বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَاعْتَصِمُواْ بِحَبْلِ اللّهِ جَمِيعًا وَلاَ تَفَرَّقُواْ وَاذْكُرُواْ نِعْمَةَ اللّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ كُنتُمْ أَعْدَاء فَأَلَّفَ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ فَأَصْبَحْتُم بِنِعْمَتِهِ إِخْوَانًا وَكُنتُمْ عَلَىَ شَفَا حُفْرَةٍ مِّنَ النَّارِ فَأَنقَذَكُم مِّنْهَا كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ
আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ কর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমরা সে নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা আল্লাহ তোমাদিগকে দান করেছেন। তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের মনে সম্প্রীতি দান করেছেন। ফলে, এখন তোমরা তাঁর অনুগ্রহের কারণে পরস্পর ভাই ভাই হয়েছ। তোমরা এক অগ্নিকুন্ডের পাড়ে অবস্থান করছিলে। অতঃপর তা থেকে তিনি তোমাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন। এভাবেই আল্লাহ নিজের নিদর্শনসমুহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা হেদায়েত প্রাপ্ত হতে পার।(সূরা আলে ইমরান-১০৩)
প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয যে,তারা এক উম্মাহ হবে।তাদের খলিফাও একজন হবেন।যার শাষন সারা দুনিয়া ব্যাপী থাকবে।অতঃপর এই খলিফা দেশে দেশে এবং শহরে শহরে উনার প্রতিনিধি নিয়োগ দিবেন।যেমন ইসলামের প্রাথমিক যুগে ছিলো।সুতরাং সমস্ত মুসলমানের উপর ফরয যে তারা একত্র হয়ে এক খলিফার কাছে বায়আত গ্রহণ করবে।তাদের পরিচয় হবে এক,তাদের পতাকা হবে এক,তারা একটি ছায়াতলেই একত্রিত হবে,আর সেই ছায়াই হল,শান্তি ও নিরাপত্তার ছায়া,ইসলাম।
আজ মুসলমানরা পরাজিত এবং হেনস্থার স্বীকার।এর একমাত্র কারণই হল,পরস্পর বিচ্ছিন্নতা ও শত্রুতা।তারা সে দিকেই চলছে,যেদিকে যেতে রাসূলুল্লাহ সাঃ নিষেধ করে গিয়েছিলেন।মুসলমানদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে রয়েছে একতা ও সহমর্মিতা।
সারা মুসলিম জাহান হবে এক উম্মাহ।আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَإِنَّ هَذِهِ أُمَّتُكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَأَنَا رَبُّكُمْ فَاتَّقُونِ
আপনাদের এই উম্মত সব তো একই ধর্মের অনুসারী এবং আমি আপনাদের পালনকর্তা; অতএব আমাকে ভয় করুন।(সূরা মু'মিনুন-৫২)
অত্র আয়াতে আরব-অনারব যারাই এক আল্লাহর ইবাদত করছে বা করবে,সবাইকে এক উম্মাহ বলা হয়েছে।ইসলামের শত্রুদের মুকাবেলায় সমস্ত মুসলমানকে এক হাত বলা হয়েছে।সুতরাং মুসলমানদের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে সমস্ত উম্মাহকে আবার এক হতে হবে।
'উম্মহর ঐক্য ফরয' এ কথা দ্বারা মূলত বুঝানো হয়ে থাকে, সকল মুসলমান পরস্পর ভাই ভাই হয়ে থাকা।এবং এটা এত গুরুত্বপূর্ণ যে,শরীয়ত এ বিষয়টাকে ফরয ঘোষনা দিয়েছে।