আসসালামু আলাইকুম হুজুর৷ নিচের উত্তর টি আপনি দিয়েছিলেন আপনাকে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিবেন। এই বিষয়ের আলোকে আমার শেষ একটা প্রশ্ন আছে। দয়া করে উত্তর দিবেন আমি বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করবো।
((সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
এই বিষয় নিয়ে কথা বলবা না আর কখনো, বললে ভাববা ওইদিনই সব শেষ। তার এই কথাত তালাকের কোনো নিয়ত ছিল না । কিন্তু আমার ওয়াসওয়াসার কারনে তাকে বার বার জিজ্ঞেস করি তুমি সিরিয়াস কোনকিছু ভেবে বলো নি তো? সে তখন খুবই বিরক্ত হয় এবং বলে,"হ্যাঁ, বলেছি।
এখানে আপনার প্রশ্নের জবাবে সে বলেছে, হ্যা বলেছি।আপনার প্রশ্নতেও তালাক ছিলনা।
তাই এখানে তালাক হবেনা।
এখানের কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে তালাকের নিয়ত করা সংক্রান্ত মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়েছে,এতে তালাক হবেনা।
এখানে সিরিয়াসের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে। তবে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে না।))
১।। এইখানে স্বামী যখন বলেছিল হ্যাঁ করেছি৷ এরপর যদি স্ত্রী বলতো কিভাবে এই কথাটা বললা,,, আমিতো সিরিয়াস কিছু বলতে তা*** কথা বুঝিয়েছিলাম। তুমি হ্যাঁ করেছি কেন বললে তখন,,,তারপর যদি স্বামী উত্তর দিতো,, ""বার বার বললাম মিন করিনি তাও আমাকে পাগল বানাইছো তাই আবার বলেছিলাম মিন করেছি।"" এই কথার মাধ্যমে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যাবে?? কারন বউ তো এখন প্রকাশ করেছে সে সিরিয়াস কিছু বলতে তা**** কথা মিন করেছিল। এখন স্বামী যদি উত্তর দেয় সে আগে, হ্যাঁ করেছি বলেছে বউয়ের বার বার প্রশ্ন করার কারণে৷ এই কথার জন্য কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে?? বউ তো এইখানে তা**** প্রশ্ন করেনি। বলেছে ওইসময় কেন হ্যাঁ করেছি বলেছিল আর স্বামী আগের ঘটনার প্রেক্ষিতে উত্তর দিয়েছে যদি,,তাহলে হুকুম কি??
(এরকম ঘটেছে কিনা সম্পূর্ণ সন্দেহ,,,শুধু জানার জন্য বলা হলো প্রশ্ন টা যদি এরকম হয়ে থাকে এই ওয়াসওয়াসা আসছে))
২। হুজুর ১ নাম্বার প্রশ্নের ঘটনা ঘটেছে কিনা বা এইভাবে কথা হয়েছে কিনা কিছুতেই শিউর না। তাদের মেসেজের কিছু স্ক্রিনশট পাওয়া গেছে সেটা দেখে বুঝা যাচ্ছে স্বামী হ্যাঁ করেছি বলার পর স্ত্রী অনেক কিছু বলে বুঝায় তাকে,,, তালাকের ব্যাপারে অনেক কিছু বলে হয়তো৷ আর বলে হ্যাঁ বলেছি বলেছো আর যাই বলেছো মনের নিয়ত কিন্তু আসল৷ তারপর স্বামী বলে তুমি জানো কিভাবে আমার নিয়ত কি?? তারপর স্ত্রী বলে যে বলে দিলেই তো হতো। আমি তোমার স্ত্রী,,আমি কি জানতে চাইতে পারিনা?? পরে সে বলে একবার বললাম মিন করিনি তাও আমাকে পাগল বানাইছো,,, তাই বলেছিলাম হ্যাঁ করছি।
এখন হুজুর এই দুই ঘটনার মধ্যে কি তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হওয়ার কোন কারন আছে??মানে প্রথম ঘটনার পর আলোচনার সাপেক্ষে স্বামী বললো যে স্ত্রীর প্রশ্নে বিরক্ত হয়ে সে হ্যাঁ করেছি বলেছিল। এইটা বলার আগে যদি স্ত্রী প্রকাশ করে থাকে যে সিরিয়াস কিছু বলতে তালাকের কথা মিন করেছিল তাহলে হুকুম কি??
৩।নিচে এইভাবে প্রশ্ন লিখার ফলে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে??
এইখানে তো আমি নিজেকে উল্লেখ করিনি,, বা আমার স্বামীর সাথে আমার এরকম ঘটনা ঘটেনি।
কারন মুফতি ইমদাদুল হক হুজুর বলেছেন নিচের ঘটনায় নাকি তা*** পতিত হবে তাই আমি ভয়ে আছি কোন সমস্যা হবে কিনা এইভাবে প্রশ্ন লিখার ফলে। কারন প্রশ্নের উত্তর যেহেতু তা****,,,, তাহলে আমি প্রশ্ন করার জন্য সেটা আমার দিকে আসবে নাতো???
প্রশ্ন টা এরকম ছিলঃ
((( এরপর স্ত্রী যদি স্বামীকে বলে, তুমি হ্যাঁ করেছি কেন বললা?আমিতো সিরিয়াস কিছু বলতে তালা*** কথা বুঝিয়েছিলাম। তারপর যদি স্বামী বলে, তুমি বার বার প্রশ্ন করে আমাকে বিরক্ত করেছ তাই বলেছিলাম "হ্যাঁ করেছি। " এইখানে তো স্বামী জানে স্ত্রী সিরিয়াস কিছু বলতে তালাকের কথা মিন করেছিল৷ এখন স্বামী জানার পর যদি উত্তর দিল সে বিরক্ত হয়ে, "" হ্যাঁ বলেছি/হ্যাঁ করেছি" বলেছে। এতে কি এই ঘটনায় তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে??? তারা পূর্বের ঘটনা টা নিয়ে আলোচনা করছিল, আর এইখানে স্ত্রী তালাকের প্রশ্ন করেনি। তাও স্ত্রী যে বললো সে সিরিয়াস কিছু বলতে তালা*** কথা বুঝিয়েছিল এবং স্বামী যদি উত্তর দেয় সে বিরক্ত হয়ে উত্তর দিয়েছিল এতে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে??)))
৪।কোন মহিলা যদি কোন ঘটনার ভুল সিকারোক্তি দেয়, অর্থাত কোন ঘটনা একভাবে ঘটার পর যদি সে অন্যভাবে বর্ণণনা দেয়,, তাহলে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে?? অর্থাত তার স্বামী কোন একটি কথা একভাবে বলেছে মহিলা যদি অন্যভাবে উপস্থাপন করে,, যেভাবে উপস্থাপন করার ফলে তা*** পতিত হতে পারে অথচ বাস্তবে এমন ঘটেনি তাহলে কি সমস্যা হবে বা পতিত হবে??