আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
3,105 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (59 points)
আত্তাহিয়াতু কি মিরাজের রাতে আল্লাহ এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথোপকথন?
এরকম বর্ণনা এসেছে আলজামে লিআহকামিল কুরআন তথা তাফসীরে কুরতুবী, তাফসীরে সূরা বাকারা, আয়াত নং-২৮৫-২৮৬।
একই বর্ণনা এসেছে- বাহরুল উলুম তথা তাফসীরে শমরকন্দী, তাফসীরে সূরা বাকারা, আয়াত নং-২৮৫-২৮৬।
কিন্তু আমার এক বন্ধু পালটা প্রশ্ন করলো-
আল্লাহকে কি কেউ বলতে পারে আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক?  আল্লাহ কাউকে সালাম জানাতে পারেন? অথচ যাবতীয় শান্তি তো আল্লাহরই এখতিয়ারে

1 Answer

0 votes
by (696,320 points)
জবাবঃ-
কিছু কিছু মুফাস্সিরীন হযরাত সূরা ইয়াসিনের ৫৮নং আয়াতের ব্যাখায় লিখেন,
سَلَامٌ قَوْلًا مِن رَّبٍّ رَّحِيمٍ
করুণাময় পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাদেরকে বলা হবে সালাম।(সূরা ইয়াসিন-৫৮)

আল্লামা আলুসী বাগদাদি রাহ বলেন,উক্ত আয়াতে আল্লাহর তরফ থেকে যে সালামের কথা বর্ণনা করা হয়েছে,সেই সালাম আল্লাহ তার রাসূল সাঃ কে মে'রাজের রাত্রে প্রেরণ করেছালেন,যখন আল্লাহ তা'আলা বলেছিলেন,
 " السلام عليك أيها النبي ورحمة الله وبركاته "
তখন রাসূল সাঃ প্রতিউত্তরে বলেছিলেন,
" السلام علينا وعلى عباد الله الصالحين "
(রুহুল মা'আনী-৩/৩৮)

এবং কিছু কিছু হাদীস বিশারদ যেমন বদরুদ্দীন আইনি রাহ আবু-দাউদ গ্রন্থের ব্যখ্যায়(৪/২৩৮)মে'রাজ সম্পর্কীয় তাশাহুদের উক্ত ঘটনাকে লিখেন,এবং মুল্লা আলী ক্বারী রাহ ইবনে মালাক হানাফি রাহ থেকেও বর্ণনা করেন,
এবং কিছু কিছু ফিকহের কিতাব যেমন, তাবয়ীনুল হাক্বাঈক্ব(১/১২১)গ্রন্থেও এমনটা বর্ণিত হয়েছে।তাছাড়া ইমাম কাসতাল্লানী রাহ ও ইমাম শা'রানী রাহ ও এমনটা উল্লেখ করেছেন।

তবে এসব বর্ণনায় কোনো সনদের উল্লেখ নেই।সুতরাং এগুলোকে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর দিকে নিসবত করা অদ্য ঠিক হবে না।কেননা তাশাহুদ সম্পর্কে হাদীসের কিতাবাদিতে যে সব বর্ণনা এসেছে,তাতে মে'রাজ সম্পর্কীয় উক্ত ঘটনার কোনো উল্লেখ নেই।

হযরত ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত,
 عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بن مسعود رضي الله عنه قَالَ : ( كُنَّا نَقُولُ فِي الصَّلَاةِ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : السَّلَامُ عَلَى اللَّهِ ، السَّلَامُ عَلَى فُلَانٍ ، فَقَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ : إِنَّ اللَّهَ هُوَ السَّلَامُ ، فَإِذَا قَعَدَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلَاةِ فَلْيَقُلْ : التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ ، السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ ، السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ . - فَإِذَا قَالَهَا أَصَابَتْ كُلَّ عَبْدٍ لِلَّهِ صَالِحٍ فِي السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ - أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ، ثُمَّ يَتَخَيَّرُ مِنْ الْمَسْأَلَةِ مَا شَاءَ ) .
আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পিছনে সালাত আদায় করার সময় (বৈঠকে) বলতাম, আল্লাহর উপর সালাম হোক, অমুকের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের বললেনঃ বস্তুত আল্লাহ নিজেই সালাম (শান্তিদাতা)। অতএব তোমাদের কেউ যখন সালাতে বসে সে যেন বলে, "আত্তাহিয়াতু লিল্লা-হি ওয়াস্ সলাওয়া-তু ওয়াত তাইয়িবা-তু আসসালা-মু 'আলাইকা আইয়ুহান নাবিইয়্যু ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়াবারাকুহু আসসালা-মু 'আলাইনা- ওয়া'আলা- ইবা-দিল্লা-হিস্ স-লিহীন" অর্থাৎ "যাবতীয় মান-মর্যাদা, প্রশংসা ও পবিত্রতা আল্লাহর জন্য। হে নাবী! আপনার উপর শান্তি, আল্লাহর রহমত ও বারাকাত অবতীর্ণ হোক। আমাদের এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর শান্তি নেমে আসুক।” যখন সে এ কথাগুলো বলে, তখন তা আল্লাহর প্রতিটি নেক বান্দার কাছে পৌছে যায়, সে আসমানে বা জমিনেই থাক। (অতঃপর বলবে) "আশ্বহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়া আশ্হাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারসূলুহু" অর্থাৎ “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য ইলাহ নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ তার বান্দা ও রাসূল।" অতঃপর সালাত আদায়কারী তার ইচ্ছানুযায়ী যে কোন দু'আ পড়তে পারে। (সহীহ বুখারী-৬৩২৮,সহীহ মুসলিম৪০২)

মে'রাজ সম্পর্কীয় তাশাহুদের ঘটনা যদিও কিছু কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,কিন্ত সর্বত্রই বিনা সনদে বর্ণিত হয়েছে।তাই রাসূলুল্লাহ সাঃ এর দিকে উক্ত ঘটনাকে সম্মন্ধযুক্ত করা উচিৎ হবে না।তাছাড়া হাদীসের কোনো কিতাবে বিশুদ্ধ সনদে যত জায়গায় তাশাহুদের আলোচনা এসেছে,কোথাও কিন্তু উক্ত ঘটনার উল্লেখ নেই।সে হিসেবে মুহাক্বিক উলামায়ে কেরাম উক্ত ঘটনাকে বিশুদ্ধ বলেন না।আল্লাহু আ'আলাম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by

একেই বলে অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী। এক বিষয়ে কোন স্থানে কোন বিষয় উল্লেখ না করা সেটির অস্তিত্ব অস্বিকার করা মুর্খতা বৈ কিছু নয়। বিজ্ঞ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অজ্ঞ ব্যক্তিদের অধিকাংশ অভিযোগ হয়ে থাকে মুর্খতাসূলভ। কিন্তু সেটি যদি অভিযোগ না হয়ে জানতে চাওয়ার মানসিকতা হতো, তাহলে কতই না ভাল হতো।
সবাই সব কিছু জানবে এমন নয়। তাই জ্ঞানীদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করে মানার নির্দেশ আল্লাহ তাআলা পবিত্র কালামে দিয়েছেন। কিন্তু জানতে না চেয়ে অভিযোগ করে বসা মুর্খতা ছাড়া আর কি হতে পারে?
ইমাম কুরতুবী রহঃ। পৃথিবী বিখ্যাত তাফসীর বিশারদ। যে কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা সর্বজনবিদিত। ইমাম কুরতুবী রহঃ স্বীয় তাফসীরে কুরতুবীতে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত তথা ২৮৫ ও ২৮৬ নং আয়াতের তাফসীর করতে গিয়ে লিখেনঃ

قَوْلُهُ تَعَالَى: (آمَنَ الرَّسُولُ بِما أُنْزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ). [رُوِيَ عَنِ الْحَسَنِ وَمُجَاهِدٍ وَالضَّحَّاكِ: أَنَّ هَذِهِ الْآيَةَ كَانَتْ فِي قِصَّةِ الْمِعْرَاجِ، وَهَكَذَا رُوِيَ فِي بَعْضِ الرِّوَايَاتِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: جَمِيعُ الْقُرْآنِ نَزَلَ بِهِ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا هَذِهِ الْآيَةَ فَإِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هُوَ الَّذِي سَمِعَ لَيْلَةَ الْمِعْرَاجِ، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَمْ يَكُنْ ذَلِكَ فِي قِصَّةِ الْمِعْرَاجِ، لِأَنَّ لَيْلَةَ الْمِعْرَاجِ كَانَتْ بِمَكَّةَ وَهَذِهِ السُّورَةُ كُلُّهَا مَدَنِيَّةٌ، فَأَمَّا مَنْ قَالَ: إِنَّهَا كَانَتْ لَيْلَةَ الْمِعْرَاجِ قَالَ: لَمَّا صَعِدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وبلغ في السموات فِي مَكَانٍ مُرْتَفِعٍ وَمَعَهُ جِبْرِيلُ حَتَّى جَاوَزَ سِدْرَةَ الْمُنْتَهَى فَقَالَ لَهُ جِبْرِيلُ: إِنِّي لَمْ أُجَاوِزْ هَذَا الْمَوْضِعَ وَلَمْ يُؤْمَرْ بِالْمُجَاوَزَةِ أَحَدٌ هَذَا الْمَوْضِعَ غَيْرُكَ فَجَاوَزَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى بَلَغَ الْمَوْضِعَ الَّذِي شَاءَ اللَّهُ، فَأَشَارَ إِلَيْهِ جِبْرِيلُ بِأَنْ سَلِّمْ عَلَى رَبِّكَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، فَأَرَادَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَكُونَ لِأُمَّتِهِ حَظٌّ فِي السَّلَامِ فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ، فَقَالَ جِبْرِيلُ واهل السموات كُلُّهُمْ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أن محمدا عبد هـ وَرَسُولُهُ.

অনুবাদ- হযরত হাসান বসরী রহঃ, হযরত মুজাহিদ রহঃ, হযরত জাহহাক রহঃ থেকে বর্ণিত। নিশ্চয় এ আয়াত মিরাজের ঘটনার সময়কার। এমনিভাবে হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকেও কিছু বর্ণনায় তা পাওয়া যায়।
তবে কেউ কেউ বলেছেনঃ পূর্ণ কুরআন জিবরাঈল আঃ হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর কাছে নিয়ে এসেছেন এ আয়াত ছাড়া। যা রাসূল সাঃ মেরাজের রাতে শুনেছেন।
আর কেউ কেউ বলেন, এ আয়াত মিরাজের ঘটনার সময়কার নয়। কেননা, মেরাজের ঘটনা হয়েছে মক্কায়। আর এ পূর্ণ সুরা নাজিল হয়েছে মদীনায়।
তবে যারা বলেন যে, এ আয়াত মেরাজের রাতে নাজিল হয়েছে তারা বলেন, রাসুল সাঃ যখন আসমানে উঠলেন এবং উঁচু স্থানে পৌঁছলেন সাথে ছিলেন জিবরাঈল আঃ। এমনকি তারা সিদরাতুল মুনতাহায় পৌঁছলেন। তখন তাঁকে জিবরাঈল আঃ বললেন, নিশ্চয় আমি এ স্থান অতিক্রম করতে পারবো না। আর আপনাকে ছাড়া আর কাউকে এ স্থান অতিক্রম করার অধিকার দেয়া হয়নি। তারপর রাসূল সাঃ তার অতিক্রম করলেন এবং এমন স্থানে পৌঁছলেন যেখানে আল্লাহ তাআলা তাঁকে পৌঁছাতে চাইলেন। তখন জিবরাঈল আঃ তাঁকে [রাসূল সাঃ] ইশারা করলেন, আল্লাহ তাআলাকে সালাম করার জন্য। তখন রাসূল সাঃ বললেন, আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াসসালাওয়াতু ওয়াত ত্বায়্যিবাতু। তখন আল্লাহ তাআলা বললেন, আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। তখন রাসূল সাঃ চাইলেন সালামের একটি অংশ উম্মতীদের জন্যও বরাদ্দ হোক। তাই তিনি বললেন, আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস সালেহীন। তারপর জিবরাঈল আঃ এবং আসমানবাসী সবাই বলতে লাগল, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারাসূলুহু।

আলজামে লিআহকামিল কুরআন তথা তাফসীরে কুরতুবী, তাফসীরে সূরা বাকারা, আয়াত নং-২৮৫-২৮৬।
একই বর্ণনা এসেছে- বাহরুল উলুম তথা তাফসীরে শমরকন্দী, তাফসীরে সূরা বাকারা, আয়াত নং-২৮৫-২৮৬।

ইমাম কুরতুবী রহঃ এর বক্তব্যটির দিকে ভাল করে দৃষ্টি বুলালে আমরা দেখতে পাই। তাফসীরে কুরতুবীতে বর্ণিত ঘটনাটি কোন বানোয়াট ঘটনা নয়। সেটির সনদও রয়েছে। যা হযরত হযরত হাসান বসরী রহঃ, হযরত মুজাহিদ রহঃ, হযরত জাহহাক রহঃ থেকে বর্ণিত। শুধু তাই নয়, হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকেও কিছু কিছু বর্ণনায় তা উদ্ধৃত বলে ইমাম কুরতুবী রহঃ মত দিয়েছেন।
ইমাম কুরতুবী রহঃ পরিস্কার ভাষায় লিখেছেন যে, এ আয়াতটি হাসান বসরী রহঃ, হযরত মুজাহিদ রহঃ, হযরত জাহহাহক রহঃ এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ এর কতিপয় বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত যে, তা মেরাজ সম্পর্কিত। আর যারা উক্ত আয়াতকে মেরাজ সম্পর্কিত বলে মত দিয়েছেন তারাই এর সাথে উপরে বর্ণিত ঘটনাটি উদ্ধৃত করেছেন। তাহলে কি দাঁড়াল? এই ঘটনার বর্ণনাকারী, হযরত হাসান বসরী রহঃ, হযরত মুজাহিদ রহঃ, হযরত জাহহাক রহঃ, সেই সাথে হযরত হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ এর কিছু বর্ণনায়ও তা উদ্ধৃত।

তারপরও শুধু অজ্ঞতাবশতঃ উক্ত ঘটনাটিকে সূত্রহীন ও বানোয়াট বলে মন্তব্য করা মুর্খতা ছাড়া আর কী হতে পারে?
নির্ভরযোগ্য তাফসীর গ্রন্থে বর্ণনাকারীর কথা উল্লেখকরতঃ বর্ণনাকৃত বক্তব্যকে প্রচলিত বানোয়াট গল্প বলে মন্তব্য করা কতটা স্পর্ধার কাজ তা বিচার করার ভার সকল বিজ্ঞ পাঠকদের কাছেই ন্যস্ত করলাম।
অভিযোগকারী একথা বলতে পারে যে,
ইমাম কুরতুবী রহঃ যাদের থেকে এ বর্ণনা প্রমানিত বলেছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়। ইমাম কুরতুবী রহঃ স্বীয় তাফসীর গ্রন্থে তিনজন বড় মুহাদ্দিস ও তাফসীরবিদ এবং ইতিহাসবীদের রেফারেন্স দিয়ে বানোয়াট গল্প এনেছেন।
একথা বলার পর এ উদ্ভট দাবির ক্ষেত্রে দলীল পেশ করে তা প্রমাণ করতে পারে। কিন্তু বেধড়ক ঘটনাটির সূত্র সম্পর্কে যাচাই বাছাই ছাড়া ঘটনাটিকে বানোয়াট প্রচালিত গল্প বলে ঠাট্টা করা বেআদবী আর উদ্ধতপনা ছাড়া আর কিছু মনে হয় না।
এসব চামচিকার ভেংচি আল্লামা ওলীপুরী দা.বা. এর মত পূর্ণিমা চাঁদকে কখনো ম্লান করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তাআলা আমাদের এসব অতি পন্ডিত মুর্খ গবেষকদের বিভ্রান্তিকর গবেষণা থেকে মুসলিম জাতিকে হিফাযত করুন। আমীন।


والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে

লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...