আসসালামু আলাইকুম হুজুর।
প্রশ্ন-২ঃ
১ম বক্তব্য ঃকোন স্বামী যদি স্ত্রীকে রাগ করে বলে, " এই বিষয়ে আর একবার যদি আমাকে কিছু বলছো, তাহলে তোমার সাথে আমার ওইখানেই সব শে* মনে করবা।এইসব তুমি সমাধান করো গিয়ে। আমাকে আর একবার যাতে এই কথা না বলতে শুনি।""
প্রথমে বলার সময় বাক্যটি এইভাবে বলেছে। তারপর এইটা নিয়ে তাদের মধ্যে কথা হয়, কিছুক্ষন পর আলোচনা করার সময় স্বামি বলে এইরকম কথাতো আগেও বলেছি যে সব শেষ। তার কথা হচ্ছে এই কথা বললে কেন সমস্যা হবে?? তারপর সে বলে এইটা নিয়ে এত টেনশন করার কি আছে,,
" আমি বলেছি এইটা নিয়ে নেক্সট থেকে কিছু বললে মনে করবা ওইদিনই সব শে*.."২য় বক্তব্য
এইখানে একই কথা স্বামী দুই ভাবে বলেছে। স্বামী যদি ভেবে নেয় সে প্রথমে এইটাই বলেছিল হয়তো। তাহলে কোন বক্তব্য সঠিক ধরা হবে??মানে স্বামীর মনে যেটা নিয়ে বিশ্বাস থাকবে সেটাই ধরা হবে??
এইখানে স্বামী প্রথমে বলার সময় বলেছিল আর একবার বললে সব শেষের কথা, এই কথায় বুঝা যায় যদি সে শর্তের জন্যও বলে থাকতো তাহলে একবার বললেই শর্ত শেষ হয়ে যেতো।
কিন্তু পরবর্তীতে আলোচনার সময় আবার বললো যে, আমি বলেছি নেক্সট থেকে এই কথা আমাকে বললে,,,,তাহলে কি এই কথার জন্য বার বার শর্ত বহাল থাকবে?? নাকি ১ম বলার সময় যে কথা বলেছিল সেটাই বহাল থাকবে??
মেসেজে হয়েছিল কথাগুলো, আর মেসেজ থেকেই এই দুইটা কথার প্রমান পাওয়া যায়। এখন যদি মিথ্যা স্বীকারোক্তির কারণে শর্ত পরে, তাহলে স্ত্রী কি ধরে নিবে বার বার শর্ত পরবে?? নাকি ১ম বক্তব্য অনুযায়ী একবার শর্ত পরবে?
৩। মেসেজ গুলো এতদিন পাওয়া যায়নি বলে স্ত্রী প্রশ্ন করার সময় বলেছিল তার স্বামী তাকে বলেছে," আর কোনোদিন যদি এইসব বলো মনে করবা ওইদিনই সব শে*। ""
স্ত্রীর এইভাবে কোনদিন উল্লেখ করার ফলে কি শর্ত আজীবন থাকবে?? কারন স্বামী কোনদিন শব্দটা বলেনি।
৪। এখন যদি তাকে পুরনো মেসেজগুলো স্ত্রী দেখিয়ে যদি জিজ্ঞেস করে সে কোন বিষয়ের কথা বলেছিল বা কোন বিষয়ের উপর শর্ত দেওয়ার কথা বলেছিল? স্বামী মেসেজ দেখে যে বিষয়ের কথা বলবে বিষয়ের উপরেই শর্ত ধরে নিবে স্ত্রী ?? কারন স্বামীতো বলেছিল এইসব কথা না বলতে,,, স্ত্রী সন্দেহে আছে এইসব বলতে এই জাতীয় সব কথা বুঝিয়েছে নাকি একটি বিষয় বুঝিয়েছে। বর্তমানে স্বামীর মনে প্রবল বিশ্বাস নিয়ে স্বামী যে বিষয়ের কথা বলবে সেটাই সত্যি ধরা হবে? কারন স্বামী ভুলেও যেতে পারে অনেক আগের ঘটনা এইটা। স্বামি বলেছে সে উত্তর দিবে স্ত্রী জিজ্ঞেস করলে, স্বামি এখন দূরে আছে, কিছুদিন পরে সামনাসামনি কথা বলে সমাধান করবে বলেছে৷ সে চায় বউয়ের চিন্তা দূর হোক।
৫। মেসেজে স্ত্রী বলেছিল, একটা বর্ণণনা করে যে একটা হুজুরের কাছে তার স্বামী যাতে এই প্রশ্ন টা করে। প্রশ্ন টা ছিল স্ত্রীর ১ম বিয়ের তালাকের ব্যাপারে। কারন স্ত্রী তখন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিল তার পরিবারই তা**** টা করিয়েছিল। সেটা সঠিক হয়েছে কিনা স্ত্রী সন্দেহে ছিল। নাহলে তো বর্তমান স্বামীর সাথে বিয়ে বৈধ হবে না। এজন্য স্ত্রী স্বামীকে বলেছিক কথাটা। কিন্তু স্বামী রাগ করে৷ কারন গত কয়েকদিন যাবত এই বিষয় নিয়ে সে বিরক্ত ছিল। তাই তার স্ত্রী একটা বর্ননা বা প্রশ্ন লিখে তার কাছে পাঠায় যাতে সে কোন হুজুরকে জিজ্ঞেস করে,,, তারপরেই স্বামী বলে এইসব যদি আমাকে আর একদিন দিয়েছো, তাহলে মনে করবা অইদিনই সব শে*। তুমি তোমার মা আর মামাকে নিয়ে এইসব সমাধান কর।এইসব যাতে আমাকে আর একবার না বলতে শুনি।
এইটুকু কথা সে বলে। তারপর স্ত্রী যখন এইটা নিয়ে মন খারাপ করে বা প্রশ্ন করে তখন সে বলে,,,, ত তোমার সাথে আমার সব শে* এইটা নিয়ে টেনশন করার কি আছে আগেও তো বলেছি এইসব। আমি বলেছি আজকে থেকে এইসব আমাকে বললে মনে করবা সব শে*। আমাকে তুমি ৪/৫ দিন ধরে শান্তি দিতেছো না, কি শুরু করলা এক বিয়ে নিয়া।
এইখানে তো কোথাও সে উল্লেখ করেনি যে তালাকের যেকোনো বিষয়ে তাকে কোন প্রশ্ন করা যাবে না।।সে বলেছে এইসব না বলতে, যতটুকু বুঝা গেছে সে মূলত একটা বিষয়কেই বুঝিয়েছে। তাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে রাগ করতে পারে তাই আপনাকে প্রশ্ন করলাম।।কোন বিষয়ের উপর শর্ত ধরে নিবে স্ত্রী??
৬।কোন মহিলা কি নিজেকে শর্ত দিতে পারবে এইটা বলে যে, তার স্বামী অমুক কাজ করলে সে তা*** হয়ে যাবে??
৭।
কোন স্ত্রী যদি তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেয় এইটা বলে যে তার সাথে তার স্বামীর তা*** হয়ে গেছে,, কিন্তু সে ভুলে যায় সে কোন নিয়তে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিয়েছে অর্থাত স্বামী তাকে তা*** দিয়েছে বলে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিয়েছে নাকি নিজেকে সে তা*** দিয়েছে বলে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিয়েছে তাহলে হুকুম কি?? তা সত্যি পতিত হবে?
৮। ৭ নাম্বার প্রশ্নটা এইভাবে কোন স্ত্রী উল্লেখ করে লিখার পরেও কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে?? সে তো জানার জন্য প্রশ্ন করেছিল।আর নিজেকে উল্লেখ করা হয়নি এইখানে।
৯। ৭ নাম্বার প্রশ্নটা যদি কেউ কোন স্ত্রী না লিখে নিজেকে উল্লেখ করে (আমি লিখে)জানার জন্য প্রশ্ন করতো। তাহলে সমস্যা হতো?? অর্থাত যদি লিখতো,,,,
আমি যদি তা***** মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেই এইটা বলে যে,,,,, এইভাবে যদি কেউ ৭ নাম্বার প্রশ্নটা লিখতো / বা মুখে বলে প্রশ্ন করতো সম্পূর্ণ তাহলে সমস্যা হতো?? বা মিথ্যা স্বীকারোক্তি হতো??