ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
তাসবিহ,দানা ব্যবহার নাজায়েজ বা বিদ'আত নয়।
আকীদা বিশুদ্ধ রেখে পড়া যাবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছে
উম্মুল মুমিনীন সাফিয়্যা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ وَبَيْنَ يَدَيَّ أَرْبَعَةُ آلَافِ نَوَاةٍ أُسَبِّحُ بِهَا ، فَقَالَ : لَقَدْ سَبَّحْتِ بِهَذِهِ ، أَلَا أُعَلِّمُكِ بِأَكْثَرَ مِمَّا سَبَّحْتِ بِهِ ، فَقُلْتُ : بَلَى عَلِّمْنِي . فَقَالَ : قُولِي : سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ خَلْقِهِ
একদিন রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার কাছে এলেন। আমার কাছে তখন চার হাজার খেজুর-বীচি ছিল। এগুলো দ্বারা আমি তাসবিহ পাঠ করছিলাম। তিনি বললেন, তুমি তো এগুলোর মাধ্যমে তাসবিহ পাঠ করছ। যে পরিমাণ তাসবিহ তুমি পাঠ করেছ, তদপেক্ষা বেশী পরিমাণের উপায় কি আমি তোমাকে শিখিয়ে দিব? আমি বললাম, অবশ্যই আমাকে শিখিয়ে দিন। তিনি বললেন, তুমি বলবে, (سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ خَلْقِهِ) – সৃষ্টির পরিমাণ সংখ্যকবার সুবহানাল্লাহ। (তিরমিযি ৩৫৫৪)
সা’দ ইবন আবূ ওয়ক্কাস রাযি. থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ–এর সঙ্গে এক মহিলার কাছে গেলেন। উক্ত মহিলার সামনে তখন কিছু খেজুর-বীচি ছিল। এগুলো দিয়ে তিনি তাসবিহ পাঠ করছিলেন। নবীজী ﷺ তাকে বললেন, এর চেয়ে সহজ ও উত্তম উপায় সম্পর্কে কি তোমাকে অবহিত করব? তা হল,
سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا خَلَقَ فِي السَّمَاءِ وَسُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا خَلَقَ فِي الأَرْضِ وَسُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا بَيْنَ ذَلِكَ وَسُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا هُوَ خَالِقٌ وَاللَّهُ أَكْبَرُ مِثْلَ ذَلِكَ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ مِثْلَ ذَلِكَ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ مِثْلَ ذَلِكَ
অর্থাৎ, আল্লাহ মহাপবিত্র আকাশে তার সৃষ্টি জীবের সমসংখ্যক, আল্লাহ মহাপবিত্র দুনিয়াতে তার সৃষ্ট জীবের সমসংখ্যক, আল্লাহ তা’আলা মহাপবিত্র এতদুভয়ের মধ্যকার সৃষ্টির সমসংখ্যক, আল্লাহ তা’আলা মহাপবিত্র তিনি যে সকল প্রাণী সৃষ্টি করবেন তার সমসংখ্যক, অনুরূপ পরিমাণ আল্লাহ তা’আলা মহান, অনুরূপ পরিমাণ আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা, অনুরূপ সংখ্যকবার আল্লাহ তা’আলা ছাড়া কল্যাণ করার বা ক্ষতিসাধনের আর কোন শক্তি নেই। (আবু দাউদ ১৩১৭)
,
তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে এটি বিদ'আত।
তাই তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি উক্ত মেশিন ব্যবহার করতে পারবেন।
বিদ'আত হবেনা।
(০২)
এতে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
তবে উক্ত জায়গায় নামাজ আদায় করতে যদি কাহারো অন্তরে সমস্যা সৃষ্টি হয়,তাহলে সে উক্ত জায়গায় না দাঁড়িয়ে অন্য কাতারে বা অন্য স্থানে দাড়াবে।
(০৩)
এটি অনেকটা সুতরার সমান হয়।
তাই নামাজির সামনে জুতার বক্স থাকলে এর সামনে দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারবে।
গুনাহ হবেনা।
(০৪)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
(০৫)
ইস্তিঞ্জার চাপ হলে এমতাবস্থায় নামাজে দাড়ালে নামাজ মাকরুহ হবে।
কেননা এতে নামাজ হতে অন্যমনস্ক হয়ে যেতে হয়।
(০৬)
আপনি অর্থ কল্পনা করতে পারেন।
সমস্যা নেই।
হাদীসে বর্ণিত যেকোনো দোয়া করতে পারেন।
(০৭)
মনোযোগ ধরে রাখার উদ্দেশ্যে অর্থ কল্পনা করা যাবে,বরং এটিই ছাহাবায়ে কেরামগনদের আমল।
এইভাবেই নামাজ আদায় করার শক্তি অর্জন করতে পারলে অনেক বেশি ভালো হবে।