আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
1,926 views
in পবিত্রতা (Purity) by (13 points)
সফরকালে  যদি মাটিও না পাওয়া যায়, তাহলে তায়াম্মুমের  নিয়ম কি?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم  
,
শরীয়তের বিধান হলো যদি গন্তব্যে পৌঁছে নামাজ আদায় করা সম্ভব না হয়, অথবা যানবাহনটি এমন কোথাও না দাঁড়ায় যেখানে পানি দ্বারা অযু করে নামায আদায় করা সম্ভব, তবে এমতাবস্থায় গাড়িতে পানিতে পানির ব্যবস্থা না থাকলে মাটি জাতীয় বস্তু দ্বারা তায়াম্মুম করে নামায পড়া জায়েজ আছে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন  
قوله تعالى-وَإِن كُنتُم مَّرْضَى أَوْ عَلَى سَفَرٍ أَوْ جَاء أَحَدٌ مِّنكُم مِّن الْغَآئِطِ أَوْ لاَمَسْتُمُ النِّسَاء فَلَمْ تَجِدُواْ مَاء فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدًا طَيِّبًا (سورة المائدة-6)
যার সারমর্ম হলো যদি তোমরা অসুস্থ হও,বা সফর অবস্থায় থাকো,,,,,, পানি যদি না পাও তাহলে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করো।
    
وفى الفتاوى الهندية- ومنها عدم القدرة على الماء يجوز التيمم لمن كان بعيدا من الماء ميلا هو المختار في المقدار سواء كان خارج المصر أو فيه وهو الصحيح وسواء كان مسافرا أو مقيما هكذا في التبيين لا يجوز التيمم لعدم الماء في المصر وكذا القرى التي لا يفارقها أهلها أو أكثرهم نهارا (الفتاوى الهندية-1/27)
যার সারমর্ম হলো পানির উপর যদি শক্তি না থাকে, যেমন সে যদি পানি থেকে এক মাইল দুরত্বে থাকে,,,, তাহলে সে তায়াম্মুম করতে পারবে। 

وفى خلاصة الفتاوى- وفى الأصل قال ابو حنيفة ومحمد رح يجوز التيمم بجميع ما كان من جنس الأرض ومن اجزائها نحو التراب والرمل وغير ذلك (خلاصة الفتاوى-1/35)
যার সারমর্ম হলো যমিন বা যমিন জাতীয় বস্তু থেকে তায়াম্মুম করা যাবে।   

প্রামান্য গ্রন্থাবলী
১. সূরা মায়িদা-৬
২. ফাতওয়ায়ে শামী-১/৯৬
৩. খুলাসাতুল ফাতওয়া-১/৩৫
৪. ফাতওয়ায়ে আলমগীরী-১/২৭
৫. তাবয়ীনুল হাকায়েক-১/১১৯
৬. ফাতওয়া আল ওয়াল ওয়ালিজিয়্যাহ-১/৬৫
۔
তায়াম্মুম পবিত্র মাটি দ্বারা হতে হবে। অথবা মৃত্তিকাজাত বস্তু দ্বারা। যেমন—পাথর, বালু, ধুলা ইত্যাদি। সুতরাং গাছপালা, সোনা, রুপা ইত্যাদি দ্বারা তায়াম্মুম জায়েজ নেই। (সুরা : নিসা, আয়াত : ৪৩; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ১৭১৬)
۔
তায়াম্মুমের জন্য রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘পবিত্র মাটিতে সে হাত রাখবে, এরপর মুখ এবং হাতের কব্জি পর্যন্ত একবার মাসেহ করবে।’ এর বাইরে অতিরিক্ত আর কিছুই না। 
,
মাটি এবং মাটিজাতীয় যে জিনিস রয়েছে, সেগুলো এই হুকুমের মধ্যে অন্তর্গত। 
,
কিন্তু ওয়াল, কাঠ, কাচ বা স্টিল এগুলোর ওপর হাত রেখে আদৌ তায়াম্মুম করা যাবে কি না, সে ব্যাপারে অধিকাংশ ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, ‘না, মাটির সঙ্গে এগুলোর কোনো সম্পর্ক নেই, এগুলো দিয়ে তায়াম্মুম হবে না।’
,
কিন্তু একদল ওলামায়ে কেরাম বলেছেন যে, ‘এগুলোর ওপর যদি মাটি জমে গিয়ে থাকে বা মাটির একটি স্তর পড়ে থাকে, এটি নিশ্চিত হন, তাহলে তার তায়াম্মুম হয়ে যাবে।’ কিন্তু এই বক্তব্যটি অনেক দুর্বল।

বিশুদ্ধ বক্তব্য হচ্ছে, মাটির ওপরেই বা মাটিজাতীয় বস্তুর ওপরে হাত রেখেই তায়াম্মুম করতে হবে। 
,
★সুতরাং সফরকালে ট্রেনে বা বাসে যদি মাটি না পাওয়া যায়,তবে যদি কোনো ভাবে ধুলা বা বালি ইত্যাদি পাওয়া যায়,তাহলে তা দিয়ে তায়াম্মুম করতে পারেন।
অন্যথায় তায়াম্মুম করার কোনো সুযোগ নেই।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 392 views
...