আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
269 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (81 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।শায়েখ আবার বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত।লাস্ট বার।

১।একজন মারাত্বক ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যাক্তি। ২৪ ঘন্টা যার তালাকের চিন্তা ঘুরে বেড়ায়।সে ভাত খাওয়ার সময় আবার মনে আসছে ওয়াসওয়াসা। এখন সে বুঝতেছে না ওটা মানে তালাকের কথা মুখে বলেছে কিনা নাকি ভাত চিবানো ওটাকে ভাবছে।সাধারনত সে মুখে উচ্চারন করে না।এতে কি সমস্যা হবে? ও তালাক চাই না শুধু ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে মনে।এখন মুখে উচ্চারন করেছে কিনা সে নিজেও বুঝতেছে না।

২।সে দোয়া পড়ার সময় অন্য মনস্ক হয়ে যায়।আবার পড়ার সময় ভাবে এখন এটা কি বল্লাম কোন তালাক বলেছে কিনা।আল্লাহ বলতে গিয়েও সন্দেহ হয় সব কথায়।তাই দোয়া সহ  মনে মনে পড়ে।মাঝে মাঝে মুখে পড়ার সময় এই সমস্যা হয়।ওয়াসওয়সার কারনে এরকম বের হলে শুধু তালাক শব্দটা তাহলে কি তালাক হবে? আর আমি প্রশ্ন করায় আমার সমস্যা হবে?অন্য জনের সাথে কথাও বলতে ভয় হয় ওর।মুখ দিয়ে বের হবে কিনা ভেবে।জিহ্বা ঠোট চেপে রাখে।মাঝে মাঝে অন্য মনস্ক হয়ে দোয়া পড়লে ভয় হয় ওর যেমনঃ জিকির করা,ইস্তেগফার পড়া।কোন মুখ দিয়ে ত...... বের হল কিনা ভেবে হয় তখন।পড়ার সময় বের হয়েছে মত লাগলে বা বের হলেও কি সমস্যা হবে?কথা বলা সহ বন্ধ করে দিয়েছে ওনি ভয়ে।

৩।এমনিতে চিন্তায় আসলে বা অন্য জনের সাথে কথা বলার সময় মনের অজান্তে মুখ দিয়ে বের হলে বা ওয়াসওয়সার কারনে অনিচ্ছা   সত্বেও বের হলে কি তালাক হয়?জানার জন্য প্রশ্নটা করলাম

৪।কেউ বলার পর না না বললে কি আর পতিত হবে? মানে সাথে সাথে।

৫।

""তালাক শব্দ বলার ক্ষেত্রে তালাকের নিয়ত থাকা আবশ্যক।
যদি তালাকের নিয়ত না করে,তাহলে তালাক হবেনা।
لو كرر مسائل الطلاق بحضرة زوجته ويقول: أنت طالق ولا ينوى طلاقا لا تطلق، (فتح القدير، كتاب الطلاق، باب ايقاع الطلاق-4/4)

সারমর্মঃ

কেহ যদি তালাকের মাসয়ালা বারবার তার স্ত্রীর সামনে পড়ে,বলে যে তুমি তালাক,,, তালাকের নিয়ত ছাড়া যদি বলে,তাহলে তালাক হবেনা।""

মানে শায়েখ মুখ দিয়ে এমনিতে বের হলে তালাক হবে না? আর মেয়েদের জন্যও কি একই?

৬।হালকা ঘুমে কেউ তালাক  দিচ্ছে স্বপ্নে দেখলে কি তালাক হবে?  মানে হালকা ঘুমের স্বপ্ন।সবসময় ওয়াাওয়াসায় হয়ত দেখে।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।
ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

এই হাদীসের তরজমাতুল বাবে উল্লেখ রয়েছেঃ

بَاب إِذَا قَالَ لِامْرَأَتِه„ وَهُوَ مُكْرَهٌ هٰذِه„ أُخْتِي فَلاَ شَيْءَ عَلَيْهِ.
৬৮/১০. অধ্যায়ঃ বিশেষ কারণে যদি কেউ স্বীয় স্ত্রীকে বোন বলে পরিচয় দেয়, তাতে কিছু হবে না।

قَالَ النَّبِيُّ صَلّٰى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِبْرَاهِيمُ لِسَارَةَ هٰذِه„ أُخْتِي وَذ‘لِكَ فِي ذَاتِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ.

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ইবরাহীম আঃ) একদা) স্বীয় সহধর্মিণী সারাহকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন, এটি আমার বোন। আর তা ছিল দ্বীনী সম্পর্কের সূত্রে।

لِقَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الأَعْمَالُ بِالنِّيَّةِ وَلِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى». وَتَلاَ الشَّعْبِيُّ: (لاَ تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا) وَمَا لاَ يَجُوزُ مَنْ إِقْرَارِ الْمُوَسْوِسِ.
وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلَّذِي أَقَرَّ عَلَى نَفْسِهِ: «أَبِكَ جُنُونٌ».
وَقَالَ عَلِيٌّ بَقَرَ حَمْزَةُ خَوَاصِرَ شَارِفَيَّ، فَطَفِقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَلُومُ حَمْزَةَ، فَإِذَا حَمْزَةُ قَدْ ثَمِلَ مُحْمَرَّةٌ عَيْنَاهُ، ثُمَّ قَالَ حَمْزَةُ هَلْ أَنْتُمْ إِلاَّ عَبِيدٌ لأَبِي فَعَرَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَدْ ثَمِلَ، فَخَرَجَ وَخَرَجْنَا مَعَهُ، وَقَالَ عُثْمَانُ لَيْسَ لِمَجْنُونٍ وَلاَ لِسَكْرَانَ طَلاَقٌ.
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ طَلاَقُ السَّكْرَانِ وَالْمُسْتَكْرَهِ لَيْسَ بِجَائِزٍ.
وَقَالَ عُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ الْمُوَسْوِسِ.
وَقَالَ عَطَاءٌ إِذَا بَدَا بِالطَّلاَقِ فَلَهُ شَرْطُهُ.
وَقَالَ نَافِعٌ طَلَّقَ رَجُلٌ امْرَأَتَهُ الْبَتَّةَ إِنْ خَرَجَتْ، فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ إِنْ خَرَجَتْ فَقَدْ بُتَّتْ مِنْهُ، وَإِنْ لَمْ تَخْرُجْ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.
وَقَالَ الزُّهْرِيُّ فِيمَنْ قَالَ إِنْ لَمْ أَفْعَلْ كَذَا وَكَذَا فَامْرَأَتِي طَالِقٌ ثَلاَثًا يُسْئَلُ عَمَّا قَالَ، وَعَقَدَ عَلَيْهِ قَلْبُهُ، حِينَ حَلَفَ بِتِلْكَ الْيَمِينِ، فَإِنْ سَمَّى أَجَلاً أَرَادَهُ وَعَقَدَ عَلَيْهِ قَلْبُهُ حِينَ حَلَفَ، جُعِلَ ذَلِكَ فِي دِينِهِ وَأَمَانَتِهِ.
وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ إِنْ قَالَ لاَ حَاجَةَ لِي فِيكِ. نِيَّتُهُ، وَطَلاَقُ كُلِّ قَوْمٍ بِلِسَانِهِمْ.
وَقَالَ قَتَادَةُ إِذَا قَالَ إِذَا حَمَلْتِ فَأَنْتِ طَالِقٌ. ثَلاَثًا، يَغْشَاهَا عِنْدَ كُلِّ طُهْرٍ مَرَّةً، فَإِنِ اسْتَبَانَ حَمْلُهَا فَقَدْ بَانَتْ.
وَقَالَ الْحَسَنُ إِذَا قَالَ الْحَقِي بِأَهْلِكِ. نِيَّتُهُ.
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ الطَّلاَقُ عَنْ وَطَرٍ، وَالْعَتَاقُ مَا أُرِيدَ بِهِ وَجْهُ اللَّهِ.
وَقَالَ الزُّهْرِيُّ إِنْ قَالَ مَا أَنْتِ بِامْرَأَتِي. نِيَّتُهُ، وَإِنْ نَوَى طَلاَقًا فَهْوَ مَا نَوَى.
وَقَالَ عَلِيٌّ أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ الْقَلَمَ رُفِعَ عَنْ ثَلاَثَةٍ عَنِ الْمَجْنُونِ حَتَّى يُفِيقَ، وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يُدْرِكَ، وَعَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ.
وَقَالَ عَلِيٌّ وَكُلُّ الطَّلاَقِ جَائِزٌ إِلاَّ طَلاَقَ الْمَعْتُوهِ.

স্বীয় ব্যভিচারের কথা স্বীকারকারী এক ব্যক্তিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেনঃ তুমি কি পাগল হয়েছ? ‘আলী(রাঃ) বলেন, হামযাহ (রাঃ) আমার দু’টি উটনীর পার্শ্বদেশ ফেড়ে ফেললে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হামযাকে তিরস্কার করতে থাকেন। হঠাৎ দেখা গেল নেশার ঘোরে হামযাহর চক্ষু দুটি লাল হয়ে গেছে। এরপর হামযাহ বললেন, তোমরা তো আমার বাবার গোলাম ব্যতীত নও। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুঝতে পারলেন, তিনি নিশাগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে এলেন আমরাও তাঁর সঙ্গে বেরিয়ে এলাম। ‘উসমান(রাঃ) বলেন, পাগল ও নেশাগ্রস্ত ব্যক্তির তালাক জায়িয নয়। ‘উকবাহ ইবনু ‘আমির (রাঃ) বলেন, ওয়াসওয়াসা সম্পন্ন সন্দেহের বাতিকগ্রস্ত) ব্যক্তির তালাক কার্যকর হয় না। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, মাতাল ও বাধ্যকৃতের তালাক অবৈধ। ‘আত্বা (রহ.) বলেনঃ শর্ত যুক্ত করে তালাক দিলে শর্ত পূরণের পরই তালাক হবে। নাফি (রহ.) জিজ্ঞেস করলেন, ঘর থেকে বের হওয়ার শর্তে স্বীয় স্ত্রীকে জনৈক ব্যক্তি তিন তালাক দিল- এর হুকুম কী?)। ইবনু ‘উমার (রহ.) বললেনঃ যদি সে মহিলা ঘর থেকে বের হয়, তাহলে সে তিন তালাকপ্রাপ্তা হবে। আর যদি বের না হয়, তাহলে কিছুই হবে না। যুহরী (রহ.) বলেন, যে ব্যক্তি বললঃ যদি আমি এরূপ না করি, তবে আমার স্ত্রীর প্রতি তিন তালাক প্রযোজ্য হবে।
তার সম্বন্ধে যুহরী (রহ.) বলেন, উক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করা হবে, শপথকালে তার ইচ্ছা কী ছিল? যদি সে ইচ্ছে করে মেয়াদ নির্ধারণ করে থাকে এবং শপথকালে তার এ ধরনের নিয়্যাত থাকে, তাহলে এ বিষয়কে তার দ্বীন ও আমানতের উপর ন্যস্ত করা হবে। ইবরাহীম (রহ.) বলেন, যদি সে বলে, ‘‘তোমাকে আমার কোন প্রয়োজন নেই’’; তবে তার নিয়্যাত অনুসারে কাজ হবে। আর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের লোক তাদের নিজস্ব ভাষায় তালাক দিতে পারে। ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ যদি কেউ বলে তুমি গর্ভবতী হলে, তোমার প্রতি তিন তালাক। তাহলে সে প্রতি তুহরে স্ত্রীর সঙ্গে একবার সহবাস করবে। যখনই গর্ভ প্রকাশিত হবে, তখনি সে স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। হাসান (রহ.) বলেন, যদি কেউ বলে, ‘‘তুমি তোমার পরিবারের কাছে চলে যাও’’, তবে তার নিয়্যাত অনুসারে ফায়সালা হবে। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ প্রয়োজনের তাগিদে তালাক দেয়া হয়। আর দাসমুক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য থাকলেই করা যায়। যুহরী (রহ.) বলেন, যদি কেউ বলেঃ তুমি আমার স্ত্রী নও, তবে তালাক হওয়া বা না হওয়া নিয়্যাতের উপর নির্ভর করবে। যদি সে তালাকের নিয়্যাত করে থাকে, তবে তাই হবে। ‘আলী (রাঃ) [উমার (রাঃ)-কে সম্বোধন করে] বলেনঃ আপনি কি জানেন না যে, তিন প্রকারের লোক থেকে কসম তুলে নেয়া হয়েছে। এক, পাগল ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জ্ঞান ফিরে পায়; দুই, শিশু যতক্ষণ না সে বয়ঃপ্রাপ্ত হয়; তিন, ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জেগে উঠে। ‘আলী(রাঃ) আরও) বলেনঃ পাগল ব্যতীত সকলের তালাক কার্যকর হয়।

(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো সমস্যা হবেনা।
আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।

(০২)
না,এতে কোনো সমস্যা  হবেনা।

(০৩) 
না,এতে তালাক হয়না।

(০৪)
এতে তালাক পতিত হবেনা।

(০৫)
হ্যা৷ এই মাসয়ালা মেয়েদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।  

(০৬)
এতেও তালাক হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্তির জন্য আপনার ক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবেঃ- 
আপনি তালাক সংক্রান্ত কোন মাসআলা পড়বেন না। কাউকে জিজ্ঞাসা করতেও যাবেন না। কারো সাথে এ সংক্রান্ত আলাপ ও আলোচনাও করবেন না। মনের মাঝে এ বিষয়ক কোন কিছু আসতে দিবেন না। আসলেই অন্য বিষয় নিয়ে মগ্ন হয়ে যাবেন, প্রসঙ্গ পাল্টে ফেলবেন। 

★সকাল ও সন্ধ্যায় পড়ুন

أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ

 (আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমার আশ্রয় প্রার্থনা করি তার অসম্ভষ্টি ও শাস্তি থেকে এবং তার বান্দার অনিষ্ট থেকে এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে ও শয়তানের সংস্পর্শ থেকে।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (81 points)
edited by
 শায়েখ স্বামী স্ত্রী দূরে থাকে।স্ত্রী এখনো বাবার বাসায়।স্ত্রী ফোন ধরতে দেরী হওয়ায়,স্বামী মেসেজে বাই বলে।স্ত্রী মারাত্বক ওয়াসওয়াসা রূগী।স্বামীকে জিগ্যেস করে আমাকে ছাড়া থাকতে পারবা? আসলে স্ত্রী সরাসরি জিগ্যেস না করে কিসের নিয়তে বলেছে আদৌ তালাকের নিয়তে বলেছে কিনা এভাবে জিগ্যেস  করেছে।কারন স্বামী তালাকের কোন প্রশ্ম না করতে বলেছে।তহ স্বামী বলেছে এখন আছি না?  মানে এখন আছি না তুমাকে ছাড়া এটা বুঝাইছে।এটা কি কেনায়া বাক্য? স্বামী দুস্টামি করে বলেছে এই কথাটা।ওর স্বামী ওকে খুব ভালবাসে। স্ত্রী ওয়াসওয়াসা রূগী তাই এটা কোন কেনায়া বাক্য কিনা চিন্তায় পরে গেছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...