ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي سَعْدٍ، وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” الْغِيبَةُ أَشَدُّ مِنَ الزِّنَا “، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ وَكَيْفَ الْغِيبَةُ أَشَدُّ مِنَ الزِّنَا؟ قَالَ: ” إِنَّ الرَّجُلَ لَيَزْنِي فَيَتُوبُ فَيَتُوبُ اللهُ عَلَيْهِ “وَفِي رِوَايَةِ حَمْزَةَ ” فَيَتُوبُ فَيَغْفِرُ لَهُ، وَإِنَّ صَاحِبَ الْغِيبَةِ لَا يُغْفَرُ لَهُ حَتَّى يَغْفِرَهَا لَهُ صَاحِبُهُ
হযরত আবু সাঈস এবং জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। উভয়ে বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ গীবত করা ব্যভিচার করার চেয়েও জঘন্য। সাহাবাগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! গীবত করা ব্যভিচারের চেয়ে জঘন্য হয় কি করে? রাসূল সাঃ বললেনঃ নিশ্চয় ব্যভিচারকারী ব্যভিচার করে তওবা করে থাকে, ফলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেন।
অন্য বর্ণনায় এসেছে, কিন্তু গীবতকারীকে ক্ষমা করা হয় না, যতক্ষণ না যার গীবত করেছে সে তাকে ক্ষমা করে। {শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬৩১৫, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৫৯০}
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
শরীয়তের বিধান হলো, কারো নাম,পরিচয় উল্লেখ না করলে এতে গীবত হয় না। কিন্তু উপস্থিত লোকেরা যদি বুঝতে পারে যে অমুক ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে তবে তা গীবত বলে গণ্য এবং হারাম হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতটি গীবতের অন্তর্ভুক্ত।
(০২)
আপনি যেনো কাজে বাধা প্রদান করতে পারেন,এইজন্যই আপনার পিতা আপনাকে বলেছিলো,সুতরাং এক্ষেত্রে এটি জায়েজ।
কোনো গুনাহ হবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ
(০৩)
এটি দাওয়াহ মূলক কাজ,এটা নিয়ে মস্করা উচিত নয়।
এতে দ্বীনি দাওয়াত মূলক কাজের অবমাননা হবে।
তবে এটিকে সরাসরি ইসলামের অবমাননা বলা যায়না।
,
তবে কেহ যদি প্রচলিত হাসাহাসি, ইসলাম সমর্থিত নয় এমন কোনো কাজ সম্বলিত ওয়াজ মাহফিলকে নিয়ে মস্করা করে,তাহলে কোনো সমস্যাই নেই।
(০৪)
শিক্ষা অর্জনের জন্য তার ভিডিও দেখে ফায়দা অর্জন করা যাবে।
তবে তার ইসলাম বিরোধী আকীদা লালন করা যাবেনা।
আকীদা নষ্ট হওয়ার আশংকা থাকলে তার ভিডিও দেখে শেখা যাবেনা।
,
কাফের ব্যাক্তির কাছে পড়া যাবে।
তবে নিজের আকীদা ঠিক রাখার শর্তে।
(০৫)
যদি ৩ বার খুব ভালোভাবে ধোয়া হয়,তাহলে কিছুটা তৈলাক্ত ভাব থেকে গেলেও স্থান পাক হয়ে যাবে।