যদি ঘুমের মধ্যে দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত বের হয় এবং গলায় রক্ত (রক্তের পরিমাণ- থুথুর পরিমাণের সমান বা বেশি) চলে যায়/ঘুমের মধ্যে গিলে ফেলি, তাহলে কি রোজা ভেঙে যাবে?

Question

দ্বীনে ফেরার আগে আমার দাঁতের ট্রিটমেন্ট চলছিল একজন পুরুষ ডাক্তারের কাছে। দ্বীনে ফেরার পর আমি আর ওই ডাক্তারের কাছে যাইনি। কিন্তু মাড়ি থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য আমার এখন তার কাছে যাওয়া জরুরী। কারণ অলরেডি আমার ট্রিটমেন্ট চলছিল। দাঁতের মধ্যে কিছু ওয়্যার লাগানো আছে এখনো। এগুলো খুলে ফেলতে হবে। তার কাছে না যাওয়ার ফলে রক্তক্ষরণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এমতাবস্থায় আমি বুঝতে পারছি না যে রোজা রাখলে আমার রোজা হচ্ছে কিনা, কারণ সাহরি করার পর ঘুমিয়ে পড়লে অনেক সময় রক্ত গলায় চলে যায় এবং গিলে ফেলি ঘুমের মধ্যে। এখন আমার করনীয় কি?

Answer 1

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/3716 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
চিকিৎসা বিদ্যা শিক্ষা করার ক্ষেত্রে চলমান পরিস্থিতিতে  কর্তৃপক্ষের উপর ওয়াজিব, পুরুষকে পুরুষ রোগী ও মহিলাকে মহিলা রোগী দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেওয়া।
তারপরও যদি কর্তৃপক্ষ না দেয় তাহলে এমতাবস্থা করণীয় কি?
তা বুঝতে হলে ইবনে আবেদীন শামী রাহ, এর নিম্নোক্ত আলোচনা অতিলক্ষণীয়.................
إذا كان المرض في سائر بدنها غير الفرج يجوز النظر إليه عند الدواء، لأنه موضع ضرورة، وإن كان في موضع الفرج، فينبغي أن يعلم امرأة تداويها فإن لم توجد وخافوا عليها أن تهلك أو يصيبها وجع لا تحتمله يستروا منها كل شيء إلا موضع العلة ثم يداويها الرجل ويغض بصره ما استطاع إلا عن موضع الجرح اهـ فتأمل والظاهر أن " ينبغي " هنا للوجوب
যদি কোনো মহিলার স্ত্রী লিঙ্গ ব্যতীত সমস্ত শরীরে রোগ হয়ে যায়, তাহলে পুরুষ ডাক্তারের জন্য উক্ত মহিলার সমস্ত শরীরে দৃষ্টি দেয়া জায়েয আছে।কেননা তখন চিকিৎসার স্বার্থে দেখাটা অতি প্রয়োজনীয় হয়ে যায়।আর যদি রোগ স্ত্রী লিঙ্গে(লজ্জাস্থানে) থাকে,তখন ওয়াজিব হয়ে যায়, কোনো মহিলাকে ডাক্তারি শিক্ষা দেওয়া, যে মহিলা পরবর্তিতে উক্ত মহিলার চিকিৎসা করবে।কিন্তু যদি কোনো মহিলা না পাওয়া যায় বা দেরী হলে উক্ত মহিলার রোগ বেড়ে যাবে বা মহিলা মারা যাবে,তখন রোগাক্রান্ত লজ্জাস্থান ব্যতীত উক্ত মহিলার সমস্ত শরীর ঢেকে দেওয়া হবে,অতঃপর  পুরুষ ডাক্তার উক্ত মহিলার রোগাক্রান্ত লজ্জাস্থানের চিকিৎসা করবে।তবে চিকিৎসা করার সময় রোগাক্রান্ত স্থান ব্যতীত অন্যান্য সমস্ত অঙ্গ থেকে নিজ চক্ষুকে হেফাজত করবে।(রদ্দুল মুহতার;৬/৩৭০--৩৭১)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
রোযা অবস্থায় ঘুমের মধ্যে গলায় রক্ত চলে গেলেও রোযা ফাসিদ হবে না।