আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
142 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (81 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

হুজুর আমি একজন মহিলা।আমি বিবাহিত।আমি আমার বাবার বাড়িতে থাকি।কিন্তুু বাসায় এখনো জানে না।শুধু মা বাবা জানে বিয়ে হয়েছে কিন্তুু ওনারা এখনো মেনে নেয়,নি।অন্যরা প্রেম করি সেটা জানে।তহ আমার ফুফু আমাকে হাতে পায়ে ধরে বলতেছে চলে আসতে প্রেম থেকে।আমি মাথা নাড়ছি ওনার কথায় মানে চলে আসব এরকম।আমাকে আমার স্বামী তালাকের অধিকার দিছে।ফুফি কান্না করতেছে দেখে চলে আসব এরকম মাথা নাড়ছি।কিন্তুু নিজেকে তালাক দি নাই।আমি কথা এটা  মনে আসলে সহ না না না করি।নামাজে সহ না সূচক মাথা নাড়ি।তালাকের কথা মুখ দিয়ে উচ্চারণ ও করি না।আমি চাই না স্বামির সাথে তালাক হোক।আমার উক্ত মাথা নাড়া  দ্বারা কি তালাক হবে?

হুজুর আমি মারাত্বক ওয়াসওয়াসায়,আক্রান্ত সবসময় চিন্তা এটা মাথায় আসতে থাকে।আমি মুখ দিয়ে উচ্চারণ করিও না তালাকের কথা।মনে আসলে সহ না না না করতে থাকি নয়ত না সূচক মাথা নাড়তে থাকি।মাঝে মাঝে অন্য কথা শুনতে গিয়ে হ্যা বলি নয়ত হ্যা সূচক মাথা নাড়ি। যদি না না করতে করতে হ্যা বলে ফেলি তাহলে কি তালাক হবে? আমি  ইচ্ছে করে হ্যা বলি না।ওয়াসওয়াসা আসে মনে।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


মনে মনে তালাক দিলে যেমন তালাক হয়না,বোবা নয়,এমন ব্যাক্তির জন্য ইশারা করে তালাক দিলেও তালাক হবেনা।

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)
 
অপর এক হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ

আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মাতের ভুল , বিস্মৃতি ও বলপূর্বক যা করিয়ে নেয়া হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন। [সুনানে ইবনে মাজাহ, ২০৪৩]

★★তালাকের ক্ষেত্রে বোবা ব্যাক্তির তালাক প্রদানের ইঙ্গিত বহন করে এমন ইশারা যথেষ্ট। 
তবে যিনি স্বাভাবিক কথাবার্তা বলতে পারেন,তার ইশারা যথেষ্ট নয়।
বরং যে পদ্ধতিতে তালাক দিতে হয়,সেভাবেই তালাক দিতে হবে।

لمافی الأشباہ والنظائر(ص۳۴۳)الفن الثالث الجمع والفروق،احکام الاشارۃ: الاشارۃ من الاخرس معتبرۃ وقائمۃ مقام العبارۃ فی کل شیء من بیع و اجارۃ وھبۃ ورھن ونکاح وطلاق، و عتاق وابراءو اقراروقصاص الا فی الحدود ۔۔۔ واختلفوا فی ان عدم القدرۃ علی الکتابۃ شرط للعمل بالاشارۃ اولا، والمعتمد لا، ولذا ذکرہ فی ”الکنز“ بأو، ولا بد فی إشارۃ الأخرس من أن تکون معھودۃ وإلا لا تعتبر۔ 

সারমর্মঃ
বোবা ব্যাক্তির ইশারা গ্রহনযোগ্য, সেটিই বাক্য উচ্চারণের স্থলে হয়ে যাবে ব্যাবসা,হিবা,তালাক,বন্ধক,বিবাহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে। 

وفی فتح القدیر(۴۹۲/۳):قوله وطلاق الأخرس واقع بالإشارة لأنها صارت مفهومة فكانت كالعبارة في الدلالة استحسانا فيصح بها نكاحه وطلاقه وعتاقه وبيعه وشراءه سواء قدر على الكتابة أو لا وهذا استحسان بالضرورة فإنه لو لم يعتبر منه ذلك أدى إلى موته جوعا وعطشا وعريا ۔۔۔ وقال بعض الشافعية إن كان يحسن الكتابة لايقع طلاقه بالإشارةلاندفاع الضرورة بما هو أدل على المراد من الإشارة وهو قول حسن وبه قال بعض مشايخنا

সারমর্মঃ
বোবা ব্যাক্তির তালাক ইশারা দ্বারা পতিত হবে,কেননা সেটি বোধগম্য হয়ে যায়,তাই সেটি বাক্যে উচ্চারণের ন্যায়।
সুতরাং ইশারা দ্বারা তার বিবাহ,তালাক,গোলাম আযাদ,ক্রয় বিক্রয় সহীহ।
চাই লেখার উপর শক্তিবান হোক,বা না হোক।   

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই তালাক হয়নি। আপনি নিশ্চিত থাকুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...