উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আপনারা যে দেশের বাইরে বিভিন্ন স্কলারশিপে আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদন ঠিক হচ্ছে কিনা তা চেক করে দেন,এবং চেক বাবদ কিছু টাকা ফি হিসেবে নেন,এক্ষেত্রে যদি উভয় পক্ষের সন্তুষ্টি চিত্তে কার্যক্রম পরিচালিত হয়, আর কোন নাজায়েজ বিষয় এতে সম্পৃক্ত না থাকে, তাহলে এভাবে টাকা উপার্জন করতে শরয়ী কোন বিধিনিষেধ নেই। জায়েজ আছে।
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরিতে আছে
وَأَمَّا شَرَائِطُ الصِّحَّةِ فَمِنْهَا رِضَا الْمُتَعَاقِدِينَ. وَمِنْهَا أَنْ يَكُونَ الْمَعْقُودُ عَلَيْهِ وَهُوَ الْمَنْفَعَةُ مَعْلُومًا عِلْمًا يَمْنَعُ الْمُنَازَعَةَ فَإِنْ كَانَ مَجْهُولًا جَهَالَةً مُفْضِيَةً إلَى الْمُنَازَعَةِ يَمْنَعُ صِحَّةَ الْعَقْدِ وَإِلَّا فَلَا. (الفتاوى الهندية، كِتَابُ الْإِجَارَةِ، الْبَابُ الْأَوَّلُ فِي تَفْسِيرِ الْإِجَارَةِ وَرُكْنِهَا الخ-4/411)
যার সারমর্ম হলো এক্ষেত্রে উভয়ের সন্তুষ্টি থাকতে হবে।
জোর করে বা ধোকা দিয়ে কোনো কিছু করা যাবেনা।
,
এক্ষেতে অর্থ উপার্জনের শর্তাবলী:
১. ভুয়া তথ্য কে সঠিক বানানো যাবেনা, ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে কাজটি হারাম।
২. দেশের প্রচলিত আইন পরিপন্থী না হওয়া।
৩. আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সুদ, ঘুস বা দুর্নীতির আশ্রয় না নেয়া।
৪. মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় না নেয়া ইত্যাদি।
৫.শরীয়ত বহির্ভূত কোনো কাজ না করা।
৬.তার উপর জুলুম হয়,এমন পরিমান টাকা নেওয়া যাবেনা।
,
উপরোক্ত বিষয়বলি ঠিক থাকলে এবং পুরোপুরি শর্ত মেনে আপনি এই কাজ,ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনার উপার্জন হালাল হবে।