- (৩)সালাম করা নবীজী সাঃ এর সুন্নাত।কাউকে সালাম দিতে হলে মূখ দিয়ে উচ্ছারণ করে "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ "বলতে হবে।কেননা এটাই ছিলো রাসূলুল্লাহ সাঃ এর রীতিনীতি ও পদ্ধতি।পা ছূয়ে বা হাত নেড়ে সালাম করা বা সম্মান প্রদর্শন করা নবীজী সাঃ এর রীতিনীতি ছিল না। বরং এটা সরাসরি সুন্নাত বহির্ভূত কাজ।এবংবেদআত।যা অবশ্যই বর্জনীয়। মা-বাবা বা কোন নেককার বুজুর্গের হাত-পা ও কপালে বরকতের নিয়তে ছুমা দেওয়াকে অধিকাংশ ফুকাহায়ে কেরাম জায়েয মনে করেন।তবে মাথা নূয়ে পায়ে ছুমা দেওয়া সম্পর্কে ফুকাহাদের মধ্যে মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।অধিকাংশের মতে বৈধ রয়েছে।কিন্তু পায়ে ধরে শশুড়-শাশুড়ি কে সালাম বা সম্মান প্রদর্শনকে কেউ -ই বৈধ মনে করেন না।(জাওয়াহিরুল ফিকহ,১/২০০)জানুন- 3275