আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
257 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম।আমার সামনে দুইটা উপায় আছে এখন,হয় পতিতালয়ে যেতে হবে কিংবা পালিয়ে বিয়ে করতে হবে।আমার বাসায় ও জানাব না,মেয়ের বাড়িতেও না।এমতাবস্থায় সাক্ষী সমেত বিয়ে করলে কি বিয়ে হয়ে যাবে?বিয়ে না করলে যেকোনোদিন হয়ত পতিতালয়ে যেতেও পারিবিয়ে করা আমার উপর ফরজের চাইতেও যদি বেশি কিছু থাকে,তাহলে সেটা।এখন কারো বাড়িতে না জানিয়ে বিয়ে করলে কি শরীয়তসম্মত হবে?আমার পরিস্থিতি বিবেচনা কইরেন শায়েখ।ওইভাবে বিয়ে করলে বিয়ের পর কি তা যিনা হিসেবে বিবেচিত হবে?প্লিজ একটু উত্তর দিয়েনপরিস্থিতি খুবই খারাপ আমার।বিয়ে না করলে যেকোনোদিন গত্যা ঘটতে পারে।

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
‘আলক্বামাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। 

عن علقمة، قال: كنت مع عبد الله، فلقيه عثمان بمنى، فقال: يا أبا عبد الرحمن إن لي إليك حاجة فخلوا، فقال عثمان: هل لك يا أبا عبد الرحمن في أن نزوجك بكرا، تذكرك ما كنت تعهد؟ فلما رأى عبد الله أن ليس له حاجة إلى هذا أشار إلي، فقال: يا علقمة، فانتهيت إليه وهو يقول: أما لئن قلت ذلك، لقد قال لنا النبي صلى الله عليه وسلم: «يا معشر الشبابمن استطاع منكم الباءة فليتزوج، ومن لم يستطع فعليه بالصوم فإنه له وجاء»

তিনি বলেন, যখন আমি ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম, ‘উসমান (রাঃ) তাঁর সঙ্গে মিনাতে দেখা করে বলেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আপনার সাথে আমার কিছু দরকার আছে। অতঃপর তারা দু’জনে এক পাশে গেলেন। তারপর ‘উসমান (রাঃ) বললেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আমি কি আপনার সঙ্গে এমন একটি কুমারী মেয়ের বিয়ে দিব, যে আপনাকে আপনার অতীত কালকে স্মরণ করিয়ে দিবে? ‘আবদুল্লাহ্ যখন দেখলেন, তার এ বিয়ের দরকার নেই তখন তিনি আমাকে ‘হে ‘আলক্বামাহ’ বলে ইঙ্গিত করলেন। আমি তাঁর কাছে গিয়ে বলতে শুনলাম, আপনি আমাকে এ কথা বলছেন (এ ব্যাপারে) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন, হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে এবং যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন ‘সওম’ পালন করে। কেননা, সওম যৌন ক্ষমতাকে দমন করে।(সহীহ বোখারী-৫০৬৫)

«النِّكَاحُ حَالَةَ الِاعْتِدَالِ سُنَّةٌ مُؤَكَّدَةٌ مَرْغُوبَةٌ، وَحَالَةَ التَّوَقَانِ وَاجِبٌ، وَحَالَةَ الْخَوْفِ مِنَ الْجَوْرِ مَكْرُوهٌ.» - «الاختيار لتعليل المختار»
 (3/ 82)

স্বাভাবিক অবস্থায় বিয়ে করা সুন্নতে মু’আক্কাদা। আর যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনায় বিয়ে করা ওয়াজিব। আর স্ত্রীর জুলুম করার আশংকা থাকলে তখন বিয়ে করা মাকরুহ।(আল-এখতিয়ার লি তা’লিলিল মুখতার-৩/৮২)

অথবা এভাবেও বলা যায়,
বিবাহের সামর্থ রয়েছে, আর্থিক শারিরিক উভয় রকম সামর্থ্য রয়েছে,এবং যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,তাহলে এমতাবস্থায় বিয়ে ওয়াজিব। বিবাহের সামর্থ্য রয়েছে,তবে যিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা নাই এমতাবস্থায় বিয়ে করা সুন্নত। এবং স্ত্রীর হক আদায় না করার আশংকা থাকলে তখন বিয়ে করা মাকরুহ। 

আরো জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2276
https://www.ifatwa.info/15253/

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
আপনার কি স্ত্রীর মোহর,ভরনপোষণ প্রদানের সামর্থ্য আছে?
যদি থাকে,তাহলে আপনার উপর বিবাহ ওয়াজিব,এক্ষেত্রে আপনি প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে   বিবাহ করতে পারবেন।
মেয়ে বালেগাহ হলে  ২ জন বালেগ পুরুষকে সাক্ষী রেখে আপনি বিবাহ করলে বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে।
ঘর সংসার বৈধ হবে।
,
কিন্তু যদি আপনার স্ত্রীর মোহর,ভরনপোষণ প্রদানের সামর্থ্য না থাকে,তাহলে স্ত্রীর হক যেহেতু আদায় করতে আপনি অক্ষম,সুতরাং এই মুহুর্তে বিবাহ না করাই উচিত হবে।
এক্ষেত্রে বিবাহ আপনার উপর ওয়াজিব নয়।   
তাই আপনি রোযা রাখবেন।
পরিবারকে বুঝিয়ে বিবাহের প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে বিবাহে রাজি করাতে পারেন।
,
তদুপরি এই ছুরতেও যদি আপনি পালিয়ে বিবাহ করেন,মেয়ে বালেগাহ হলে  ২ জন বালেগ পুরুষকে সাক্ষী রেখে আপনি সেই বিবাহ করলে বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে।
ঘর সংসার বৈধ হবে।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...