আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
199 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (101 points)
আসসালামুআলাইকুম,

১)ধরেন আব্দুল করিম ও আব্দুর রহিম একত্রে আব্দুল্লাহ নামক এক ব্যক্তির নামে এমন সমালোচনা করছে যা শুনলে আব্দুল্লাহ কষ্ট পাবে।কিন্তু তারা আব্দুল্লাহর নাম নিয়ে সমালোচনা করছে না বরং তারা ইংঙ্গিতমুলক সমালোচনা করছে কিন্তু উভয়ই বুঝছে যে তারা আব্দুল্লাহ কে নিয়ে সমালোচনা করছে।তাহলে এটা গীবত হবে কি?

২)কেউ পাইপ দিয়ে রাস্তায় নাপাক পানি প্রতিনিয়ত ফেলে।তো এতে লোকজনের অসুবিধা হয়।তো আমার পিতা যদি ঐ লোক সম্পর্কে আমাকে জানায় তাহলে তা কি গীবত হবে?উল্লেখ্য যে আমার পিতা আমাকে জানিয়েছিল যাতে আমি সে কাজে বাধা প্রদান করতে পারি এবং আমাকে জানানোর পর আমি তাকে অবহিত করি যে এ কাজটি করতে বাধা দিতে সক্ষম।

৩)ওয়াজ-মাহফিল নিয়ে মস্করা করা কি ইসলামের অবমাননা করা?

৪)ইসলামকে অবমাননা করে এমন ব্যক্তির ভিডিও দেখা যাবে পড়া শিখার স্বার্থে?হতে পারে সেই ব্যক্তি পড়ানোর মাঝে ইসলামকে অবমাননা করা হয় এমন কিছু বলবে।আর কাফের ব্যক্তির কাছে পড়া কি জায়েজ?

৫)নাপাক মলম পায়ে লাগানোর পর রগড়িয়ে রগড়িয়ে পানি দিয়ে তা ধোয়ার পর ও যদি তৈলাক্ত ভাব থেকে যায় আর সেই তৈলাক্ত অংশ ঘষলে যদি মলম রগড়ালে যেরকম সাদা হয় সেরকম দেখা যায় তাহলে কি পা নাপাক ই থাকবে?

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَنْ أَبِي سَعْدٍ، وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” الْغِيبَةُ أَشَدُّ مِنَ الزِّنَا “، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ وَكَيْفَ الْغِيبَةُ أَشَدُّ مِنَ الزِّنَا؟ قَالَ: ” إِنَّ الرَّجُلَ لَيَزْنِي فَيَتُوبُ فَيَتُوبُ اللهُ عَلَيْهِ “وَفِي رِوَايَةِ حَمْزَةَ ” فَيَتُوبُ فَيَغْفِرُ لَهُ، وَإِنَّ صَاحِبَ الْغِيبَةِ لَا يُغْفَرُ لَهُ حَتَّى يَغْفِرَهَا لَهُ صَاحِبُهُ  

হযরত আবু সাঈস এবং জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। উভয়ে বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ গীবত করা ব্যভিচার করার চেয়েও জঘন্য। সাহাবাগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! গীবত করা ব্যভিচারের চেয়ে জঘন্য হয় কি করে? রাসূল সাঃ বললেনঃ নিশ্চয় ব্যভিচারকারী ব্যভিচার করে তওবা করে থাকে, ফলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেন।

অন্য বর্ণনায় এসেছে, কিন্তু গীবতকারীকে ক্ষমা করা হয় না, যতক্ষণ না যার গীবত করেছে সে তাকে ক্ষমা করে। {শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬৩১৫, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৫৯০}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
শরীয়তের বিধান হলো, কারো নাম,পরিচয়  উল্লেখ না করলে এতে গীবত হয় না। কিন্তু উপস্থিত লোকেরা যদি বুঝতে পারে যে অমুক ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে তবে তা গীবত বলে গণ্য এবং হারাম হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ  

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতটি গীবতের অন্তর্ভুক্ত।     
(০২)
আপনি যেনো কাজে বাধা প্রদান করতে পারেন,এইজন্যই আপনার পিতা আপনাকে বলেছিলো,সুতরাং এক্ষেত্রে এটি জায়েজ।
কোনো গুনাহ হবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ

(০৩)
এটি দাওয়াহ মূলক কাজ,এটা নিয়ে মস্করা উচিত নয়।
এতে দ্বীনি দাওয়াত মূলক কাজের অবমাননা হবে। 
তবে এটিকে সরাসরি  ইসলামের অবমাননা বলা যায়না।
তবে কেহ যদি প্রচলিত হাসাহাসি, ইসলাম সমর্থিত নয় এমন কোনো কাজ সম্বলিত ওয়াজ মাহফিলকে নিয়ে মস্করা করে,তাহলে কোনো সমস্যাই নেই।

(০৪)
শিক্ষা অর্জনের জন্য তার ভিডিও দেখে ফায়দা অর্জন করা যাবে।
তবে তার ইসলাম বিরোধী আকীদা লালন করা যাবেনা। 
আকীদা নষ্ট হওয়ার আশংকা থাকলে তার ভিডিও দেখে শেখা যাবেনা।
,
কাফের ব্যাক্তির কাছে পড়া যাবে।
তবে নিজের আকীদা ঠিক রাখার শর্তে।

(০৫)
যদি ৩ বার খুব ভালোভাবে ধোয়া হয়,তাহলে কিছুটা তৈলাক্ত ভাব থেকে গেলেও স্থান পাক হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...