আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
773 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (16 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।

১।কোন স্ত্রী যদি হলে থাকে পড়াশোনার জন্য।  স্বামী গ্রামে থাকে এবং স্ত্রী কিছুদিন পর পর গ্রামে আসে তার নিজের বাপের বাড়িতে। স্বামীও সেখানেই এসে থাকে স্ত্রীর বাড়িতে। তো একদিন স্বামী চেয়েছিল স্ত্রী  ঢাকায় হলে যাওয়ার আগেরদিন বউকে নিয়ে নিজের বাড়ি যেতে। বউ যেতে চায়নি কিছু সমস্যার কারণে।
তারপর স্বামী তার স্ত্রীর হাত নিয়ে নিজের মাথায় রাখে আর  বলে পরের বার/পরের বার থেকে যদি আমার বাড়ি না থাকতে পারো তাহলে আর আসার দরকার নাই৷ স্ত্রী তাকিয়ে থাকে চুপ করে৷ তারপর স্বামী বলে ওইখানেই থাইকো৷ আর বাড়িতে আসার দরকার নাই বলছি৷

এরপর স্ত্রী বলে তখন তুমি এই কথাটা কেন বললা?? কসম দিলা??স্বামী জানে স্ত্রীর তালা*** ওয়াসওয়াসা আছে।তাই সে বলে এখন আবার শুরু করে দিও না।।এই কথার মধ্যে তুমি তা**** খুজে পাও কই?? এইবার কিন্তু বেশি হবে। আমি বলেছি তুমি আমার বাড়িতে যেতে চাও না বলে যে,"পরের বার থেকে আমার বাড়িতে এসে না থাকতে পারলে আইসো না,হলেই থাইকো।"" এই কথার মধ্যে তুমি তালাকের সন্দেহ কেন করবা??

স্বামী রাগ করছে দেখে স্ত্রী বলে আরে না আমি ওই ধরনের সন্দেহ করিনি। আমি জিজ্ঞেস করেছি পরের বার থেকে প্রতিদিনঈ তোমাদের বাড়িতে থাকতে হবে কিনা?স্বামী বলে প্রতিদিন থাকতে বলি নাই।
এইটা কি কেনায়া বাক্য হতে পারে??বা শর্ত পরতে পারে?? স্বামীর যদি তালাকের নিয়ত  না থাকে?? স্বামীর কথায় বুঝা গেছে সে তালাকের নিয়তে বলেনি। কিন্তু স্ত্রী ওয়াসওয়াসায় থাকে৷

২। আর যদি কেউ তালাকের নিয়তে এই কথা বলে তাহলে কি পতিত হয় কিনা??এইটাও কি কেনায়া বাক্য?? এই বাক্য বলার মাধ্যমে কি কেউ স্ত্রীকে তা**** শর্ত দিতে পারবে??

৩।স্বামী যদি কোন কথা তালাকের নিয়তে বলার পর স্ত্রী জিজ্ঞেস  করলে বলে, অই  নিয়তে বলেনি তাহলে কি স্ত্রী দায়ী হবে কখনো??

৪। কোন স্বামী তার স্ত্রীর সাথে একটি বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে উদাহরণ স্বরূপ বলে মনে করো, অমুক তমুককে বললো এক তা***। এইটুকু বলার পর স্ত্রী তাকে থামিয়ে দেয় বলে এইসব প্লিজ উচ্চারণ করোনা। স্বামী বলে কেন আমিতো অন্য নাম নিয়ে উদাহরণ দিচ্ছি সমস্যা কি??

এখন স্ত্রী ওয়াসওয়াসায় ভুগছে অমুক তমুককে বললো এক তা****. এইটা বলার সময় তার স্বামী নিজের স্ত্রীকে ভেবে ফেললো কিনা। কেউ যদি উদাহরণ দিতে গিয়ে এইভাবে তালাকের কথা বলতে গিয়ে বউয়ের কথা ভেবে ফেলে মনে মনে তাহলে কি পতিত হয়??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1049 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.
রাগের অবস্থাঃ-
রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
তালাক হবে না।
(২)
তালাকের নিয়ত করলে তালাক পতিত হবে।এটাকে তখন তালাকের অর্থে বিবেচনা করা হবে।

(৩)
স্ত্রী দায়ী হবে না।
(৪)
এরকম আলোচনা করলে তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...