উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
,
মুসলিম সরকার জনগনের উপকারার্থে যে আইন করে, তা শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে হারাম না হলে তা মানা সে দেশের নাগরিকের জন্য আবশ্যক।
সেই হিসেবে পণ্য আমদানীর উপর সরকারী ট্যাক্স প্রদান করাই উচিত। তা ফাঁকি দেয়া বা ঘুষ দিয়ে আমদানী ঠিক নয়।
কিন্তু এ কারণে ব্যবসাকৃত টাকাকে হারাম বলা যাবে না।
যদিও আমদানী করার পদ্ধতিটা শরয়ী সাপোর্ট যোগ্য নয়। কিন্তু এ কারণে পণ্য বিক্রির টাকাকে হারাম বলা যাবে না।
এভাবে কর ও ট্যাক্স ফাকি দিয়ে পণ্য আমদানী করা থেকে বিরত থাকাই কর্তব্য।
ولا ينبغي للسلطان أن يسعر على الناس” لقوله عليه الصلاة والسلام: “لا تسعروا فإن الله هو المسعر القابض الباسط الرازق” ولأن الثمن حق العاقد فإليه تقديره فلا ينبغي للإمام أن يتعرض لحقه إلا إذا تعلق به دفع ضرر العامة (كتاب الكراهية، فصل فى البيع-4/4722، وكذا فى البدائع الصنائع-5/129)
যার সারমর্ম হলো জনগনের স্বার্থে তাদের উপকারের জন্য সরকার পন্যের উপর ভ্যাট বসাইতে পারবে।
كل من يسكن دولة فانه يلتزم قولا أو عملا بأنه يتبع قوانينها وحينئذ يجب عليه اتباع أحكامها الخ (بحوث فى قضايا فقهية معاصرة-166
যার সারমর্ম হলো দেশের জনগনের উপর সরকারী আইন মানা ওয়াজিব।
যদি তা ইসলাম বিরোধী না হয়ে থাকে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত "অন্য কোন দেশ যেমন পাশের দেশ ভারত থেকে যেকোন পন্য যেমন দুধ,চকলেট,টুথপেষ্ট,তেল এই সকল পন্য কিনল এবং সেগুলো দেশে সরকারকে ভ্যাট না দিয়ে আনল এ থেকে উপার্জিত টাকা হারাম হবেনা।
তবে শরীয়ত এটাকে সাপোর্ট করেনা।
এভাবে কর ও ট্যাক্স ফাকি দিয়ে পণ্য আমদানী করা থেকে বিরত থাকাই কর্তব্য।