জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০২)
রমজানে কোনো রোযা কাজা হয়ে গেলে পরের রমজান আসার আগেই তার কাজা আদায় করে নিতে হবে।
শরিয়তসম্মত কারণবশত রমজানে তার ভাংতি রোজাগুলো পরবর্তী রমজান আসার আগে কাজা করতে না পারে, তবে রমজানের পরবর্তী সময় সেই (পূর্বের রমজানের) রোজাগুলো তাকে অবশ্যই কাজা করে নিতে হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ تَقُولُ كَانَ يَكُونُ عَلَىَّ الصَّوْمُ مِنْ رَمَضَانَ، فَمَا أَسْتَطِيعُ أَنْ أَقْضِيَ إِلاَّ فِي شَعْبَانَ. قَالَ يَحْيَى الشُّغْلُ مِنَ النَّبِيِّ أَوْ بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
আহমদ ইবনু ইউনুস (রহঃ) ... ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার উপর রমযানের যে কাযাথেকে যেত তা পরবর্তী শাবান ছাড়া আমি আদায় করতে পারতাম না। ইয়াহিয়া (রহঃ) বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ব্যস্ততার কারণে কিংবা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ব্যস্ততার কারণে।
(বুখারী শরীফ ১৮২৬)
★যদি একাধিক রমজানের রোজা কাযা হয়ে যায় তাহলে কাযা আদায় করার সময় কোন রমজানের রোজার কাযা আদায় করছে এটা নির্দিষ্ট করা জরুরী। তবে যদি কাযা রোজার সংখ্যা অনেক বেশি হয় এবং তা নির্দিষ্ট করা কঠিন হয় তাহলে -জীবনের সর্বপ্রথম কাযা রোজা রাখলাম- এভাবেও নিয়ত করতে পারবে।
আল আশবাহ ওয়ান নাযায়ির : ১/১১৫
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যে কয়েকটি রোযা আদায় করেছেন,সেগুলো আর আদায় করতে হবেনা।
বাকি গুলো আদায় করবেন।
,
আপনি কোন সালের রোযার কাজা আদায় করছেন,সেই সাল নির্দিষ্ট করবেন।
(০২)
মাতা পিতা যেই টাকা আপনার মালিকানায় দিয়ে দিয়েছে,সেই টাকা আপনার হস্তগত হওয়ার পর তার মালিক আপনি নিজে।
আপনার হস্তগত হওয়ার পর সেই টাকার মালিক আপনার বাবা মা থাকেনা।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত বাবা মার টাকা আপনার হস্তগত হওয়ার পর তথা আপনার মালিকানায় আসা সেই টাকা সদকাহ করতে পারবেন।
এই টাকার পূর্ণ মালিম আপনি।
সুতরাং এই টাকা সদকাহ করতে বাবা মার অনুমতির প্রয়োজন নেই।
(০৩)
হ্যাঁ, সেই ফ্রি পাওয়া পন্যও হারাম হবে।