আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
272 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (3 points)
edited by
এতে কি ব্যবসায় আমার ইনকামের টাকা হারাম হয়ে যাবে?এতে কি ব্যবসায় আমার ইনকামের টাকা হারাম হয়ে যাবে?এতে কি ব্যবসায় আমার ইনকামের টাকা হারাম হয়ে যাবে?এতে কি ব্যবসায় আমার ইনকামের টাকা হারাম হয়ে যাবে?এতে কি ব্যবসায় আমার ইনকামের টাকা হারাম হয়ে যাবে?এতে কি ব্যবসায় আমার ইনকামের টাকা হারাম হয়ে যাবে?
by (0 points)
দুই- ব্যবসা-বাণিজ্য সকল অবস্থায় বৈধ পন্থায় হতে হবে। অর্থাৎ সেখানে কোনো ধরনের ধোঁকাবাজি, ভেজাল ও ফাঁক-ফোকর থাকতে পারবে না। কোনো ধরনের মিথ্যার আশ্রয় থাকতে পারবে না। 

কিন্তু আমি তো মিথ্যা অযুহাত দেখিয়ে ইমেইল ঠিকানা খুলতে চাচ্ছি। এতে কি হারাম হবে না?
by (565,890 points)
এখানে ব্যাবসার ক্ষেত্রে কোনো ধোকা নেই।
by (3 points)
edited by
তাহলে আমি কি নিশ্চিত থাকতে পারি যে মিথ্যা বলে ইমেইল খুললেও আমার জন্য ব্যবস্যা হারাম হবে না?
কারণ, আপনি লিখেছেনঃ কোনো ধরনের মিথ্যার আশ্রয় থাকতে পারবে না। 
একটু বুঝিয়ে বলবেন? 

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/12144/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ ব্যবসার ক্ষেত্রে মৌলিকভাবে ইসলামের দু’টি মূলনীতি রয়েছে।

এক- ব্যবসায়িক পণ্য, উপাদান ও কায়কারবারগুলো বৈধ হতে হবে। অবৈধ পণ্যের ব্যবসা ও অবৈধ কায়কারবারকে ইসলাম বৈধতা দেয় না। যেমন, মদ, জুয়া, সুদ, ঘুষ ইত্যাদির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হওয়া ইসলামে অনুমোদন নেই। কারণ, এসব বিষয়কে ইসলামে মৌলিকভাবেই হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। সুতরাং আপনার ব্যবসার সাথে এসবের সংমিশ্রণ আপনার ব্যবসাকে কলুষিত করে।

দুই- ব্যবসা-বাণিজ্য সকল অবস্থায় বৈধ পন্থায় হতে হবে। অর্থাৎ সেখানে কোনো ধরনের ধোঁকাবাজি, ভেজাল ও ফাঁক-ফোকর থাকতে পারবে না। কোনো ধরনের মিথ্যার আশ্রয় থাকতে পারবে না। 

কারো ক্ষতি যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিদ্ধান্ত দেন যে,
«أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَضَى أَنْ لَا ضَرَرَ وَلَا ضِرَارَ».
“নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং অন্যের ক্ষতি করা কোনোটিই উচিত নয়”।
ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ২৩৪১

ধোঁকা, প্রতারণা ও ফাঁকিবাজি করা যাবে না।
,
মন্দ জিনিস ভালো বলে চালিয়ে দেওয়া, ভালোর সঙ্গে মন্দের মিশ্রণ ঘটিয়ে ধোঁকা দেওয়া ইত্যাদি সম্পূর্ণ হারাম। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ عَلَى صُبْرَةِ طَعَامٍ فَأَدْخَلَ يَدَهُ فِيهَا، فَنَالَتْ أَصَابِعُهُ بَلَلًا فَقَالَ: «مَا هَذَا يَا صَاحِبَ الطَّعَامِ؟» قَالَ أَصَابَتْهُ السَّمَاءُ يَا رَسُولَ اللهِ، قَالَ: «أَفَلَا جَعَلْتَهُ فَوْقَ الطَّعَامِ كَيْ يَرَاهُ النَّاسُ، مَنْ غَشَّ فَلَيْسَ مِنِّي».

“একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাজারে গিয়ে একজন খাদ্য বিক্রেতার পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন, তিনি খাদ্যের ভিতরে হাত প্রবেশ করে দেখলেন ভিতরের খাদ্যগুলো ভিজা বা নিম্নমান। এ অবস্থা দেখে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে খাবারের পন্যের মালিক এটা কী? লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসূল, এতে বৃষ্টি পড়েছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি সেটাকে খাবারের উপরে রাখলে না কেন; যাতে লোকেরা দেখতে পেত? “যে ধোঁকা দেয় সে আমার উম্মত নয়”।
সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০২

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 

(০১)
এতে উক্ত ব্যবসায় আপনার ইনকামের টাকা হারাম হবেনা।
হালালই থাকবে।
কেননা আপনার ব্যবসার ক্ষেত্রে ইসলামের মূলনীতি গুলো ঠিকই রয়েছে।
 
(০২)
ইমেইল ঠিকানাটি আপনার জন্য হারাম হবেনা।

(০৩)
উপরোক্ত মূলনীতিগুলো ফলো করে ব্যবসা করলে আপনাদের ব্যবসায় হালাল - হারাম জনিত কোন সমস্যা হবেনা।

(০৪)
এতে শুধু ১টি মিথ্যা কথা বলার গুনাহ হবে।
যতবার ইমেইল ব্যবহার করা হবে ততবারই গুনাহ হবেনা।

(০৫)
আপনি মিথ্যা বলে থাকলে মিথ্যা বলার গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য সত্য বলবেন। 
ব্যবসা হালালের সহিত এর কোনো সম্পর্ক নেই।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...