বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
আল্লাহ্ তা‘আলা হায়েয আদমের কন্যাদের জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন।
এটা নিয়ে টেনশন বা কষ্ট ভোগ করার সুযোগ নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ لَبَّيْنَا بِالْحَجِّ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِسَرِفَ حِضْتُ فَدَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَبْكِي فَقَالَ " مَا يُبْكِيكِ يَا عَائِشَةُ " . فَقُلْتُ حِضْتُ لَيْتَنِي لَمْ أَكُنْ حَجَجْتُ . فَقَالَ " سُبْحَانَ اللَّهِ إِنَّمَا ذَلِكَ شَىْءٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ " . فَقَالَ " انْسُكِي الْمَنَاسِكَ كُلَّهَا غَيْرَ أَنْ لاَ تَطُوفِي بِالْبَيْتِ " . فَلَمَّا دَخَلْنَا مَكَّةَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ شَاءَ أَنْ يَجْعَلَهَا عُمْرَةً فَلْيَجْعَلْهَا عُمْرَةً إِلاَّ مَنْ كَانَ مَعَهُ الْهَدْىُ " . قَالَتْ وَذَبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ نِسَائِهِ الْبَقَرَ يَوْمَ النَّحْرِ فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ الْبَطْحَاءِ وَطَهُرَتْ عَائِشَةُ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَرْجِعُ صَوَاحِبِي بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ وَأَرْجِعُ أَنَا بِالْحَجِّ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ فَذَهَبَ بِهَا إِلَى التَّنْعِيمِ فَلَبَّتْ بِالْعُمْرَةِ .
আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা হজ্জের জন্য রওনা হই। সারিফ নামক স্থানে পৌছে আমার হায়েয শুরু হয়। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট উপস্থিত হন, তখন আমি কাঁদছিলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করেন , হে আয়েশা! তোমার কান্নার কারণ কী? আমি বলি, আমি ঋতুমতী হয়েছি। হায়! আমি যদি (এ বছর) হজ্জের জন্য না আসতাম( তবে ভাল হতো)। তখন তিনি সুবহানাল্লাহ্ বলেন, (এরপর ইরশাদ করেন) আল্লাহ্ তা‘আলা এটা (হায়েয) আদমের কন্যাদের জন্য বেঁধে দিয়েছেন।
অতঃপর তিনি বলেন, বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ ব্যতীত তুমি অন্যান্য হজ্জের যাবতীয় অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন কর। এরপর আমরা মক্কায় প্রবেশের পর রাসূলু্ল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যারা এটিকে (হজ্জ) উমরায় রূপান্তরিত করতে চায় তারা তা করতে পারে, তবে যাদের সাথে কুরবানীর পশু আছে তারা ছাড়া। আয়েশা (রাঃ) বলেন, কুরবানীর দিন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীদের পক্ষ হতে একটি গরু কুুরবানী করেন। এরপর বাত্হার রাতে আয়েশা (রাঃ) হায়েয হতে পবিত্রতা অর্জন করেনএবং বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্ ! আমার সাথীরা হজ্জ ও উমরা সম্পন্ন করে ফিরে যাবে, আর আমি কি কিবল হজ্জ করে ফিরব? তখন রাসূলু্ল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবদুর রহমান ইবন বাকর (রাঃ) -কে নির্দেশ দেন। তখন তিনি তাঁকে সহ তানঈম যান আর তিনি সে স্থান হতে উমরার ইহরাম বাঁধেন।
(আবু দাউদ ১৭৮২)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ঈমান চলে যায়নি।
ঈমান ঠিকই আছে,তবে এমন মনোভাব অন্তরে আসতে দিবেননা।
(০২)
উক্ত টিস্যু পেপার সাদা নিবেন।
এক্ষেত্রে আপনি সাদা টিস্যু নেওয়ার পর কাছে থেকে বাদামি বা হালকা হলুদ দেখলে ১০ দিনের মধ্যে হলে সেটিকে হায়েজ হিসেবেই ধরবেন।
নামাজ আদায় করবেননা।
(০৩)
হ্যাঁ এটি মাসিক/হায়েজ।
আপনি যে সতর্কতামূলক ফজরের নামাজ আদায় করেছিলেন,এটি আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।