আসসালামু আলাইকুম হুজুর।দয়া করে আমার প্রশ্নের উত্তর গুলো দিবেন। অনেক কিছু লিখে ফেলেছি জানি কষ্ট হবে পড়তে,, তবুও সাহায্য চাচ্ছি আপনার কাছে। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিবেন।।আমাকে সাহায্য করেন দয়া করে৷ লিখিত উত্তর দিলে ভালো হয়। কারন ফোনে আমি বলতে পারিনা বুঝিয়ে কথা।
কোন প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়ে দুইজন পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন নারীর সামনে ইজাব কবুলের মতো কথা বললে নাকি বিয়ে হয়ে যায়। দয়া করে বলবেন নিচের কথাগুলো ইজাব কবুল হবে কিনা।
হুজুর দয়া করে বুঝিয়ে বলবেন ইজাব কবুলের মতো কোন ঘটনা মনে না করতে পারলেও তা কার্যকর হবে কিনা? স্বামী স্ত্রী কখনো দুইজন সাক্ষির সামনে ইজাব কবুলের মতো কিছু বলেছিল কিনা তাও মনে নাই। শুধু স্বামী যখন বউকে কারোর সাথে পরিচয় করিয়ে দিতো বউ হিসেবে। তখন বউ তাদের সাথে সালাম দিয়ে কথা বলতো।এইভাবে কথা বলার কারনে কি ইজাব কবুল হবে কিনা জানাবেন দয়া করে।
১। কোন কারনে যদি কোন দম্পতির মধ্যে তা**** বায়ে* পতিত হয় তাহলে কি এমন ঘটনার মাধ্যমে তাদের ইজাব কবুল হবে??
ঘটনা ঃ স্বামী যদি দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের সামনে বউকে পরিচয় করিয়ে দেয়,,বলে যে, """আমার বউ,,, আর বউ যদি ওই লোকদের সাথে সালাম দিয়ে কথা বলে বউ পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পর।""" তাহলে কি সেটা ইজাব কবুল হবে??
২।শাশুড়ী বা শশুড় তাকে পুত্রবধু হিসেবে কারোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের সামনে,বলে যে এইযে আমার ছেলের বউ ,,সাথে সাথেই বউ যদি সালাম দিয়ে কথা বলে তাদের সাথে,,,,তাহলে কি সম্মতি হয়ে যাবে বা ইজাব কবুল হয়ে যাবে??
৩।শাশুড়ী যদি পুত্রবধু হিসেবে কয়েকজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং যাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে তাদের মধ্যে কেউ যদি জিজ্ঞেস করে তুমিঈ বউ?? তারপর মেয়েট যদি বলে, হ্যাঁ। তাহলে কি ইজাব কবুল হবে? এইখানে স্বামী কিছু বলেছিল কিনা মনে নেই বা স্বামীরও এই ঘটনা মনে থাকবে না সেটাই সাভাবিক। তাহলে হুকুম কি?
৪। শাশুড়ী পরিচয় করানোর পর। মেয়েটিকে কোন মহিলা জিজ্ঞেস করলে যে তুমিঈ বউ?? মেয়ে যদি উত্তর দেয় হ্যাঁ, আর ছেলেটির দিকে ইংগিত করে যদি বলে এইটা জামাই?? তারপর ছেলেটি যদি বলে হ্যাঁ৷ তাহলে কি ইজাব কবুল হয়ে যায় যদি সামনে প্রাপ্তবয়স্ক কয়েকজন থাকে তাহলে??
৪। শাশুড়ী পুত্রবধু হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পর যদি ওই মহিলা জিজ্ঞেস করে তুমিঈ বউ? মেয়েটি যদি হ্যাঁ বলে। আর তারপর যদি শাশুড়ীকে মহিলাটি জিজ্ঞেস করে জামাইয়ের দিকে ইংগিত করে। এইটা আপনার ছেলে?? শাশুড়ী যদি বলে,, হ্যাঁ৷ তাহলে কি ইজাব কবুল হবে??
৫। সন্দেহের ভিত্তিতে কি ইজাব কবুল হয় সঠিক ঘটনা মনে না করতে পারলে?? বা কেউ ইজাব কবুলের ঘটনা ভুলে গেলে সে পাপী হবে?? যদি কিছুতেই নিশ্চিত না হতে পারে এমন কিছু হয়েছিল কিনা??
৬। কোন স্ত্রী যদি কোন কারণে কষ্ট পেয়ে তার স্বামীকে বলে একদিন না একদিন সে চলে যাবে,, তাদের একসাথে থাকা হয়তো হবে না।চলে যাওয়ার কথা বলে মেয়েটা মূলত সংসা* থেকে কোন একদিন চলে যাওয়ার কথাই বুঝিয়েছিল অভিমান করে৷ এইভাবে বলার পর স্বামীও যদি কষ্ট পায় আর বলে,, একদিন না একদিন চলে যাবা কেন?? যদি চলেই যাওয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে এখন চলে যাও। বুঝাতে চেয়েছে পরে চলে গেলে কষ্ট লাগবে। এইভাবে বললে কি তা**** পতিত হয়ে যাবে?? নিয়ত না থাকলেও হয়ে যাবে??
৭। স্বামী যদি রাগ করে স্ত্রীকে বলে কালকে আসো ঢাকা থেকে আমিও তোমার বাড়িতে আসবো,,,তোমার মার সাথে বসবো, তুমিও বসবা। একটা ফয়সালা করবো কালকেই।। এইটা কি কেনায়া বাক্য???
তা**** নিয়ত করে কেউ এইসব বললে কি পতিত হয়ে যায়
৮। কোন কারনে যদি কোন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ১ তা**** বায়ে* পতিত হয়, তারপর কি আবারও যদি কেনায়া বাক্য বলে বা কোন ঘটনা ঘটে তাহলে কি আবার **** পতিত হবে?? তাদের অজান্তেই ইজাব কবুল হয়ে যেতে পারে কি কোন ঘটনার মাধ্যমে?? কিন্তু তারা কেউই এমন কোন ইজাব কবুলের ঘটনা মনে করতে না পারে যদি।তাহলে করনীয় কি?
অনেকবার যদি কেনায়া বাক্য বলা হয়ে থাকে কিন্তু ইজাব কবুল বলা হয়নি তাহলে কয় ****** ধরে নিবে? স্বামী বলেছে কেনায়া বাক্য বলার সময় তার নিয়ত ছিল না।
৯। হুজুর এমন কি হতে পারে যে তাদের অজান্তেই কেনায়া শব্দ বলার মাধ্যমে তা*** পতিত হয়ে আবার অজান্তেই ইজাব কবুল হয়ে গেছে?? তারপর আবার কেনায়া বাক্য বলার মাধ্যমে আবারও তা*** পতিত হবে??
কিন্তু ইজাব কবুলের মতো কোন ঘটনা তাদের মনে না থাকলে এবং অনেকবার কেনায়া বাক্য বলা হয়ে থাকলে কি শুধুমাত্র ১ তা**** ধরে নিবে??