১. আমি অনেকদিন জামায়াতে নামাজে তাকবীরে তাহরীমার সময় শুধু হাত উঠাতাম, কিন্তু মুখে আল্লাহু আকবার বলতাম না। জানতাম না যে ঐটা না বললে নামাজই হয়না।
অনেকদিন এমন যাবার পর জানতে পারি, পরে তওবা করেছি। কিন্তু এগুলোর কি কাজাও পড়ব, পড়লে কত ওয়াক্ত পড়ব, কতবার এরকম করেছি এখন তো জানিও না। কারণ একাকী পড়ার সময় মুখে আল্লাহু আকবার বলতাম।
২. দরূদের উচ্চারণে 'আলা এখানে ى এর জায়গায় ا এরমত উচ্চারণ করে ফেলেছি অনেকদিন, নামাজ কি সহিহ হয়েছে?
আমি ه ح ط ت ص س , কোথায় কি মনে রাখতে পারিনা, প্রায়ই ভুলে যাই, ভুলে গেলে ভূল উচ্চারণ হলে নামাজ হবে?
৩. নামাজের ভেতর ওযু ভাঙ্গলে যদি ২য় রাকাতে ওযু ভেঙে যায়, আবার ওযু করে এসে যদি অন্য কিছু না করে আবার ২য় রাকাতে যেখানে ওযু ভেঙেছে, সেখানে থেকে শুরু করলে নামাজ হবে?
৪. জামায়াতে মাঝখানে ওযু ভাঙলে, যদি ১ম রাকাতের শেষে ওযু ভাঙ্গে, তারপর ওযু করে এসে যদি দেখি ৩য় রাকাতে ইমাম, অর্থাৎ ১ম, ৩য় আর ৪র্থ রাকাত পাই, তাহলে সালাম ফেরানোর পর নামাজ কিভাবে শেষ করব? শুধু এক রাকাত একা পরে নিলেই হবে?
৫. নামাজে গলা পরিষ্কারের জন্য একদিন কাশি দিয়েছিলাম, তখন মাসআলা ভালোমত বুঝতে পারিনি, এখন জানলাম একদম জরুরী, মানে কাশি দিতই হবে এমন ছাড়া কাশি দেয়া যাবেনা, তো ওই নামাজ তো ভেঙে গিয়েছে, এখন ওই নামাজ কোন ওয়াক্তের নামাজ ছিল, কোনদিন এর নামাজ ছিল মনেও নাই। কি করব?
৬. ফরজ নামাজে সিজদায়ে আর দরুদ এরপর কুরআন, হাদিসের দোয়াগুলো পড়া যাবে?
৭. ঘরে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বই থাকে যেগুলোর কভারে প্রাণীর ছবি থাকে, সেগুলার বিধান কি? এরজন্য ফেরেশতা কি আসবে না? কি করব বইগুলোর।