بسم الله الرحمن الرحمن
ইসলামে দু’ ধরণের খেলাধুলাকে বৈধ রেখেছে দুটি শর্ত সাপেক্ষে।
যে দুই ধরণের খেলা জায়েজ-
১-শারিরীক উপকার নিহিত।যেমন দৌড়, ফুটবল ও ক্রিকেট ও হতে পারে।
২-দ্বীনের শত্রুর বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণমূলক খেলা। যেমন তীরন্দাজী, ঘোড় দৌড় ইত্যাদি।
এসব খেলা জায়েজ থাকার জন্য শর্ত দু’টি। যথা-
১- ফরজ ও ওয়াজিব কোন ইবাদতে বিঘ্ন না হতে হবে।
২-এর সাথে আর কোন গোনাহের বিষয় মিলিত না হতে হবে। যেমন জুয়া, বেপর্দা ইত্যাদি।
এছাড়া বাকি সব খেলাই অহেতুক হওয়ায় মাকরূহ বা নাজায়েজ।
وأما ما لم يرد فيه (اى فى اللهو) النص عن الشارع، وفيه فائدة وصلحة للناس، فهو بالنظر الفقهى على نوعين: الأول ما شهدت التجربة بأن ضرورة أعظم من نفعه، ومفاسده أغلب على منافعه، وأنه من اشتغل بها ألهاه عن ذكر الله وحده، وعن الصلوات الله والمساجد، إلتحق بذالك بالمنهى عنه لإشراك العلة، فكان حراما أو مكروها، (تكملة فتح الملهم-4/434-435)
যার সারমর্ম হলো যদি কোনো খেলার দ্বারা শরীরের ব্যায়াম হয়,ফায়দা হয়,নামাজ কালাম ইত্যাদিতে বাধা সৃষ্টি না করে,শরীয়ত বহির্ভূত কোনো কিছু যদি সেই খেলায় না থাকে,তাহলে এমন খেলা জায়েজ আছে।
অন্যথায় হারাম অথবা মাকরুহ হবে।
★ টিভি/মিডিয়ার মাধ্যমে যে কোন প্রকার খেলা দেখা সংক্রান্ত বিস্তারিতঃ
গুনাহে লিপ্ত হওয়া ছাড়া টিভি ইত্যাদিতে খেলা দেখা যায়না।
অন্তত পর্দাহীনতার গুনাহ ছাড়া বর্তমান যুগে খেলা দেখা কিভাবে সম্ভব? এরপরও যদি অনেকের কথা অনুপাতে মেনে নেওয়া হয় যে পর্দাহীনতা থেকেও বেঁচে থাকা সম্ভব, তবুও এখন দুই কারণে কারো জন্য খেলা দেখা বৈধ নয়।
১. এতে সময়ের অপচয় হয়। আর সময়ের অপচয় করা গুনাহ। হাশরের ময়দানে যেসব প্রশ্নের জবাব দেওয়া ছাড়া কদম নড়ানো যাবে না তার একটি হল সময়। কোথায় কীভাবে তা ব্যয় হয়েছে-এ সম্পর্কে জবাব দিতে হবে। যদি দ্বীন বা দুনিয়ার কোনোও কল্যাণে তা ব্যয় না হয়ে থাকে তাহলে জবাব দেওয়া সম্ভব হবে না।
২. খেলা এখন যে পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং এর সাথে যত পাপাচার ও বেহায়াপনা যুক্ত হয়েছে তাতে আল্লাহর কাছে দায়মুক্তির জন্য অবশ্যই কথা ও কাজে খেলার সাথে সর্বপ্রকার সম্পর্কহীনতা পরিষ্কারভাবে প্রকাশ করা আবশ্যক। যে কারো দল ভারি করে সে তাদের মধ্যেই গণ্য হয়।
তাই যারা আল্লাহকে ভয় করি, আখিরাতের ফিকির করি, আল্লাহর সামনে হাজির হওয়ার উপর ঈমান রাখি আমাদেরকে অবশ্যই এ খেলা দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে। আল্লাহ তাওফীক দান করুন। আমীন।