আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
1,316 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (39 points)
১. বর্তমানে অনেকেই আছেন যারা একদল লোককে মানহাযী বলে। মানহাযী কাদের বলা হয়। কি কি বৈশিষ্ট্য থাকলে তাদের মানহাযী বলে? তারাও কি আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আ এর অন্তর্ভুক্ত?       
২. আসারী আশআরী মাতুরিদি আকীদার ব্যসীক পার্থক্যগুলো কি কি? কবে এসব আকীদার উদ্ভব হয়? এই ৩টি আকীদা সম্পর্কে ক্লিয়ারলি জানতে কোনো লেখা বই বা লেকচার হবে কি? পিডিএফ থেকে থাকলে দয়া করে দেবেন হজরত......

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
(০১)
مَنْهَج ، مِنْهَج ج مَنَاهِج [نهج]
[মান্হাজ, মিন্হাজ]
পথ পন্থা,পদ্ধতি,প্রণালী,রাস্তা,প্রোগ্রাম,কার্যক্রম,পাঠক্রম,সিলেবাস,কারিকুলাম

(০২)আশ'আরী এবং মাতুরিদি আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের অন্তর্ভুক্ত।আছারী সম্পর্কে অনেক উলামায়ে কেরাম আহলে হক তথা আহলে সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত মনে করেন।

আশায়েরা বলা হয়, যাদের নিসবত ইমাম আবুল হাসান আশআরী রহঃ এর দিকে। আর যাদের নিসবত ইমাম আবু মানসূর মাতুরিদী রহঃ এর দিকে, তাদের বলা হয় মাতুরিদী।
আশায়েরা মাতুরিদী উভয় দলের আকিদাই সঠিক।

মূলত তারা উভয়ে আল্লাহর নবী সাঃ এবং সাহাবায়ে কেরামের আকিদাসমূহ সংকলন করেছেন। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারীদের মাঝে এ দুইজনের সংকলন ব্যাপক প্রসিদ্ধি লাভ করে।

তাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারীগণ এ দুইজনের একজনের দিকে নিজেদের আকিদাগত বিষয়ে নিসবত করে থাকেন।

তাদের উভয়ের মাঝে কিছু সংখ্যক মতভেদ রয়েছে। তবে তা বলতে গেলে আক্ষরিক মতভেদ। মূল মতভেদ নয়। আর এসব মতভেদ হয়েছে এমন বিষয়ে, যে বিষয়ে সাহাবায়ে কেরাম থেকে সুষ্পষ্ট কোন বক্তব্য পাওয়া যায় না।

ভ্রান্ত মুতাযিলা ও মুজাসসিমা ও জাহমিয়া ফিরক্বার বিরুদ্ধে আবুল হাসান আশআরী রহঃ শক্ত হাতে কলম ধরেন। জাহমিয়া ও মু’তাযিলাদের বিরুদ্ধে তিনি “আলমুযিজ” নামক তিন খন্ডে গ্রন্থ রচনা করেন।
ইমাম আশআরী রহঃ মুহাদ্দিস, ফক্বীহ ও মুতাযিলাদের মতবিরোধপূর্ণ বিষয়ে মুহাদ্দিসদের মত পোষণ করতেন। তিনি সর্বদাই বিদআতপন্থীদের থেকে দূরে থাকতেন। তিনি আক্বীদা বিষয়ে প্রথমে নছ তথা কুরআন সুন্নাহ তারপর তার সমর্থনে আকল তথা যুক্তিকেও ব্যবহার করতেন। [ইসলামী বিশ্বকোষ, ইফাবা, ইলমুল কালাম-৫৭] 

তিনি আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের একজন ইমাম হিসেবেই উম্মতে মুসলিমার কাছে সুপরিচিত। তাকে গ্রহণযোগ্য কোন মুহাক্কিক বাতিল বলে সাব্যস্ত করেননি। কিংবা না বুঝার কারণে অনেকে হয়তো তার বিরুদ্ধে সমালোচনা করে থাকেন।

★ আশআরী মাতুরিদি আকীদার ব্যসীক পার্থক্যঃ

আশ'আরি ও মাতুরিদি ফিরকাদ্বয়ের মধ্যে মূলত আক্ষরিক বা শাখা-প্রশাখাগত কিছু মতভেদ রয়েছে।বড় বা মৌলিক কোনো মতবেদ নেই।যেভাবে চার মাযহাবের মধ্যে শাখা-প্রশাখাগত মতপার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে।
[ইসলামী বিশ্বকোষ, ইফাবা, ইলমুল কালাম-৫৭]


★আল্লাহ কাউকে শক্তির বাইরে কষ্ট দেননা।

★আল্লাহর সকল কাজ কল্যানের উপর ভিত্তিশীল।

★জ্ঞানের মাধ্যমে আল্লাহর পরিচয় লাভ।

★আল্লাহ যুলুম করেননা,তার জালেম হওয়া জ্ঞাংত দিক দিয়ে অসম্ভব। 

★ইমান হ্রাস পায়না,বৃদ্ধিও পায়না।

★আল্লাহকে যথাযথভাবে  চেনা অসম্ভব। 

★ জীবন সম্পর্কে হতাশ হওয়া অবস্থাতেও তওবা কবুল হয়। 

★মাতুরিদিয়্যা ফিরকা মনে করেন,

আল্লাহ তা'আলা যে সমস্ত ওয়াদা করেছেন, জান্নাত জাহান্নাম সম্পর্কে।এগুলোর বিরোধী কোনো ফয়সালা আল্লাহ কখনো করবেন না।অন্যদিকে আশায়েরা ফিরকা মনে করেন,আল্লাহর জন্য জায়েয রয়েছে,নিজ ওয়াদার খেলাফ কিছু করা।

নজমুল ফারাঈদ-২৯


আল্লাহ কখনো ফে'লে কাবীহ সংগঠিত করবেন না।তথা কামিল ঈমানদারকে আযাব প্রদান,আম্ববিয়ায়ে কেরাম কে আযাব প্রদান,কাফিরকে জান্নাতে প্রবশ করানো, এ সব আল্লাহ কখনো করবেন না।তবে আশায়েরা ফিরকা মনে করে,এ গুলো আল্লাহ জন্য জায়েয রয়েছে।তিনি চাইলে এগুলো করতে পারবেন।(নজমুল ফারাঈদ-৩০)

ইত্যাদি শাখা প্রশাখাগত আরো অনেক অনেক মাস'আলায় তাদের মতপার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে।

এ সংক্রান্ত কিতাবঃ 
★ইসলামী আকিদা ও ভ্রান্ত মতবাদ
মাওলানা হেমায়েত  উদ্দিন  সাহেব  দাঃবাঃ  
(পিডিএফ 
,
★ইসলামী বিশ্বকোষ, ইফাবা, (ইলমুল কালাম অধ্যায়) 
★শরহে আকায়িদ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...