আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
223 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
edited by
হুজুর আমি গতকাল প্রশ্ন করেছিলাম। আপনার উত্তর পেয়ে সস্তি পেয়েছি। তবে, কিছু প্রশ্ন ছিল। আমি অবিবাহিত।
১.১ঃ আমি গতকাল ঝগড়ার পর উচ্চারণ করে বলেছিলাম, "আল্লাহর কসম এই ব্যাপার নিয়ে আর বাড়াবাড়ি করবো না।" - এই কথা বলেছিলাম যখন আমার মনে হল যে মায়ের কাছে ক্ষমা না চাইলে হয়তো তালাকের ব্যাপারে সমস্যা হতে পারে। এখন মায়ের কাছে ক্ষমা চাইলে কি কসম ভেঙে যাবে নাকি তালাকের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করলেই কসম ভেঙে যাবে?

১.২ঃ যদি কসম ভেঙে ফেলি তাহলে কাফফারা কি বিয়ের আগে দিতে হবে নাকি বিয়ের পর? কাফফারা যদি আদায় না করি তাহলে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে?

২. ঝগড়ার সময় আমি আমার বন্ধুর বাবার নাম ধরে বলেছিলাম। যেমনঃ উমুকের ছেলে। পরবর্তীতে আমার মনে হল আমার বন্ধুকে এটা বলা দরকার যে আমি এভাবে বলেছি। তখন নিজেকে বললাম না বলবো না। ঠিক তখনই যেন বলার জন্য মনে মনে তালাকের ব্যাপারে শর্ত আসা শুরু করলো। আমি ভয় পাচ্ছি যে আমি কি উচ্চারণ করে শর্তযুক্ত তালাক দিলাম কি না? আবার, আমি নিজেকে বলি, আমি কেনই বা এই ব্যাপারে শর্তযুক্ত তালাক দিবো? তবে, যখন মনে মনে তালাকের চিন্তা আসছিল আমার মুখ অন্য কারণে নাড়িয়েছিলাম নাকি এই কারণেই মনে করতে পারছি না। ২ দিনের আগের ঘটনা তবুও মনে করতে পারছি না। তবে, শর্ত আসলেও আমি পুরোটা মনে মনে আনিনি। তবুও, কেন জানি ভয় করছে যদি শর্ত হয়ে থাকে?
মনের মধ্যে, সামান্য পরিমাণ এই ভয়ও আছে যে আমি বলবো না - এই ব্যাপারেই কি মনে মনে শর্ত দিয়ে দিলাম কি না। এটা সামান্য চিন্তা। তবে, তীব্র ধারণা যে আমি বলার উপরেই মনে মনে শর্ত দিয়ে দিলাম মনে হয়।
২টি বিষয়ঃ-

১. আমি মনে মনে শর্ত আনলেও পুরোটা আনিনি। আবার ভয় হচ্ছে যদি পুরোটা এনে থাকি?

২. আমি উচ্চারণ করিনি। হয়তো অন্য কারণে জিব্বা নাড়িয়েছি। আবার ভয় হচ্ছে যে যদি উচ্চারণ করেই ফেললাম কি না? আর উচ্চারণ কেন করবো? আমি তো চাইনা শর্তযুক্ত তালাক হোক। তবুও ভয় কাজ করছে।

২.১ঃ আমার কি সতর্কতা হিসেবে আমার বন্ধুকে বলে দেওয়া দরকার নাকি এটা ওয়াসওয়াসা ভেবে বাদ দিবো? এটা একটু বুঝিয়ে আমাকে বইলেন। বাকি উত্তর গুলা হ্যা/না তে দিলেও চলবে।
২.২ঃ যেহেতু তার পিতার নাম বলে অন্যায় করেছি - আমি যদি তাদের কাছে ক্ষমা না চাই - তাহলে কি আল্লাহ শাস্তি হিসেবে শর্তযুক্ত তালাক দিয়ে দিবেন?

৩. এই প্রশ্নগুলো করার সময় আমি এক হিন্দু দোকানে বসে ছিলাম এবং চা খেয়েছি৷ এবং যদি আমার শরীর নাপাক থাকে এতে কি তালাকের ব্যাপারে কোন সমস্যা হবে?
৪. আমার মনে এত প্রশ্ন আসে। কি করবো আমি?

৫. আমি তালাকের প্রশ্নগুলো করার সময় ফেইক আইডি খুলে প্রশ্ন করি মাঝে মাঝে উত্তর পাওয়ার পর প্রশ্ন এডিট করে একই জিনিস কয়েকবার লিখে প্রশ্নটি মুছে ফেলি। যেমনঃ ধন্যবাদ উত্তর দেওয়ার জন্য। এতে কি তালাকের ব্যাপারে কোন সমস্যা হবে?

১০. আমার ৬ নং প্রশ্ন করার জন্য আমি লজ্জিত। উত্তর পাওয়ার পর আমি ৬, ৬.১, ৭, ৮, ৯নং প্রশ্ন মুছে দিবো। নাইলে আমি শান্তি পাবো না। মুছে দিলে কি তালাকের ব্যাপারে কোন সমস্যা হবে?
১১. আমাকে একটি পদ্ধতি বলে দিন। কারণ প্রচুর প্রশ্ন আসে। কয়েক জায়গায় লেখা থাকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন না করতে। প্রশ্ন না করলে বুঝবো কিভাবে শর্ত হয়ে গেছে কি না? আমাকে একটি মূলনীতি দিয়ে দিন যে এই কাজের বাইরে যা-ই করি না কেন কোন সমস্যা হবে না-সেটা তালাকের সাথে সম্পর্কিত হোক বা না হোক।

১২. আমি যদি এই মোবাইল হাতে রেখেই জেনে শুনে মিথ্যা কথা বলি এবং মিথ্যা তর্ক করি তাহলে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে? যেহেতু এই মোবাইল দিয়েই প্রশ্ন করেছি। আমার ভয় যে উত্তর পাওয়া পর্যন্ত সমস্যা হয়ে যায় যদি।

১৩. আমি মোবাইল হাতে রেখে মিথ্যা বললে তালাকের ভয়ে যদি আবার সত্যিটা বলে দেয় - এটা কি শিরক হয়ে যাবে?
১৪. মোবাইল হাতে রেখে তালাকের ভয়ে সত্যিটা বলা কি ঠিক নাকি এটা এড়িয়ে চলবো?

১৭. বি দ্রঃ এই ১৫, ১৬ নং প্রশ্নও উত্তর পেয়ে মুছে দিবো। মুছে দিলে সমস্যা হবে?
১৮. প্রশ্ন করার সময় আমি এক মেয়ে / গার্লফ্রেন্ড কে ম্যাসেজ এ দুস্টামি করে বলছিলাম যে আমার বউ  ও বাচ্চা আছে। প্রশ্ন এডিট করার সময় আবার জিজ্ঞেস করার সময় সে যখন জিজ্ঞেস করছে তখন নাই বলেছি। এতে কি তালাক সংক্রান্ত কোন সমস্যা হবে?
১৯. এতগুলো প্রশ্ন করার জন্য তালাক এর ব্যাপারে কোন সমস্যা হবে কি? প্রশ্ন এডিট করে বাড়ানোর সময় নাভির নিচে প্যান্ট চলে গেলে তালাক সংক্রান্ত কোন সমস্যা হবে? আমি তখন খালি গায়ে ছিলাম।

২০. আমার কোন কার্যকলাপ সেটা হারাম হালাল যাই হোক এর মাধ্যমে কি তালাক সংক্রান্ত কোন সমস্যা হবে? সেটা তালাকের সাথে সম্পর্কিত হোক বা না হোক।

দুঃখিত অনেকগুলো প্রশ্ন করে ফেলেছি। আমাকে ক্ষমা করবেন। আমি কি করবো - এত এত প্রশ্ন মাথায় আসে। আমাকে পরামর্শ দিন। আমাকে ভালভাবে বাচার উপায় বলে দিন।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাকের কথা চিন্তা করল কিন্তু সে শব্দ করে উচ্চারন করল না, বা তার  জিহবা নড়ল না, অর্থাৎ সে মনে মনে বলল, তাহলে তালাক পতিত হবে না। কারণ শুধু অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা  আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন।

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)
 
অপর এক হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ

আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মাতের ভুল , বিস্মৃতি ও বলপূর্বক যা করিয়ে নেয়া হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন। [সুনানে ইবনে মাজাহ, ২০৪৩]


কোনো ব্যাক্তি যদি বিবাহের পূর্বে  মুখে জিহবা নাড়িয়ে উচ্চারণ করে বলে যে "আমি যাকে বিবাহ করবো, সেই তালাক" বা এই জাতীয় কোনো বাক্য বিবাহের দিকে নিসবত করে বলে,তাহলে বিবাহ হওয়া মাত্র তালাক পতিত হবে।    

বিবাহের দিকে নিসবত করে তালাক প্রদান এর কথা  জিহবা নাড়িয়ে উচ্চারণ করে না বললে তালাক হবেনা।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,

(১-৫)
এখানে কোনো ছুরতেই তালাক হবেনা।
কোনো শর্তযুক্ত হবেনা।
কাহারো থেকে মাফ চাওয়া না চাওয়ার সাথে তালাক এর ব্যাপারে সমস্যা হবেনা।

এখানে উল্লেখিত কোনো বিষয়ই আপনার জন্য  তালাক এর ব্যাপারে সমস্যা হবেনা।

(৬.৭)
এখানে উল্লেখিত কাজগুলোর কারনে তালাকের ব্যাপারে কোন সমস্যা হবেনা।
আপনি নিশ্চিত থাকুন।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত গুনাহ খুবই ঘৃণিত গুনাহ।
হাদীসে লা'নত নাযিলের কথা এসেছে।
যেভাবেই হোকু,উক্ত গুনাহ দ্রুত ছেড়ে দিন।
প্রয়োজনে বিবাহ করুন,সামর্থ না থাকলে রোযা রাখুন।
,
একাকী থাকবেননা।
রাত্রীতে একাকী ঘুমাবেননা।

হস্তমৈথুন ছেড়ে দেওয়ার কিছু টিপস রয়েছে,সেগুলো মেনে চলুন।  

হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার আমল বিস্তারিত জানুনঃ  

(০৮)
এতেও তালাকের ব্যাপারে কোন সমস্যা হবেনা।

(০৯)
না,এতে শিরক হবেনা।

(১০)
এই প্রশ্নগুলো মুছে দিলেও তালাকের ব্যাপারে কোন সমস্যা হবেনা।

(১১)
আপনি তালাক সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন করবেননা।
তালাক সংক্রান্ত কোনো মাসয়ালা পড়বেননা।
তালাকের কথা মুখ দিয়ে,লিখনির মাধ্যমে বের করবেননা।  

এই বিষয়ে কোনো চিন্তা আসলেই অন্য মনস্ক হয়ে যাবেন।
অন্য কাজে লিপ্ত হয়ে যাবেন।  

(১২)
বিবাহের দিকে নিসবত করে  শর্তযুক্ত তালাকের কোনো বাক্য ব্যবহার না করলে উল্লেখিত ছুরতে কোনো  শর্তযুক্ত তালাক হবেনা।

(১৩)
সত্য বললে শিরক হবেনা।

(১৪)
সত্য বলাই উচিত।
তবে এতে তালাক হওয়া না হওয়ার কিছু নেই।

(১৫)
এক্ষেত্রেও তালাকের ব্যাপারে কোনো সমস্যা হবেনা। 

(১৬)
এতে তালাকের ব্যাপারে কোনো সমস্যা হবেনা।

(১৭)
এই প্রশ্নগুলো মুছে দিলেও তালাকের ব্যাপারে কোন সমস্যা হবেনা।

(১৮)
এক্ষেত্রেও তালাকের ব্যাপারে কোনো সমস্যা হবেনা। 

(১৯.২০)
উল্লেখিত ছুরত গুলোতেও  তালাকের ব্যাপারে কোনো সমস্যা হবেনা। 

আপনি নিশ্চিত থাকুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...