ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
আবু দাউদ শরীফের ১৮০ নং হাদীসে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَخْلَدٍ الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَغْرَاءَ - حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، أَخْبَرَنَا أَصْحَابٌ، لَنَا عَنْ عُرْوَةَ الْمُزَنِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ لِرَجُلٍ احْكِ عَنِّي أَنَّ هَذَيْنِ - يَعْنِي حَدِيثَ الأَعْمَشِ هَذَا عَنْ حَبِيبٍ وَحَدِيثَهُ بِهَذَا الإِسْنَادِ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ
উরওয়াহ আল-মুযানী ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াহ্ইয়াহ্ ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান এক ব্যক্তিকে এ মর্মে আদেশ দেন, আমার সূত্রে ঐ হাদীস দু’টি বর্ণনা কর। অর্থাৎ আ‘মাশের হাদীস এবং একই সানাদে ইস্তিহাযা রোগিনী’’ সম্পর্কে বর্ণিত তার ঐ হাদীস যাতে রয়েছে, ‘ইস্তিহাযা রোগিনী প্রত্যেক সলাতের জন্যই অযু করবে।’
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য শর্ত হলো,
شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-
শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)
কোনো ব্যাক্তি মা'যুর প্রমানিত হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী ওয়াক্ত গুলোতে পুরো সময় উক্ত ওযর পাওয়া জরুরি নয়,বরং পরবর্তী প্রতি ওয়াক্তে এক বারও যদি উক্ত ওযর পাওয়া যায়,তাহলে সে মা'যুরই থাকবে।
,
সুতরাং যদি কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,উক্ত সমস্যা তথা স্রাব আসার সমস্যা বন্ধ না হয়,বরং চলতেই থাকে,এই উযরের কারণে অল্প সময়ে ছোট ছুরা দিয়ে হলেও ফরয নামায পড়া আপনার জন্য কোনোভাবেই সম্ভবপর না হয়,তাহলে আপনি মা'যুর।
আপনি প্রতি ওয়াক্তের জন্য অযু করবেন,এই অযু দিয়ে উক্ত ওয়াক্তের মধ্যে যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করতে পারবেন।
(যদি অন্য কোনো অযু ভঙ্গকারী কিছু না পাওয়া যায়।)
,
পরবর্তী ওয়াক্তে আবার অযু করবেন
,
আর যদি আপনার ওযরটি এমন না হয়,তাহলে আপনি শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার যেহেতু প্রতি মাসের একটি একটা নির্দিষ্ট সময়ে খুব বেশি পরিমাণে স্রাব নির্গত হয়,সেক্ষেত্রে আপনি সেই সময় গুলোতে আপনি মা'যুর কিনা সেটি লক্ষ্য করে নামাজ আদায় করবেন।
,
আপনি প্রত্যেক মাসের সেই সময়ে একটি নামাজকে নির্দিষ্ট করবেন।
দেখবেন যে সেই নামাজের ওয়াক্তের শুরু থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত আপনি এমন সময় পান কিনা,যেই সময়ের মধ্যে আপনি অযু করে এসে ছোট কিরাআত দিয়ে দ্রুত শুধু ফরজ আদায় করা যায়।
যদি এতটুকু সময় পান,যেমনটি প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে আপনি অযু করে এসে ২/৩ রাকাত পড়ার সময় পান,তো এক্ষেত্রে আরো দ্রুত করলে হয়তোবা চার রাকাতও পাওয়া যাবে।
তো সুতরাং যদি আপনি এতটুকু সময় পান,তাহলে আপনি মা'যুর ননএর পরবর্তী ওয়াক্ত গুলোতে শুধু একবার সাদা স্রাব আসলেও আপনি মা'যুর হিসেবেই বহাল থাকবেন,সেই ভাবেই নামাজ আদায় করবেন।
,
আর যদি এতটুকু সময়ও না পান,তাহলে আপনি মা'যুর নন।
★এভাবে প্রত্যেক মাসের সেই নির্দিষ্ট সময়ে এভাবে কোনো ওয়াক্ত পরিক্ষা করে নামাজ আদায় করবেন।