আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
281 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (40 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।শায়েখ বিষয়গুলো একটু বুঝিয়ে বললে ভাল হয়।একটু কস্ট করে বুঝিয়ে বলবেন দয়া করে।।আমার শারীরিক ও মানসিক অবস্হা খুবই খারাপ হয়ে গেছে চিন্তা করতে করতে।কোন কাজই করতে পারি না ভয়ে।কাউকে কিছুই বুঝাতে পারি না।শুধু কান্না করে করে থাকি কাউকে কিছু বুঝাতে পারি না।শায়েখ আমাকে প্রশ্নগুলো একটু বুঝিয়ে বললে ভাল হবে।সব পয়েন্ট গুলো কস্ট করে।আর আজকে এখানে এরকম আপনাদের প্রশ্ন করায় বা লিখায় কোন সমস্যা হয়েছে কিনা আমার বলিয়েন হুজুর।আমি তহ এত কিছু জানি না।আমার চিন্তা হয়ত দূর হবে।শায়েখ আমি জানি না প্রশ্নগুলো আপনাকে বুঝাতে পেরছি কিনা।আমি নিজেও খুব ভয়ে। আমি তহ এত কিছু জানি  না।শুধু ভয়ে যিনা হবে কিনা সেই ভয়ে প্রশ্ন করতাম আগে থেকে।জানার জন্য।আর যা গুণাহ করেছি যদি তালাক না হয় আর সুযোগ থাকে তাহলে নিজেকে শুধরানোর জন্য।আর পরিপূর্ণ ইসলাম মেনে চলার জন্য প্রশ্ন করতাম।কারন এই বিষয়ে একটা হাদিস শুনার পর থেকে খুবই ভয় লাগে।খুবই উপকৃত হব নিচের বিবরনগুলো একটু বুঝিয়ে বলবেন হুজুর।জানি না বুঝাতে পেরেছি কিনা আপনাকে হুজুর।আমার আশেপাশে কোন মুফতিও নেই যে বুঝিয়ে বলব চিনিও না কাউকে। আর আমি একজন মহিলা।স্বামী এই বিষয়ে কথা বলতে নিষেধ করেছে।২ নং প্রশ্নটা করা নিয়ে একটু বলবেন।আর অন্য পয়েন্ট গুলো একটু বলিয়েন।অনেক উপকৃত হব।

১।শায়েখ কেউ যদি জানার জন্য সন্দেহ নিয়ে তালাকের বিষয়ে প্রশ্ন করে আর সন্দেহের কথা প্রশ্নে উল্লেখ করে না দেই তাহলে কি তালাক হবে? তালাক দিছে কিনা জানে না।তবু সন্দেহ নিয়ে প্রশ্ন করল যে "স্ত্রীকে  ৩ তালাক দিলাম"।মনে করেন ওনি দেই নি।তবু সন্দেহ নিয়ে প্রশ্ন করেছে আপনাদের কাছে।উক্ত প্রশ্ন করা দ্বারা কি তালাক হবে? কারন লিখে প্রশ্ন করতে অনেক সময় মাথায় থাকে না এসব লিখার কথা মানে সন্দেহ আছে যে সেটা লিখার কথা।কিন্তু সে জানে যে সন্দেহ নিয়ে প্রশ্নটা করতেছে।ওই ব্যপারে নিয়ে সে সিওর না সেটা সে জানে নিজে। আশা করি বুঝাতে পেরেছি হুজুর।আমিও জানার জন্য প্রশ্নটা করেছি।ঠিক তদ্রূপ কোন মেয়েকে যদি স্বামি তালাকের অধিকার দিয়ে থাকে।আর সে সন্দেহের বসে প্রশ্ন করল কিন্তুু সে আসলে জানেই না বা তার মনে নেই যে সে নিজেকে............. দিয়েছে কিনা।কিন্তুু প্রশ্নে সন্দেহের কথা লিখে নি ভুলে আর সে জানার জন্য প্রশ্ন করেছে।এতে কি তালাক হবে? আমি আমার দিকে ইন্গিত করে করি নি প্রশ্ন।জানার জন্য করেছি।আমার এই বিষয়টা নিয়ে সন্দেহ আছে তাই।আর আমি এমন প্রশ্ন করাই কি সমস্যা হবে আমার?কারন আমি শুনেছি প্রশ্ন করলেও সন্দেহের বসে সেটা নিজের দিকে ইন্গিত করলে নাকি তালাক হয়। হুজুর ব্যপার গুলো একটু বুঝিয়ে বলবেন?আর আমি এমন প্রশ্ন করায় কি আমার কোন সমস্যা হবে?

২।শায়েখ আমি মারাত্বক ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত।বিশেষ করে তালাকের বিষয়ে।আমি সব বিষয় জানার  পর মাসআালা বোনদের বলি।এটাও বলি যে কোন স্বামি যদি কোন স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেয় তাহলে সেই স্ত্রী চাইলে নিজের উপর ত....... নিতে পারে যে কিন্তুু দিতে পারে না স্বামীকে।আমি ওদের বুঝানোর জন্য বলতাম যে কোন নিজের উপর নিতাম না।এখন আমার সন্দেহে হচ্ছে যে কোন নিজেকে নিয়ে বলেছি কিনা ভেবে। বোন গুলো ছোট।মানে ক্লাস  ৯-১০ এ পড়ে।আর ওরা খুব ঠাঠ্ঠা করে।আমার কি ওদের প্রশ্ন করা উচিত হবে কোন নিজেকে নিয়ে বলেছি কিনা মানে নিজেকে নিয়ে উদাহরণ দিছি কিনা সেটা জিগ্যেস করা? ওরা হুজুর মিথ্যাশিকারোক্তি দিতে পারে কারন ওরা সব বিষয় নিয়ে মজা করে।কিন্তুু আমি সিওর না বলেছি কিনা নিজেকে নিয়ে।আমার ওয়াসওয়াসা বেশি।আমার খুব ভয় কাজ করে হুজুর।আল্লাহকে কি বলে জবাব দিব কোন যিনা হচ্চে কিনা এসব ভেবে পাগল হয়ে যায়।

৩।হুজুর আমি পুরো মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গেছি।শুধু ভয়ে কান্না করে করে থাকি।কাউকে কিছু বুঝাতে পারি না।আমার কোন কথাই মনে থাকে না সিওরভাবে।শুনেছি যে তালাকের ব্যপারে সন্দেহ নিয়ে প্রশ্ন করলেও সেটি নিজের দিকে ইন্গিত করলে নাকি তালাক হয়।প্রশ্নে সন্দেহের কথা উল্লেখ না করলে।সেটা নিয়ে টেনশন হচ্ছ।আমি কোন এইরকম প্রশ্ন করেছি কিনা।বা করতে যেয়ে প্রশ্ন কেটে দিছি কিনা।কারন প্রশ্ন করার সময় কেটে বা এডিট করতাম।আবার মাঝে মাঝে নতুন  তথ্য যোগ করতাম পরে মানে যখন মনে পরত।সন্দেহের কথা লিখতে ভুলে গেলে পরে লিখতাম সন্দেহ নিয়ে প্রশ্নটা করেছি।লিখে প্রশ্ন করতে গেলে অনেক কিছু ভুলে যায়। আমার হঠাত সবকিছু মনে থাকে না আস্তে আস্তে পরে মনে পড়ে।তাই পরে এডিট করে লিখতাম।এরকম আরো নতুন অনেক তথ্য যোগ করতাম।জানি না কি কি কাটছি আর কি কি যোগ করেছি।সব তহ স্পষ্ট  মনে নেই।মারাত্বক ভাবে ভেন্গে পড়েছি।আর প্রচুর ওয়াসওয়াসা কাজ করে।আমার কি প্রশ্নগুলো খুজে খুজে দেখা উচিত হবে?আর এতে কি কোন সমস্যা হবে মানে প্রশ্ন কাটতাম,এডিট করতাম আবার নতুন তথ্য যোগ করতাম? অনেক প্রশ্ন করেছি আপনাদের।আর সব প্রশ্নই এডিট করতাম।কারন আমার একটু পর পর একটা একটা মনে পড়ত।

৪।কেউ  যদি প্রশ্ন লিখে করার কারনে ভাল ভাবে বুঝাতে না পারে।আর মুফতি সাহেব বলে যে এইরকম করলে তালাক হবে না করলে হবে না।পরে যদি আবার ভালভাবে বুঝিয়ে একই প্রশ্ন করে ক্লিয়ারভাবে বুঝাতে পারে। আর মুফতি সাহেব বলে যে না এইরকম হলে তালাক হবে না।তাহলে আগে যে ফতোয়ায় তালাক হবে বলেছিল পরে হবে না বলেছে একই প্রশ্নে এতে কি তালাক হবে?আমি হুজুর জানার জন্য প্রশ্নটা করলাম।ক্লিয়ারভাবে বুঝার জন্য।

৫।হুজুর প্রশ্নটা আমি জানার জন্য করতেছি নিজের দিকে ইন্গিত করে নই।কোন স্ত্রী যদি কস্ট পেয়ে বলে মুক্তি দাও আর সহ্য করতে পারতেছি না কস্ট।স্বামি যদি তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে কস্ট হলে থাকিও না,কস্ট হলে থাকিও না চলে যাও।স্বামী যদি তালাকের নিয়তে না বলে বা অস্বীকার করে নিয়তকে আর শপথ করে বলে যে তালাকের নিয়তে কোন কথা বলে নি তাহলে কি তালাক হবে?আমার এরকম সন্দেহ হচ্ছে তহ এই ব্যপার নিয়ে তাই জিগ্যেস করলাম।

৬।হুজুর আমার আরেকটা প্রশ্ন জানার ছিল।এটা নিয়েও ওয়াসওয়াসা আসে মনে তাই।কেউ যদি ঠোট না নাড়িয়ে শুধু জিহ্বা নাড়িয়ে তালাক বলে তাহলে কি তালাক হয় মানে শব্দটা ঠোটের বাহির না করলে? আমার এটা নিয়ে মনে সন্দেহ আসে তাই জিগ্যেস করেছি।আমাকে  ইন্গিত করে বলি নি হুজুর।বা হুজুর কারো মনের  অজান্তে মুখ দিয়ে বের হলে? সে চাই না কিন্তুু তবু মনের অজান্তে বের হয়েছে সে জানে না বের হয়েছে যে সেটাও।এভাবে কি তালাক হয়? আমি জানার জন্য প্রশ্নগুলো করলাম শায়েখ।সন্দেহ আসে তহ মনে মাঝে মাঝে এই বিষয়ে তাই।

৭।হুজুর সন্দেহ নিয়ে আরেকটা প্রশ্ন করতেছি।যদি বলে আমি চলে যাব। তুমার জীবন থেকে অনেক দূরে। কিন্তুু ডিভোর্স দিও না।স্বামী যদি বলে দিব।স্ত্রী  বলে না দয়া করে দিও না ডিভোর্স। সারাজীবন তুমার বউ হয়ে থাকতে চাই।তহ স্বামি যদি বলে চলে যাবে বলতেছ তহ সেখানে বউ হয়ে থাকা কিরকম? স্ত্রী যদি বলে তবু চলে যাব।কিন্তুু ডিভোর্স না।সারাজীবন তুমার বউ হিসেবে থাকব।স্বামীকে বলে আপনি করলে আরেকটা করিয়েন বিয়ে।স্বামীও যদি বলে ঠিক আছে যাও চলে।বা স্ত্রী যদি বলে চলে যাচ্ছি তুমার যখন ইচ্ছে ডিভোর্স লেটার পাটিয়ে দিও সাইন করে দিব।স্বামি যদি বলে ঠিক আছে দিব যাও।উল্লেখ্য স্বামী স্ত্রী এখনো সংসার শুরু করে নি।স্ত্রী এখনো বাবার বাড়িতে থাকে,নামিয়ে নিয়ে যায় নি।এমনিতে স্ত্রী হয়ত অভিমান করে বলত ফোনে।আগের কথা তহ সন্দেহ হয়।এটা পরে যদি স্বামী শপথ করে বলে যে তালাকের নিয়তে যেতে বলে নি তাহলে কি তালাক হবে?জানার জন্য প্রশ্নটা করলাম।

শায়েখ আমি উপরে অনেক প্রশ্ন করেছি, এসব  প্রশ্ন করায় কি আমার বৈবাহিক জীবনে কোন সমস্যা হবে?আমি একটু নিশ্চিত থাকতে চাই।একটু বলবেন দয়া।করে।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।
قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ
এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্নের বিবরণমতে তালাক হবে না।
আপনি দয়াকরে আর এমন আজগুবি প্রশ্ন করবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...