আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
307 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (38 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।বিষয়টি বিয়ের পর বলেছে কিনা সন্দেহ হচ্ছে।তবু উত্তর  দিয়েন হুজুর দয়া করে।

১।হুজুর আগের বিষয়ে প্রশ্ন করতেছি।এখন আমরা স্বামি স্ত্রীর আল্লাহর রহমতে কোন ঝগড়া হয় না।আগে বেশি হত। স্বামি যদি বলে এইরকম  ঝগড়া বা  মাকে গালি দেয় যে বউ লাগবে না বা চাই না। আমরা আগে কেও জানতাম না কেনায়া তালাকের ব্যাপারে। জানার পর কয়েকবার  যখন স্বামিকে জিগ্যেস করেছি ওনি বলেছিল যে তালাকের নিয়তে কোন কথা বলে নি।অনেকবার জিগ্যেস করেছি যে তালাকের নিয়তে কোন কথা বলেছিলা? ওনি বলেন না না। শপথ করে বলেছিল বলে নি বলে।স্বামি বলেছে তালাকের কোন প্রশ্ন আর ওনাকে না করতে।আমার কথাটা,হঠাত মনে পরল।স্বামী যেহেতু আগে বলেছিল তালাকের নিয়তে কোন কথা বলে নি তাহলে কি উচিত হবে আর প্রশ্ন করা?উক্ত কথা,দ্বারা কি তালাক হবে স্বামীর কোন তালাকের নিয়ত না থাকলে?আর হুজুর আরেকটা প্রশ্ন এমন বউ লাগবে না বা চাই না এগুলো কি কেনায়া বাক্য? দয়া করে উত্তর দিয়েন

২।আরেকটা প্রশ্ন হুজুর কাওকে কোনদিন তালাকের ব্যপারে বলেছে কিনা স্বামির সেটা জিগ্যেস করা কি উচিত হবে? যদি ওনি মিথ্যা শিকারোক্তি দেই, তাই ভয় লাগে।ওনি মানে স্বামি  এই ব্যপারে কথা না বলতে বলেছে।আমার কি জিগ্যেস করা উচিত হবে কাওকে বলেছে কিনা সেটা?বা আমার অনেক বিষয় বলেছে এমন সন্দেহ আসে  মনে।বললেও ঠিক কিভাবে বলেছে বা তালাকের মজলিস ছিল কিনা আমার মনে নেই।ওনার ও তেমন কিছু মনে থাকে না।আমি যদি জিগ্যেস করি ওনি যদি না জেনে বা মনে থাকে না তাই আন্দাজে মিথ্যা শিকারোক্তি দেন তাহলে তহ তালাক হবে।আমার কি জিগ্যেস করা উচিত হবে?গুণাহ হবে কি জিগ্যেস না করলে? এখন কিছু কিছু কথা হঠাত মনে পড়ে।ওনি যখন আগে কয়েকবার বলেছে তালাকের নিয়তে কোনদিন কোন কথা বলে নি তাহলে কি আর জিগ্যেস করা উচিত হবে?আগে কেনায়া তালাক সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।জানার পর স্বামীকে জিগ্যেস করেছিলাম ওনি বলেছিল কোনদিন তালাকের নিয়তে কোন কথা বলে নি।আমার কিছু কিছু কথা হঠাত হঠাত  মনে পড়ে।ওনাকে কি আর জিগ্যেস করা ঠিক হবে হুজুুর?  ওনি আবার মিথ্যা শিকারোক্তি দিবে বলে ভয়,লাগে।ওনার মনেও থাকে না তেমন কোন কথা।

1 Answer

0 votes
by (589,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1049 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.
রাগের অবস্থাঃ-
রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তালাকের নিয়ত ব্যতিত কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা তালাক পতিত হয় না। সুতরাং আপনার বক্তব্য অনুসারে তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...