আসসালামু 'আলাইকুম।
আমার কিছু প্রশ্ন আছে।
১,মেঝে(টাইলস বা পাকা) তে কোনো নাপাকি পড়লে(অদ্রিশ্যমান) তা যদি শুকিয়ে যায় এবং তার কোনো বর্ন গন্ধ চিহ্ন থাকেনা সেক্ষেত্রে কি তা পাক ধরা যাবে? আপনাদের ৪৪৯৬ নং ফাতওয়াতে পাক লিখা তবে আরেকটু ক্লিয়ার হতে চাই।অনুরুপ ভাবে এটা কোনো স্টিলের বস্তু বা কাপড় রাখার হ্যাংগার হলে?
২,
১ নং ক্ষেত্রে শুকিয়ে যাওয়ার পর শুক্না কাপ্পড় দিয়ে মোছা যাবে কি?
৩,নাপাক জায়গায় জায়নামাজ বিছিয়ে সালাত আদায় করা যাবে কি?
৪,আমার একটি প্যান্টে প্রসাব ভরেছে,ত আমি প্রথমে কাপড়টি বেসিনে নিয়ে এর নাপাক অংশ টুকুর উপর পানি প্রবাহিত করি।প্রবাহিত করার সময় পানি কিছুটা কাপড়ে জমে ছিল আর কাপড়ের অন্যান্য জায়গায় আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। যাহোক সম্পূর্ণ পাক কিনা তা নিশ্চিত হবার জন্য কাপড়কে আমি একটি বালতির পাচ ভাগের একভাগ পানি নিয়ে চুবাই।এভাবে প্রতিবার পানি বদলিয়ে নতুন পানি নিয়ে মোটতিনবার চুবাই বা ধৌত করি।প্রতিবার চুবানোতে বালতির মাঝে কাপড় ঝাকাই, উপর নিচ করি।ত প্রতিবার চোবানোর পর
যখন বালতি আবার পানি দিয়ে ভরতে দিই আর কাপড় টা চিপে পানি বের করি।তখন হাত ত ভেজা থাকে।সেই ভেজা হাত দিয়ে পানির ট্যাপ, বালতির হাতল ধরি।এতে কি বালতির হাতল/পানির ট্যাপ নাপাক হবে?
আবার বালতি থেকে কাপড় তোলার সময় চুয়ে চুয়ে কিছু পানি বালতির উপরে মুখে পড়ে।
আবার বালতি যখন ভেজা হাতে ট্যাপের নিচে রাখি তখন ভেজা হাতের এক দু ফোটা পানি বালতিতে পড়ে।
এসব ক্ষেত্রে কি নাপাক হবে?
আর স্বাভাবিক ভাবে কাপড় চিপি।অত শক্ত করেও নাও,অত নরম করেওনা।আবার প্যান্টের ফিতাত নরম তাই অনেক পানি ধরে রাখে,সেটা আলাদা করে চিপিনা
আমি এই জিনিস গুলো এড়িয়ে কাপড় ধুতে পারিনা,কোনোনা কোনোভাবে হয়ে যায়।আমার ধারণা পৃথিবীর কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় এসব এড়িয়ে কাপড় ধোয়া।ধুতে চাইলে অনেএএএএক কষ্ট হবে,পানি নষ্ট হবে।আমার ওয়াসোয়াসা বেড়ে যাবে।
এখন আমার কাপড় কি পাক ধরা যাবে? এভাবে কাপড় ধুলে কি পাক হবে?