বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে প্রশ্নে উল্লেখিত র্যাগিং এর নামে যাহা কিছু করা হয়,সবই জুলুমের অন্তর্ভুক্ত, বিধায় তাহা জায়েজ নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ سَالِمًا أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ لاَ يَظْلِمُهُ وَلاَ يُسْلِمُهُ وَمَنْ كَانَ فِي حَاجَةِ أَخِيهِ كَانَ اللهُ فِي حَاجَتِهِ وَمَنْ فَرَّجَ عَنْ مُسْلِمٍ كُرْبَةً فَرَّجَ اللهُ عَنْهُ كُرْبَةً مِنْ كُرُبَاتِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَمَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا سَتَرَهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তার উপর জুলুম করবে না এবং তাকে যালিমের হাতে সোপর্দ করবে না। যে কেউ তার ভাইয়ের অভাব পূরণ করবে, আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন তার বিপদসমূহ দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ ঢেকে রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ ঢেকে রাখবেন। (বুখারী শরীফ ২৪৪২.৬৯৫১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৭৮)
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ الْمَاجِشُونُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الظُّلْمُ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জুলুম কিয়ামতের দিন অনেক অন্ধকারের রূপ ধারণ করবে। (বুখারী শরীফ ২৪৪৭.আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৫)
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيْلُ قَالَ حَدَّثَنِيْ مَالِكٌ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيْهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ اسْتَعْمَلَ مَوْلًى لَهُ يُدْعَى هُنَيًّا عَلَى الْحِمَى فَقَالَ يَا هُنَيُّ اضْمُمْ جَنَاحَكَ عَنْ الْمُسْلِمِيْنَ وَاتَّقِ دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ فَإِنَّ دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ مُسْتَجَابَةٌ وَأَدْخِلْ رَبَّ الصُّرَيْمَةِ وَرَبَّ الْغُنَيْمَةِ وَإِيَّايَ وَنَعَمَ ابْنِ عَوْفٍ وَنَعَمَ ابْنِ عَفَّانَ فَإِنَّهُمَا إِنْ تَهْلِكْ مَاشِيَتُهُمَا يَرْجِعَا إِلَى نَخْلٍ وَزَرْعٍ وَإِنَّ رَبَّ الصُّرَيْمَةِ وَرَبَّ الْغُنَيْمَةِ إِنْ تَهْلِكْ مَاشِيَتُهُمَا يَأْتِنِيْ بِبَنِيْهِ فَيَقُوْلُ يَا أَمِيْرَ الْمُؤْمِنِيْنَ أَفَتَارِكُهُمْ أَنَا لَا أَبَا لَكَ فَالْمَاءُ وَالْكَلَا أَيْسَرُ عَلَيَّ مِنْ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ وَايْمُ اللهِ إِنَّهُمْ لَيَرَوْنَ أَنِّيْ قَدْ ظَلَمْتُهُمْ إِنَّهَا لَبِلَادُهُمْ فَقَاتَلُوْا عَلَيْهَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَأَسْلَمُوْا عَلَيْهَا فِي الْإِسْلَامِ وَالَّذِيْ نَفْسِيْ بِيَدِهِ لَوْلَا الْمَالُ الَّذِيْ أَحْمِلُ عَلَيْهِ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ مَا حَمَيْتُ عَلَيْهِمْ مِنْ بِلَادِهِمْ شِبْرًا
যায়দ ইবনু আসলাম কর্তৃক তাঁর পিতা হতে বর্ণিত। ‘উমার (রাঃ) হুনাইয়াহ নামক তাঁর এক আযাদকৃত গোলামকে সরকারী চারণভূমির তত্ত্বাবধানে নিযুক্ত করেন। আর তাকে আদেশ করেন, হে হুনাইয়াহ! মুসলিমদের সঙ্গে অত্যন্ত বিনয়ী থাকবে, মজলুমের বদ দু‘আ হতে বেঁচে থাকবে। কারণ, মজলুমের দু‘আ কবূল হয়। আর অল্প সংখ্যক উট ও অল্প সংখ্যক বকরীর মালিককে এতে প্রবেশ করতে দিবে। আর ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আউফ ও ‘উসমান ইবনু ‘আফফান (রাঃ)-এর পশুর ব্যাপারে সতর্ক থাকবে। কেননা যদি তাঁদের পশুগুলো ধ্বংস হয়ে যায়, তবে তাঁরা তাঁদের কৃষি ক্ষেত ও খেজুর বাগানের প্রতি মনোযোগ দিবেন। কিন্তু অল্প সংখ্যক উট-বকরীর মালিকদের পশু ধ্বংস হয়ে গেলে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে আমার নিকট উপস্থিত হবে। আর বলবে, হে আমীরুল মুমিনীন! আপনার পিতা ধ্বংস হোক! তখন আমি কি তাদের বঞ্চিত করতে পারব? সুতরাং পানি ও ঘাস দেয়া আমার পক্ষে সহজ, স্বর্ণ-রৌপ্য দেয়ার চাইতে। আল্লাহর শপথ! এ সব লোকেরা মনে করবে, আমি তাদের প্রতি জুলুম করেছি। এটা তাদেরই শহর, জাহিলী যুগে তারা এতে যুদ্ধ করেছে, ইসলামের যুগে তারা এতেই ইসলাম গ্রহণ করেছে। সে মহান আল্লাহর শপথ! যাঁর হাতে আমার প্রাণ, যে সব ঘোড়ার উপর আমি যোদ্ধাগণকে আল্লাহর রাস্তায় আরোহণ করিয়ে থাকি যদি সেগুলো না হতো তবে আমি তাদের দেশের এক বিঘত পরিমাণ জমিও সংরক্ষণ করতাম না। (বুখারী ৩০৫৯আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৩৯)