আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
132 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (16 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর৷ নিচের উত্তর টি আপনি দিয়েছিলেন আপনাকে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিবেন। এই বিষয়ের আলোকে আমার শেষ একটা প্রশ্ন আছে। দয়া করে উত্তর দিবেন আমি বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করবো।
((সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

এই বিষয় নিয়ে কথা বলবা না আর কখনো, বললে ভাববা ওইদিনই সব শেষ।  তার এই কথাত তালাকের কোনো নিয়ত ছিল না । কিন্তু আমার ওয়াসওয়াসার কারনে তাকে বার বার জিজ্ঞেস করি তুমি সিরিয়াস কোনকিছু ভেবে বলো নি তো? সে তখন খুবই বিরক্ত হয় এবং বলে,"হ্যাঁ,  বলেছি।

এখানে আপনার  প্রশ্নের জবাবে সে বলেছে, হ্যা বলেছি।আপনার প্রশ্নতেও তালাক ছিলনা।
তাই এখানে তালাক হবেনা।

এখানের কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে তালাকের নিয়ত করা সংক্রান্ত মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়েছে,এতে তালাক হবেনা।

এখানে সিরিয়াসের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে। তবে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে না।))

১।। এইখানে স্বামী যখন বলেছিল হ্যাঁ করেছি৷ এরপর যদি স্ত্রী বলতো কিভাবে এই কথাটা বললা,,, আমিতো সিরিয়াস কিছু বলতে তা*** কথা বুঝিয়েছিলাম।  তুমি হ্যাঁ করেছি কেন বললে তখন,,,তারপর যদি স্বামী উত্তর দিতো,, ""বার বার বললাম মিন করিনি তাও আমাকে পাগল বানাইছো তাই আবার বলেছিলাম মিন করেছি।"" এই কথার মাধ্যমে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যাবে?? কারন বউ তো এখন প্রকাশ করেছে সে সিরিয়াস কিছু বলতে তা****  কথা মিন করেছিল। এখন স্বামী যদি উত্তর দেয় সে আগে, হ্যাঁ করেছি বলেছে বউয়ের বার বার প্রশ্ন করার কারণে৷ এই কথার জন্য কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে?? বউ তো এইখানে তা**** প্রশ্ন করেনি। বলেছে ওইসময় কেন হ্যাঁ করেছি বলেছিল আর স্বামী আগের ঘটনার প্রেক্ষিতে উত্তর দিয়েছে যদি,,তাহলে হুকুম কি??

(এরকম ঘটেছে কিনা সম্পূর্ণ সন্দেহ,,,শুধু জানার জন্য বলা হলো প্রশ্ন টা যদি এরকম হয়ে থাকে এই ওয়াসওয়াসা আসছে))

২। হুজুর ১ নাম্বার প্রশ্নের ঘটনা ঘটেছে কিনা বা এইভাবে কথা হয়েছে কিনা কিছুতেই শিউর না। তাদের মেসেজের কিছু স্ক্রিনশট পাওয়া গেছে সেটা দেখে বুঝা যাচ্ছে স্বামী হ্যাঁ করেছি বলার পর স্ত্রী অনেক কিছু বলে বুঝায় তাকে,,, তালাকের ব্যাপারে অনেক কিছু বলে হয়তো৷ আর বলে হ্যাঁ বলেছি বলেছো আর যাই বলেছো মনের নিয়ত কিন্তু আসল৷ তারপর স্বামী বলে তুমি জানো কিভাবে আমার নিয়ত কি?? তারপর স্ত্রী বলে যে বলে দিলেই তো হতো। আমি তোমার স্ত্রী,,আমি কি জানতে চাইতে পারিনা?? পরে সে বলে একবার বললাম মিন করিনি তাও আমাকে পাগল বানাইছো,,, তাই বলেছিলাম হ্যাঁ  করছি।

এখন হুজুর এই দুই ঘটনার মধ্যে কি তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হওয়ার কোন কারন আছে??মানে প্রথম ঘটনার পর আলোচনার সাপেক্ষে স্বামী বললো যে স্ত্রীর প্রশ্নে বিরক্ত হয়ে সে হ্যাঁ করেছি বলেছিল। এইটা বলার আগে যদি স্ত্রী প্রকাশ করে থাকে যে সিরিয়াস কিছু বলতে তালাকের কথা মিন করেছিল তাহলে হুকুম কি??

৩।নিচে এইভাবে প্রশ্ন লিখার ফলে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে??

এইখানে তো আমি নিজেকে উল্লেখ করিনি,, বা আমার স্বামীর সাথে আমার এরকম ঘটনা ঘটেনি।

কারন মুফতি ইমদাদুল হক হুজুর বলেছেন নিচের ঘটনায় নাকি তা*** পতিত হবে তাই আমি ভয়ে আছি কোন সমস্যা হবে কিনা এইভাবে প্রশ্ন লিখার ফলে।  কারন প্রশ্নের উত্তর যেহেতু তা****,,,,  তাহলে আমি প্রশ্ন করার জন্য সেটা আমার দিকে আসবে নাতো???
প্রশ্ন টা এরকম ছিলঃ
((( এরপর স্ত্রী যদি স্বামীকে বলে,  তুমি হ্যাঁ করেছি কেন বললা?আমিতো সিরিয়াস কিছু বলতে তালা*** কথা বুঝিয়েছিলাম। তারপর যদি স্বামী বলে, তুমি বার বার প্রশ্ন করে আমাকে বিরক্ত করেছ তাই বলেছিলাম "হ্যাঁ করেছি। " এইখানে তো স্বামী জানে স্ত্রী সিরিয়াস কিছু বলতে তালাকের কথা মিন করেছিল৷ এখন স্বামী জানার পর যদি উত্তর দিল সে বিরক্ত হয়ে, "" হ্যাঁ বলেছি/হ্যাঁ করেছি" বলেছে। এতে কি এই ঘটনায় তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে??? তারা পূর্বের ঘটনা টা নিয়ে আলোচনা করছিল, আর এইখানে স্ত্রী তালাকের প্রশ্ন করেনি। তাও স্ত্রী যে বললো সে সিরিয়াস কিছু বলতে তালা*** কথা বুঝিয়েছিল এবং স্বামী যদি উত্তর দেয় সে বিরক্ত হয়ে উত্তর দিয়েছিল এতে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে??)))

৪।কোন মহিলা যদি কোন ঘটনার ভুল সিকারোক্তি দেয়, অর্থাত কোন ঘটনা একভাবে ঘটার পর যদি সে অন্যভাবে বর্ণণনা দেয়,, তাহলে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে?? অর্থাত তার স্বামী কোন একটি কথা একভাবে বলেছে মহিলা যদি অন্যভাবে উপস্থাপন করে,, যেভাবে উপস্থাপন করার ফলে তা*** পতিত হতে পারে অথচ বাস্তবে এমন ঘটেনি তাহলে কি সমস্যা হবে বা পতিত হবে??

1 Answer

0 votes
by (683,160 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(১.২.৩)
তালাক খুবই মারাত্মক একটি বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ ভয়ানক শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর ভালবেসে বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামীর কোনো তালাকের নিয়ত ছিলোনা।
এখানে বারবার স্বামীকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করে তালাকের স্বীকারোক্তি নেওয়ার মতো স্ত্রী কাজ করছেন।
যেটি ভিষন অন্যায়।
,
উল্লেখিত প্রশ্নে সম্ভাবনার উপর ভিত্তি করে প্রশ্ন করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত নয়।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু স্বামীর কোনো তালাকের নিয়ত ছিলোনা, তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা।

(০৪)
স্বামীর ঘটানো কোনো ঘটনা নিয়ে কোন মহিলা যদি সেই ঘটনার ভুল স্বীকারোক্তি দেয়, অর্থাৎ স্বামী কর্তৃক কোনো ঘটনা একভাবে ঘটার পর যদি সে অন্যভাবে বর্ণনা দেয়,, তাহলে মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবেনা।

★তবে যদি স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা প্রাপ্ত হওয়ার পর নিজের উপর তালাক প্রদান না করে মিথ্যা ভাবে কাউকে বলে যে "আমি নিজের নফসকে তালাক প্রদান করেছি"  বা এই জাতীয় কোনো বাক্য মিথ্যা ভাবে বলে, তাহলে এটি তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হিসেবে গন্য হয়ে তালাক হয়ে যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...