আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
1,130 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম।

১.হযরত ইউসুফ (আ)কে তাঁর পিতা হযরত ইয়াকুব (আ) অন্য সন্তানদের চাইতে অধিক স্নেহ করতেন।তাই হযরত ইউসুফ (আ) এর অন্য ভাইরা ঈর্ষান্বিত হয়ে উনাকে কূপের মধ্যে ফেলে দেন। 'এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত সব সন্তানকে সমান স্নেহ করা'-এমন কথা যদি কেউ বলে তাহলে কি গুনাহ হবে?আর 'এরকম শিক্ষা এখানে দেয়া হয়নি, এরকম শিক্ষা নেয়া যাবে না'- এ ধরনের কথা এখানে কতোটা যুক্তিসঙ্গত?

২.হযরত ইউসুফ (আ) কারাগারে বন্দী থাকাকালীন স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন।স্বপ্নের ব্যাখ্যা যা দেয়া হয়,তাই হয়ে যায়। 'এখানে উনি যদি ভালো ব্যাখ্যা দিতেন,তাহলে তাই ফলে যেতো,তাই না?'-জানার আগ্রহ থেকে এমন কথা বলার কি কোন সুযোগ আছে?

৩.হযরত ইউসুফ (আ) কখন ওহীপ্রাপ্ত হন?

৪.পরবর্তীতে কি তিনি যিনি তাঁকে অপবাদ দিয়েছিলেন সেই আজিজে মিসরের স্ত্রী জুলেখাকে বিয়ে করেছিলেন?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم  
,
(০১)
সন্তানদের সমান চোখে না দেখলে তাদের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়। তাই পারিবারিক শান্তি ও শৃঙ্খলার স্বার্থে সব সন্তানকে সমান চোখে দেখতে হবে। এ বিষয়ে কোরআনে এসেছে : ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ ও আত্মীয়স্বজনকে দান করার নির্দেশ দেন। আর তিনি নিষেধ করেন অশ্লীলতা, অসৎ কাজ ও সীমা লঙ্ঘন। তিনি তোমাদের উপদেশ দেন, যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করো।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৯০)
,
হাদিস শরিফে এসেছে : ‘দান করার ক্ষেত্রে তোমরা সন্তানদের মধ্যে সমতা বিধান করো। আমি যদি কোনো সন্তানকে অন্য সন্তানদের ওপর প্রাধান্য দিতাম, তাহলে (ছেলেদের ওপর) মেয়েদের প্রাধান্য দিতাম।’ (কানযুল উম্মাল, হাদিস : ৪৫৩৪৬)
,
সুতরাং সকল সন্তানকে সমান হক দিতে হবে,সমান অধিকার দিতে হবে।
তবে অন্তরের দিক থেকে কাহারো প্রতি বেশি মুহাব্বত হলে সেটা দোষনীয় নয়।
তবে সেটা প্রকাশ করলে সন্তানদের মাঝে হিংসা হয়,তাই তা প্রকাশ করা উচিত নয়।   
,
(০২) 
হযরত ইউসুফ আঃ যেই স্বপ্ন গুলোর ব্যাখ্যা দিয়েছিলেনঃ  
★একদিন ঐ জেলখানার দুই যুবক স্বপ্ন দেখে। 
ইউসুফের কাছে তারা তাদের স্বপ্নের ঘটনা খুলে বলে এবং ব্যাখ্যা জানতে চায়।
হযরত ইউসুফ (আ.) ইবাদত ও খোদাপ্রেমে নিষ্ঠার কারণে অনেক গোপন রহস্য জানতে পারতেন। তিনি কারাগারের ওই দুই যুবকের কাছে একত্ববাদ বা তৌহিদের বাস্তবতার কিছু যুক্তি তুলে ধরার পর তাদের স্বপ্নের ব্যাখ্যা দেন। এ মহান নবী বলেন, 'হে আমার কারাসঙ্গীরা! তোমাদের একজন মুক্তি পাবে এবং মনিবের মদ পরিবেশক হবে। আর দ্বিতীয় জনকে ফাঁসি দেয়া হবে ও আকাশের পাখিরা তার মাথা ঠুকরিয়ে খাবে।'
,
যে যুবক মুক্তি পেয়ে রাজার সাকি বা মদ পরিবেশক হয় ইউসুফ (আ.) তাকে বলে দিয়েছিলেন যে, রাজাকে আমার ঘটনার ব্যাপারে তদন্ত করার কথা বলবে যাতে আমার নির্দোষ থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। কিন্তু ওই যুবক ইউসুফের বিষয়টি পুরোপুরি ভুলে যায়। ফলে এই মহান নবীকে একজন বিস্মৃত ব্যক্তি হিসেবে বহু বছর কারাগারে থাকতে হয়। তিনি কারাগারে আত্মগঠন ও বন্দীদের সুপথ দেখানো এবং অসুস্থদের সেবার কাজে ব্যস্ত থাকতেন। 
,
★★এভাবে সাত বছর কেটে যাওয়ার পর কোনো এক রাতে মিশরের বাদশাহ এক ভয়ানক স্বপ্ন দেখেন। সকালে স্বপ্ন-বিশারদদের ডেকে পাঠানো হয়। রাজা তাদের বলেন:
 ‘আমি স্বপ্নে সাতটি মোটা গাভী দেখেছি যেগুলোকে সাতটি শীর্ণকায় গাভীকে খেয়ে ফেলেছে; এবং আমি আরও দেখেছি সাতটি তাজা সবুজ শীষ ও অপর সাতটি শুষ্ক ( শুকনো শীষগুলো তাজা-সবুজ শীষগুলোকে খেয়ে ফেলেছে) । হে হে পারিষদবর্গ!! তোমরা আমার স্বপ্নের ব্যাপারে অভিমত দাও যদি তোমাদের স্বপ্নের ব্যাখ্যা করার সাধ্য থাকে।’ (৪৪) তারা বলল, ‘এগুলো উদ্বেগজনিত স্বপ্ন, আর আমরা এমন স্বপ্নের ব্যাখ্যা সম্পর্কে অজ্ঞ।’
বার বার চেষ্টা করেও প্রচলিত স্বপ্ন-বিশারদরা রাজার স্বপ্নের কোনো বিশ্বাসযোগ্য বা গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। এ সময় সেই দুই বন্দির মধ্যে যে মুক্তি পেয়েছিল তার মনে পড়ল বুদ্ধিদৃপ্ত ইউসুফের কথা। সে বলল, ‘আমি এর ব্যাখ্যা সম্পর্কে তোমাদের জানাব, তাই আমাকে (কারাগারে) পাঠাও।’ কারাগারে ইউসুফের কাছে এসে সে বলল, ‘হে ইউসুফ! হে সত্যবাদী! সাতটি মোটা গাভীকে সাতটি শীর্ণকায় গাভী খেয়ে ফেলেছে এবং সাতটি শীষ আছে তাজা-সবুজ, আর অপর সাতটি শুষ্ক ( শুকনো শীষগুলো তাজা-সবুজ শীষগুলোকে খেয়ে ফেলেছে), -- এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা আমাকে জানাও যাতে আমি তাদের কাছে ফিরতে পারি এবং যাতে তারাও জানতে পারে। জবাবে ইউসুফ নবী বললেন,
‘তোমরা একটানা সাত বছর খুব ভালভাবে কৃষিকাজ করবে এবং যে শস্য তোমরা কাটবে তার থেকে স্বল্প পরিমাণ তোমরা খাবে, এ ছাড়া সব ফসল শীষসহ গুদামে সংরক্ষণ করা উচিত। কারণ, এরপর সাতটি কঠিন খরার বছর আসবে, এ সময় তোমরা এই কঠিন বছরগুলোর জন্য যা সঞ্চয় করেছিলে তা থেকে খাবে, কেবল স্বল্প পরিমাণ ছাড়া, যা তোমরা (বীজ হিসাবে) সংরক্ষণ করে রাখবে।– এ কাজ না করলে তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে। এভাবে পরের সাতটি বছর পার করে দিতে পারলে তোমাদের জন্য আর কোনো ভয় থাকবে না। কারণ, এরপর আবারও বর্ষণমুখর বছর ফিরে আসবে। ফলে কৃষিকাজে কোনো ঝামেলা ও শস্যের কোনো অভাব আর থাকবে না।'

★হযরত ইউসুফ (আ.) রাজার স্বপ্নের এই যে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন তা ছিল একেবারেই নির্ভুল ও বিশ্বাসযোগ্য। ফলে রাজা ও তার আশপাশের অভিজাত ব্যক্তিরা বিস্মিত হন। এবার রাজা ইউসুফকে নিজের কাছে আসতে বললেন। কিন্তু হযরত ইউসুফ (আ.) শর্ত দিলেন যে, তাঁকে যে অপবাদ দেয়া হয়েছিল সে বিষয়ে তদন্ত হতে হবে এবং তাঁর নির্দোষিতার প্রমাণটি তুলে ধরতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ তাকে অপরাধী না ভাবে।
এ অবস্থায় রাজদরবারে এসে জোলায়খা নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে বলে যে, আমিই ইউসুফকে অসৎ কাজের প্রস্তাব দিয়েছিলাম, কিন্তু ইউসুফ নিজেকে সৎ রেখেছে। এভাবে ইউসুফ (আ.)'র চারিত্রিক পবিত্রতা ও সততা মিশরের জনগণের কাছে প্রমাণিত হয়।
এরপর মিশরের রাজা ইউসুফ (আ.)-কে নিজের প্রধান উপদেষ্টা বা আজিজ পদে নিয়োগ দেন এবং দেশের নানা সমস্যা সমাধানে এই মহান নবীর সাহায্য চান। ইউসুফ নবীর সাক্ষাৎ পেয়ে রাজা বুঝতে পারেন যে এ মহান নবী অসাধারণ জ্ঞানী ও দূরদর্শী। রাজা ইউসুফ (আ.)-কে দেশের অর্থ বিভাগেরও প্রধান করেন।
হযরত ইউসুফ (আ.)'র ভবিষ্যদ্বাণী মোতাবেক ৭ বছর ধরে মিশরে ব্যাপক বৃষ্টি বর্ষণের সুবাদে সন্তোষজনক মাত্রায় ফসল ফলে। ইউসুফ (আ.) খাদ্য-শস্য সঞ্চয়ের নির্দেশ দেন এবং কেবল প্রয়োজন মাফিক শস্য নিজের জন্য রেখে বাকী শস্য সরকারের কাছে বিক্রি করতে কৃষকদের অনুরোধ জানান। ফলে গুদামগুলো খাদ্য-শস্যে ভরপুর থাকে।

এরপর দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে হযরত ইউসুফের ব্যবস্থাপনায় সরকার জনগণের কাছে ন্যায্য দামে ও ন্যায্য পরিমাণে শস্য সরবরাহ করে। দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়েছিল ফিলিস্তিন ও কানানেও। ফলে ইয়াকুব নবীর (আ.) সন্তানরাও শস্য কেনার জন্য মিশরে আসতে বাধ্য হয়। ইউসুফ (আ.) নিজেই খাদ্য-সরবরাহ প্রক্রিয়ার ওপর নজর রাখতেন। ফলে তিনি ক্রেতাদের মধ্যে উপস্থিত নিজের ভাইদের চিনতে পারলেন। কিন্তু তারা ইউসুফ নবীকে (আ.) চিনতে পারেনি। তিনি তাদের অনুগ্রহ করেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন। তারা বলল, 'আমরা দশ ভাই ইব্রাহিম (আ.)'র নাতি ইয়াকুব (আ.)'র সন্তান। নবী হওয়া সত্ত্বেও আমাদের বাবা তীব্র দুঃখ-বেদনার শিকার হয়েছেন। কারণ, তাঁর এক প্রিয় সন্তান আমাদের সঙ্গে খেলতে আসলে নেকড়ে বাঘ তাঁকে খেয়ে ফেলে! আমরা উদাসীন ছিলাম বলে তাঁকে রক্ষা করতে পারিনি!'
,
ইউসুফ (আ.) তাঁর ভাইদের বললেন যেভাবেই হোক দ্বিতীয়বার মিশরে আসার সময় তারা যেন তাদের সর্বকনিষ্ঠ ভাই বেনইয়ামিনকেও মিশরে নিয়ে আসে। যদি তারা তাকে না আনে তাহলে তাদের আর শস্য দেয়া হবে না বলে ইউসুফ নবী সতর্ক করে দেন। ইউসুফের নির্দেশে ভাইদের কাছে সরবরাহকৃত শস্যের ভেতরে গোপনে কিছু অর্থ দেয়া হয়। 
,
★★প্রিয় পাঠক! হযরত ইউসুফ (আ.) ইবাদত ও খোদাপ্রেমে নিষ্ঠার কারণে অনেক গোপন রহস্য জানতে পারতেন। 
তাই তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে স্বপ্নের ব্যখ্যা আল্লাহ জানতে পেরেছিলেন, তাই বলেছিলেন।
এটা তার মুজিযা বলা যায়। 
এটা এমনই হতো,কোনো কম বেশি হতোনা।
এই ব্যখ্যা এমন নয় যে তিনি এর বিপরিত বললে বিপরিত কিছু হতো।
বরং তিনি এটা আল্লাহ থেকে জেনে বলেছিলেন।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত  'এখানে উনি যদি ভালো ব্যাখ্যা দিতেন,তাহলে তাই ফলে যেতো,তাই না?'-জানার আগ্রহ থেকে এমন কথা বলার কি কোন সুযোগ নাই। 
,
(০৩) 
হযরত ইউসুফ আঃ অহিপ্রাপ্তিঃ
   
যখন সে [ইউসুফ (আ.)] পূর্ণ যৌবনে উপনীত হলো তখন আমি তাকে প্রজ্ঞা ও জ্ঞান দান করলাম। এভাবেই আমি সৎ কর্মপরায়ণদের পুরস্কৃত করি। (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ২২)

হজরত ইউসুফ (আ.) অত্যন্ত সত্কর্মশীল ও ন্যায়বান ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর বয়স যখন পূর্ণতা পেল তখন মহান আল্লাহ তাঁর প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ করেছেন। তাঁকে নবুয়ত দান করেছেন। আল্লাহ এভাবেই সত্কর্মশীলদের পুরস্কৃত করেন। আল্লাহ সমাজেরই একজনকে নবী হিসেবে নির্বাচিত করেন। এরপর নানা ঘটনার মাধ্যমে তাঁকে পরীক্ষা করেন এবং মানবসমাজে সত্যের আহ্বানকারী হওয়ার যোগ্য রূপে গড়ে তোলেন।

আল্লামা ওহাবা জুহাইলি (রহ.) লিখেছেন : পূর্ণ যৌবন থাকে ৩০ থেকে ৪০ বছরের মাঝামাঝি সময়ে। তাই ইউসুফ (আ.)-এর নবী হওয়ার সময়ের বয়স নিয়ে মতভেদ দেখা যায়। ইবনে আব্বাস ও মুজাহিদ (রহ.) বলেছেন, ৩৩ বছর বয়সে ইউসুফ (আ.) নবী হয়েছেন। হাসান বসরি (রহ.)-এর মতে, তিনি ৪০ বছর বয়সে নবী হয়েছেন। 
 (ইবনে কাসির ও তাফসিরে মুনির)

আদম, ইয়াহইয়া ও ঈসা (আ.) ছাড়া প্রায় সব নবীই ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেছিলেন। কোনো কোনো তাফসিরবিদের মতে, মুসা (আ.) ৫০ বছর বয়সে নবী হয়েছেন। এরপর ফেরাউনের দরবারে পৌঁছেছেন। ২৩ বছর দ্বন্দ্ব-সংগ্রামের পর ফেরাউন ডুবে মরে। আর বনি ইসরাইল মিসর থেকে বেরিয়ে যায়। এ সময় মুসা (আ.)-এর বয়স ছিল সম্ভবত ৮০ বছর। তবে মুফতি মুহাম্মদ শফি (রহ.)-এর মতে, জাদুকরদের সঙ্গে মোকাবিলার ঘটনার পর মুসা (আ.) ২০ বছর মিসরে অবস্থান করেন। কিন্তু মুসা (আ.)ও ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেছিলেন বলে বেশির ভাগ ইতিহাসবিদ অভিমত দিয়েছেন।

(০৪)
পরবর্তী জীবনে ইউসুফ (আ.) ও আজিজে মিসরের স্ত্রী জুলেখা এর বিবাহ হয়েছিলো?

সূরা ইউসুফের পরবর্তী অংশে কারাগার থেকে হজরত ইউসুফ (আ.)-এর মুক্তি, রাজার স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদানের মাধ্যমে রাজ দরবারে আকর্ষণীয় পদ লাভ, মিসরের দুর্ভিক্ষ, সৎ ভাইদের উচিত শিক্ষাদান, আপন ছোটভাই বেনিয়ামিনকে কাছে রাখা, পিতা ইয়াকুব (আ.)-এর চোখের দৃষ্টি ফিরে পাওয়া এবং সবশেষে পিতা-মাতাকে রাজদরবারে বসিয়ে সম্মান প্রদানের বর্ণনা রয়েছে। 
,
তবে আজিজের স্ত্রী বা জুলেখা সম্পর্কে পরবর্তীতে আর কোনো বর্ণনা পবিত্র কোরআনে দেওয়া হয়নি, হাদিসেও এ সংক্রান্ত বিশেষ কোনো তথ্য পাওয়া যায় না।
,
হাদিস বা পবিত্র কোরআনে উল্লেখ না থাকলেও বিভিন্ন সাহিত্যে ইউসুফ (আ.)-এর সঙ্গে জুলেখার পুনর্মিলনের বর্ণনা পাওয়া যায়। 
,
একটি সাহিত্যধারা মতে, সময়ের বিবর্তনে মিসরের আজিজ (জুলেখার স্বামী) মৃত্যুবরণ করার পর তাদের শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়। পরবর্তীতে তাদের কোলজুড়ে দুই পুত্র আফরাইম ইবনে ইউসুফ এবং মায়শা ইবনে ইউসুফের জন্মের বর্ণনাও পাওয়া যায়। কারও কারও মতে, জুলেখার স্বামীর মৃত্যুর পর হজরত ইউসুফ (আ.) মিসরের নতুন আজিজ নিযুক্ত হন এবং তাঁর সঙ্গে জুলেখার বিবাহের ব্যবস্থা করা হয়। সূরা ইউসুফের ৫৪ থেকে ৫৬ নং আয়াত মোতাবেক মিসরের রাজা ইউসুফ (আ.)-কে সম্মান এবং বিশ্বাসী পাত্র হিসেবে গণ্য করেন এবং তাঁকে বিশ্বস্ত সহচর নিযুক্ত করেন।

★এগুলো সবই ঈসরায়েলী রেওয়ায়াত।
যাহা সত্য ও মিথ্যা উভয়ের সম্ভাবনা রাখে।  
,
★যেহেতু কুরআন হাদীসে এই ব্যাপারে কিছুই বলা নাই,তাই এই ব্যাপারে আমরা নির্দিষ্ট আকারে  বলতে পারিনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...