আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
160 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (42 points)
মাসিকের শেষের দিকে এসে confused হয়ে যাই যে পাক হলাম কিনা,  নামাজ কাযা হয়ে গেল কিনা কয়েক ওয়াক্তের , রোজা রাখা যাবে কিনা । এই জন্য ঐ দিনগুলোর প্রতি/ এই confusing ব্যাপার টার প্রতি মনে মনে ঘৃণা চলে আসে।
এখন মনে হচ্ছে আমার ঈমান কি চলে গেলো??

 কিন্তু মাসিকের প্রতি কোনো ঘৃণা/ অবহেলা নেই।

২. মাসিকের শেষের দিকে টিস্যু পেপার দিয়ে চেক করার পর যদি এমন হয় যে, দূর থেকে দেখলে মনে হবে ক্লিয়ার পানি মতন, কিন্ত কাছে নিয়ে খুব খেয়াল করে দেখলে হালকা হলদে/ বাদামী দেখা যায়, এতে কি বুঝবো? মাসিক শেষ হয়েছে না হয়নি?? নামায কাযা করতে হবে?

 ৩. শেষের দিকে ৭/৮ দিনের মাথায় সকালে / ভোর রাতের দিকে ঘুম থেকে উঠে দেখি একদম ক্লিয়ার পানি(যেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না), নামায পড়লাম গোসল করে, কিছু সময় পর/ দুপুরের দিকে আবার আগের মত হলদে/বাদামী ডিসচার্জ দেখা যায়। এটা কি মাসিক??

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
আল্লাহ্  তা‘আলা  হায়েয আদমের  কন্যাদের  জন্য  নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন।
এটা নিয়ে টেনশন বা কষ্ট ভোগ করার সুযোগ নেই।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ لَبَّيْنَا بِالْحَجِّ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِسَرِفَ حِضْتُ فَدَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَبْكِي فَقَالَ " مَا يُبْكِيكِ يَا عَائِشَةُ " . فَقُلْتُ حِضْتُ لَيْتَنِي لَمْ أَكُنْ حَجَجْتُ . فَقَالَ " سُبْحَانَ اللَّهِ إِنَّمَا ذَلِكَ شَىْءٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ " . فَقَالَ " انْسُكِي الْمَنَاسِكَ كُلَّهَا غَيْرَ أَنْ لاَ تَطُوفِي بِالْبَيْتِ " . فَلَمَّا دَخَلْنَا مَكَّةَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ شَاءَ أَنْ يَجْعَلَهَا عُمْرَةً فَلْيَجْعَلْهَا عُمْرَةً إِلاَّ مَنْ كَانَ مَعَهُ الْهَدْىُ " . قَالَتْ وَذَبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ نِسَائِهِ الْبَقَرَ يَوْمَ النَّحْرِ فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ الْبَطْحَاءِ وَطَهُرَتْ عَائِشَةُ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَرْجِعُ صَوَاحِبِي بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ وَأَرْجِعُ أَنَا بِالْحَجِّ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ فَذَهَبَ بِهَا إِلَى التَّنْعِيمِ فَلَبَّتْ بِالْعُمْرَةِ .

আয়েশা  (রাঃ)  হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা  হজ্জের  জন্য  রওনা হই।  সারিফ  নামক  স্থানে  পৌছে  আমার  হায়েয  শুরু হয়।  রাসূলুল্লাহ্  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  আমার নিকট  উপস্থিত  হন,  তখন  আমি  কাঁদছিলাম।  তিনি  জিজ্ঞাসা করেন , হে আয়েশা!  তোমার  কান্নার  কারণ  কী?  আমি বলি,  আমি  ঋতুমতী  হয়েছি। হায়! আমি যদি (এ  বছর)  হজ্জের  জন্য  না  আসতাম( তবে ভাল  হতো)।  তখন  তিনি  সুবহানাল্লাহ্  বলেন, (এরপর  ইরশাদ করেন) আল্লাহ্  তা‘আলা  এটা  (হায়েয)  আদমের  কন্যাদের  জন্য  বেঁধে  দিয়েছেন।

অতঃপর  তিনি বলেন, বায়তুল্লাহ্  তাওয়াফ  ব্যতীত  তুমি  অন্যান্য  হজ্জের  যাবতীয়  অনুষ্ঠানাদি  সম্পন্ন কর। এরপর  আমরা  মক্কায়  প্রবেশের  পর রাসূলু্ল্লাহ্  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,  যারা  এটিকে  (হজ্জ) উমরায়  রূপান্তরিত  করতে চায়  তারা তা করতে পারে,  তবে যাদের  সাথে  কুরবানীর  পশু  আছে  তারা ছাড়া।  আয়েশা (রাঃ)  বলেন,  কুরবানীর  দিন  রাসূলুল্লাহ্  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  তাঁর  স্ত্রীদের  পক্ষ  হতে  একটি  গরু  কুুরবানী করেন। এরপর  বাত্হার  রাতে  আয়েশা  (রাঃ)  হায়েয  হতে  পবিত্রতা  অর্জন করেনএবং  বলেন,  ইয়া  রাসূলুল্লাহ্ ! আমার  সাথীরা  হজ্জ  ও উমরা  সম্পন্ন করে ফিরে যাবে,  আর  আমি  কি  কিবল  হজ্জ  করে ফিরব?  তখন  রাসূলু্ল্লাহ্  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  আবদুর  রহমান  ইবন  বাকর  (রাঃ) -কে  নির্দেশ  দেন। তখন  তিনি তাঁকে  সহ  তানঈম  যান আর  তিনি  সে  স্থান  হতে  উমরার  ইহরাম  বাঁধেন।
(আবু দাউদ ১৭৮২)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ঈমান চলে যায়নি।
ঈমান ঠিকই আছে,তবে এমন মনোভাব অন্তরে আসতে দিবেননা।

(০২)
উক্ত টিস্যু পেপার সাদা নিবেন।
এক্ষেত্রে আপনি সাদা টিস্যু নেওয়ার পর কাছে থেকে বাদামি বা হালকা হলুদ দেখলে ১০ দিনের মধ্যে হলে সেটিকে হায়েজ হিসেবেই ধরবেন।
নামাজ আদায় করবেননা।

(০৩)
হ্যাঁ এটি মাসিক/হায়েজ।
আপনি যে সতর্কতামূলক ফজরের নামাজ আদায় করেছিলেন,এটি আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...